একটি আলু। তারই ওজন ২ কেজি। এমনই 'বাহুবলী' আলু ফলিয়ে তাক লাগালেন এক কৃষক। উত্তরপ্রদেশের ফারুখাবাদ জেলায় এই দৈত্যাকার আলু নিয়ে রীতিমতো শোরগোল পড়ে গিয়েছে। বর্তমানে ফারুখাবাদে জমি থেকে আলু তোলা চলছে। আর সেই আলু তোলার সময়েই জমি থেকে ২ কেজি ওজনের একটি আলু ওঠে। তবে বিশেষ কোনও প্রজাতি বা সারের কামাল নয়। প্রকৃতির নিজের খেয়ালেই এই সুবিশাল আলু ফলেছে। নিজের জমির এই আলু দেখে কৃষক নিজেই হতবাক। মাটি খুঁড়ে আলু বের করতে গিয়ে রীতিমতো গলদঘর্ম হন তিনি। ততক্ষণে আশপাশের জমিতেও খবর পৌঁছে যায়। অন্য় কৃষকরাও এই বিশাল আলু দেখতে ভিড় জমান। এরপর গোটা এলাকা, আশেপাশের গ্রামেও এই বিশাল আলুর খবর ছড়িয়ে পড়ে। অনেকেই এই আলু দেখতে ভিড় জমাচ্ছেন। কৃষক জানান, আমাদের বাড়িতে বহু প্রজন্ম ধরেই আলু চাষ হচ্ছে। তবে এত বড় আলু এই প্রথম দেখলাম।
ফারুখাবাদ জেলা এমনিতেই আলু চাষের জন্য প্রসিদ্ধ। এশিয়ার সবচেয়ে বড় আলুর বাজারও এই জেলায়। প্রতি বছর লক্ষ লক্ষ কুইন্টাল আলু এখান থেকে দেশের বিভিন্ন প্রান্তে, এমনকি বিদেশেও রফতানি হয়।
সেখানেই পটৌজা গ্রামের কৃষক মেরাজ হোসেন প্রতি বছরের মতোই ক্ষেতে আলু চাষ করছেন। আলুর ফলন এবার বেশ ভালই হয়েছে। তাই নিয়ে বেশ খুশিই ছিলেন তিনি। তবে এমন ২ কেজির বিশাল আলুও যে ফলেছে, তা এখনও বিশ্বাস হচ্ছে না তাঁর। আশেপাশের গ্রামের বহু কৃষক এখন তাঁর বাড়িতে এই বিশাল আলু দেখতে আসছেন। অনেকেই তাঁর কাছে চাষের পদ্ধতি নিয়ে 'টিপস' চাইছেন।
কী বললেন কৃষক?
মেরাজ হোসেন জানান, তিনি বহুকাল ধরেই কৃষিকাজ করেন। মূলত আলুই চাষ করেন। তিনি বলেন, 'আমাদের পরিবার বংশ পরম্পরায় আলু চাষ করে। তবে এত বড় আলুর কথা এর আগে কখনও শুনিনি।
এই প্রথম এত বড় আলু উঠল: কৃষক
তিনি বলেন, 'আলু চাষে রাসায়নিক ছাড়াও জৈব সার ব্যবহার করা হয়। তাতেই ফলন ভাল হয়। এবার আলুর ফলন ভাল হলেও এর আগে কখনও ক্ষেতে এত বেশি ওজনের আলু ফলেনি। ২ কেজির বেশি ওজনের আলু দেখে আমরাও অবাক।
উল্লেখ্য, উত্তরপ্রদেশের এই জেলায় সর্বাধিক সংখ্যক হিমাগার রয়েছে। ফারুখাবাদের কৃষকদের বেশিরভাগই আলু চাষের সঙ্গে জড়িত।