
দুই সমকামী নারী বাগদার মৌমিতা মজুমদার ও চিংড়িঘাটার মৌসুমী দত্তের বিবাহLesbian Marriage: মন্ত্র পড়ে, কালী মন্দিরে দেবীকে সাক্ষী রেখে বিবাহ বন্ধনে আবদ্ধ হলেন দুই সমকামী মহিলা (Lesbian Marriage)। এই দুই নারীর প্রেম কাহিনীতে ছয়লাপ সোশ্যাল মিডিয়া। প্রথা ভেঙে বনগাঁর মৌমিতা মজুমদার ও চিংড়িহাটার মৌসুমী দত্তের চার হাত এক হয়। প্রেমের শুরু সোশ্যাল মিডিয়ায়। তারপর হোয়াটস অ্যাপে কথাবার্তা বলতে বলতে প্রেমের গভীরতা আরও বাড়তে থাকে। বাড়িতে জানাজানি হলে দুই পরিবারের কেউই সেই সম্পর্ক মেনে নেয়নি। হাজার প্রতিকূলতা পেরিয়ে অবশেষে মন্দিরে গিয়ে বিবাহ সারেন। সব বাধায় দু'জনে একসঙ্গে হাতে হাত রেখে লড়াই করার সঙ্কল্পও করেন।
সমকাম সম্পর্ক হোক বা বিবাহ, সমাজে এখনও এদের বাঁকা চোখেই দেখে অধিকাংশ মানুষ। সমাজের এসব ছ্যুঁৎমার্গের ধার ধারেনি এই যুগল। সোশ্যাল মিডিয়া থেকে জানা যায়, মাস দুয়েক আগে প্রেমে পড়েন কলকাতার মৌসুমী দত্ত ও বনগাঁর মৌমিতা মজুমদার। আলাপের দিনকয়েক পর একে অপরের প্রেমে পড়েন তাঁরা। চ্যাটে বাড়ে প্রেম। দু’জনেরই দাবি, 'জল ছাড়া যেমন গাছ বাঁচে না, ওকে ছাড়াও আমি বাঁচতে পারব না।'

বিয়ে সেরে মৌমিতা জানান, আমি মৌসুমীকে ভালবাসি, ওকে ছাড়া বাঁচতে পারব না। আমি আমার পরিবারকে বলেছিলাম ওর কাছে যাব, কিন্তু ওঁরা রাজি হয়নি। তাই নিরুপায় হয়ে বাড়ি থেকে পালিয়ে এসেছি। এখন ওর পরিবার না মানলে আমরা দুজন অন্য কোথাও গিয়ে থাকব।
তাঁর আরও দাবি, জানি সমাজ আমাদের মানবে না, কিন্তু আমি ওর সঙ্গেই থাকতে চাই। বাঁচলেও ওর সঙ্গে বাঁচব, মরলেও ওর সঙ্গে মরব। পুলিশ যদি আমাদের মেরে ফেলতে চায় তাহলে আমাদের দু'জনকে একসঙ্গে মেরে ফেলতে হবে। আর যদি বাঁচিয়ে রাখতে চায় তাহলে দু'জনকেই রাখতে হবে।
সহমত জানান সঙ্গী মৌসুমীও। তাঁরও দাবি, যদি কোনও রকম বড় বাধা আসে, তাহলে দুজনে একসাথেই হাতে হাত রেখে লড়াই করব। কারণ আমরা একে অপরকে ছাড়া বাঁচব না।