Pakistan: পাকিস্তানে ‘Love Island’ ঘিরে গেল গেল রব! কোরানের আয়াতে ভরছে কমেন্ট সেকশন

পাকিস্তান প্রথম মুসলিম দেশ যেখানে লাভ আইল্যান্ড পেল। মানুষ এটিকে কুরআনের আয়াতে ডুবিয়ে দিয়েছে। পাকিস্তানে প্রথম মুসলিম লভ আইল্যান্ড! ক্ষোভে ভাসছে ইউটিউব

Advertisement
পাকিস্তানে ‘Love Island’ ঘিরে গেল গেল রব! কোরানের আয়াতে ভরছে কমেন্ট সেকশনপাকিস্তানের শোয়ের একটি দৃশ্য।
হাইলাইটস
  • দেশের বহু স্থানেই প্রকাশ্যে একটি ছেলে ও মেয়েকে দেখা গেলেই বিপদের আশঙ্কা।
  • এহেন পাকিস্তানেই সবার সামনেই প্রেমের খেলায় মাতবেন সুন্দরী মডেল ও হ্যান্ডসাম যুবকরা।
  • খোলামেলা পোশাকে, যৌন সুড়সুড়ির খুনসুটি করবেন।

Pakistan Love Island: দেশের বহু স্থানেই প্রকাশ্যে একটি ছেলে ও মেয়েকে দেখা গেলেই বিপদের আশঙ্কা। এহেন পাকিস্তানেই সবার সামনেই প্রেমের খেলায় মাতবেন সুন্দরী মডেল ও হ্যান্ডসাম যুবকরা। খোলামেলা পোশাকে, যৌন সুড়সুড়ির খুনসুটি করবেন। আর বাড়ি বসে ফোনেই দেখতে পাবেন কোটি, কোটি পাকিস্তানবাসী। এবার পাকিস্তানেও শুরু হল 'Love Island'। এই নিয়ে যে সেদেশে তুমুল অশান্তি শুরু হয়েছে, তা বলাই বাহুল্য। 

লাভ আইল্যান্ড আসলে ব্রিটিশ রিয়্যালিটি শো। একদল সুন্দরী, কেতাদুরস্ত যুবক-যুবতী প্রতিযোগী হিসাবে আসেন। বেশিরভাগই মডেল, উঠতি অভেনেতা, ইনফ্লুয়েন্সার। একটি বড় রিসর্টে সবাইকে একসঙ্গে রাখা হয়। তারপর একে একে বিভিন্ন টাস্ক, খেলার মাধ্যমে যুবক-যুবতীরা পরস্পরের মন জয়ের চেষ্টা করেন। শেষ পর্যন্ত জেতেন যে কোনও এক যুগল। 
Controversial new reality show Lazawal Ishq premieres amid backlash and buzz

খেলাগুলি বেশিরভাগ ক্ষেত্রেই বেশ যৌন আবেদনময় হয়ে থাকে। পোশাক-আশাকের বিষয়েও তাই। 

ভারতে এই লাভ আইল্যান্ডের অনুকরণে Splitsvilla র মতো শো বেশ জনপ্রিয়। তবে পাকিস্তানেও যে এমন শো হতে পারে, তা সত্যিই অকল্পনীয়। 

পাকিস্তানে শোয়ের নাম দেওয়া হয়েছে ‘লাযাওয়াল ইশক’। ইংরেজিতে যার মানে ‘Eternal Love’।

এই প্রথম কোনও মুসলিম প্রধান দেশ এমন এক ডেটিং-বেসড রিয়্যালিটি শো দেখা গেল। যদিও শোয়ের শ্যুট হয়েছে তুরস্কের ইস্তানবুলে। সঞ্চালক জনপ্রিয় অভিনেত্রী আয়েশা ওমর। শোতে পাঁচ পুরুষ ও পাঁচ মহিলা রয়েছেন। তাঁরা থাকছেন একই বাড়িতে। সর্বক্ষণ ক্যামেরার সামনেই আছেন।
Lazawal Ishq Episode 1 Under Fire for Obscene and Cringe Style

প্রচুর ভিউ, প্রচুর সমালোচনা
পাকিস্তানে এই শোয়ের ভিউ হচ্ছে প্রচুর। আবার ভিউয়ের শেষে নিন্দা করে কমেন্টও অজস্র। রীতিমতো গালিগালাজ, শাপশাপান্ত করছেন পাকিস্তানের দর্শক। কোরানের আয়াত লিখে প্রতিযোগীদের 'হুঁশ' ফেরানোর চেষ্টা করছেন তাঁরা। 

কেউ লিখেছেন, 'এই শো ইসলাম বিরোধী।' আবার কেউ লিখেছেন, 'একটা এপিসোড দেখেই তওবা তওবা করছি।'

Advertisement

তবে অনেকে পাল্টা প্রশ্নও তুলছেন। শো যদি এতই খারাপ হত, এবং তাতে কারও আগ্রহই না থাকত, তবে ইউটিউবে তাতে ক্লিক করে খুললেনই বা কেন? আর খুলে দেখতে গেলেনই বা কেন? ইউটিউবে তো আরও অজস্র কনটেন্ট রয়েছে!

পাকিস্তানের বড় বড় সংবাদপত্রেও রীতিমতো 'গেল গেল' রব উঠেছে। Pakistan Today ও The Express Tribune শোটিকে 'অশালীন' ও 'অপসংস্কৃতি' বলে নিন্দা করেছে।

বাস্তব এটাই যে, পাকিস্তানে এখনও প্রকাশ্যে প্রেম বা ডেটিং নিয়ে কথা বলাটাও ট্যাবু। টেলিভিশনে এমন বিষয় তো ভাবাই যায় না। তাই লাযাওয়াল ইশক দেখে যেন মাথায় আকাশ ভেঙে পড়েছে সকলের।

পার্টিসিপ্যান্টদের মধ্যেও সেভাবে কোনও পরিচিত মুখ নেই। কেউ কর্পোরেট অফিসে কাজ করেন, কেউ থিয়েটারে অভিনয় শেখেন। 

কিন্তু পাকিস্তানে এমন শোয়ের অনুমোদন মিলল কীভাবে? পাকিস্তানের সেন্সর বোর্ড PEMRA জানিয়েছে, এটি অনলাইন শো। টেলিভিশনের নয়। তাই তাদের কিছুই করার নেই।

অন্যদিকে অভিনেত্রী আয়েশা ওমরের দাবি, 'এটা কোনও ডেটিং শো নয়, এটি ভালোবাসা খুঁজে নেওয়ার জার্নি।' এদিকে পাকিস্তানি দর্শকরা বলছেন, এটা কেবলই Love Island এর সস্তার কপি। পাকিস্তানের সংস্কৃতির সঙ্গে এর কোনও মিল নেই।

সংস্কৃতি, ধর্ম বিরুদ্ধ হতে পারে। তবে সবাই যে দেখছেন, তা নিশ্চিত। আর সেই কারণেই পাকিস্তানে এখন ট্রেন্ডিং এই 'অশালীন' শো। 

POST A COMMENT
Advertisement