প্রায়দিনই ঘটা বিমান দুর্ঘটনার খবর আতঙ্কিত করে তুলেছে যাত্রীদের। মুম্বই থেকে কলকাতামুখী এক ইন্ডিগো বিমানে উঠে ঠিক তেমনই আতঙ্কিত হয়ে পড়েছিলেন এক যাত্রী। বিমানে ওঠার পরই তাঁর প্যানিক অ্যাটাক শুরু হয়। শ্বাসকষ্ট হতে থাকে। উদ্বেগ এবং অস্বস্তিবোধ করতে শুরু করেন তিনি। শোরগোল পড়ে যায় বাকি যাত্রীদের মধ্যে। তার মধ্যে এক সহযাত্রীর কাণ্ডে স্তম্ভিত হয়ে যান সবাই।
প্যানিক অ্যাটাকের পর তীব্র অস্বস্তি নিয়ে বিমানের ফ্লোরে পায়চারি শুরু করে দেন ওই যাত্রী। এমন অবস্থায় পাশের আসনে বসা এক যাত্রী উঠে সপাটে চড় মারেন তাঁকে। ঘটনাটি ঘটতেই বিমানে চাঞ্চল্য ছড়িয়ে পড়ে। একাধিক যাত্রী প্রতিবাদে সরব হন। বিমানের ক্রু দ্রুত হস্তক্ষেপ করে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনে। বিমান কলকাতা পৌঁছনোর পরই নিরাপত্তারক্ষীদের হাতে তুলে দেওয়া হয় অভিযুক্ত যাত্রীকে। উড়ান সংস্থার তরফে আশ্বস্ত করে বলা হয়েছে, বিমানে সমস্ত যাত্রীর নিরাপত্তা ও মানসিক শান্তি আমাদের অগ্রাধিকার। যেকোনও রকম অপ্রীতিকর ঘটনার বিরুদ্ধে কড়া পদক্ষেপ নেওয়া হবে।
ঘটনার ভিডিও ইতিমধ্যেই সোশ্যাল মিডিয়ায় ভাইরাল। নিন্দার ঝড় নেটমহলে। যদিও ওই ভিডিওর সত্যতা যাচাই করেনি bangla.aajtak.in.
ইন্ডিগো সংস্থা একটি বিবৃতি দিয়ে জানিয়েছে, বিমানে শারীরিক হেনস্থার অভিযোগ অতি গুরুতর। সহযাত্রী হোক বা ক্রু, কাউকেই অসম্মান করার অধিকার কারও নেই। পাশাপাশি জানিয়েছে, অভিযুক্ত যাত্রীকে ‘নো ফ্লাই লিস্ট’-এ অন্তর্ভুক্ত করার প্রক্রিয়া শুরু হয়েছে এবং প্রোটোকল মেনে রিপোর্ট পাঠানো হয়েছে সংশ্লিষ্ট তত্ত্বাবধায়ক সংস্থাকে।
জানা গিয়েছে, যে যাত্রীর প্যানিক অ্যাটাক হয়েছে তাঁর নাম হাসনুল। তিনি বাংলাদেশি নাগরিক। তবে কর্মসূত্রে থাকেন এদেশেই। মুম্বইয়ের ভরত নগরে একটি জিমে কাজ করেন তিনি। এই প্রথমবার বিমানে বাড় ফিরছিলেন তিনি। তবে বাংলাদেশ পর্যন্ত মুম্বই থেকে ডিরেক্ট ফ্লাইট না পাওয়ায় কলকাতা থেকে কানেক্টিং ফ্লাইটে পড়শি দেশে যাওয়ার কথা ছিল। সে কারণেই মুম্বই থেকে কলকাতা আসছিলেন। এই ঘটনার পর বাংলাদেশের বিমানে এখনও উঠতে পারেননি তিনি।