scorecardresearch
 

মাথায় কলার কাঁদি পড়তেই কোটিপতি কলাবাগানের মজুর

ন্যাড়ার মাথায় বেল পড়ে কি বিড়ম্বনায় পড়তে হয়েছিল তা আমরা সবাই জানি। কিন্তু কলার কাঁদি মাথায় পড়ে যদি কোটিপতি হওয়া যায়, তা কি কারুর জানা ছিল। আসুন এমন অদ্ভুত ঘটনার কথা জেনে নিই।

Advertisement
প্রতীকী ছবি প্রতীকী ছবি
হাইলাইটস
  • মাথায় পড়ল কলার কাঁদি
  • ক্ষতি না লাভ হিসেব করে বুঝতে পারছেন না
  • ভবিষ্যৎ সুরক্ষার জন্য় এমন হিসেব

গাছ থেকে কলা পাড়ার কাজ করছিলেন এক শ্রমিক। এমন সময় গাছ থেকে কলা পেড়ে নামাতে গিয়ে গাছ থেকে ছিঁড়ে কলার কাঁদি পড়ল মজদুরের মাথায়। তারপর কি হলো জানেন ?

মাথায় কাঁদি পড়ে কোটিপতি

ওই শ্রমিকের মাথায় কাঁদি পড়ার পর তাঁকে হাসপাতালে নিয়ে গিয়ে চিকিৎসা করানো হয়। আর সেই সঙ্গে মাথায় কলার কাঁদি পড়ার জরিমানা স্বরূপ কলাবাগানের মালিককে ক্ষতিপূরণ দিতে হল ৫ লক্ষ ডলার। ভারতীয় মুদ্রায় যার মূল্য প্রায় ৪ কোটি টাকা।

মাথায় কলার কাঁদি পড়ে জখম

অস্ট্রেলিয়ার কুইন্সল্যান্ডের ঘটনা। কাজ করার সময় ওই ব্যক্তির মাথায় কলার কাঁদি পড়ে জখম হন। অস্ট্রেলিয়ার একটি সংবাদ মাধ্যমের রিপোর্ট অনুসারে জানা গিয়েছে, কুইনসল্যান্ডের কুকটাউনের পাশে একটি খেতে একটি গাছ থেকে কলা পাড়ার কাজ করছিল, জেমস ল্যান্ডবটম নামে এক ব্যক্তি। তিনি ওই খেতে মজদুর এর কাজ করছিলেন। মাথার উপর কাঁদি পড়ায় তিনি গুরুতর জখম হন।

একটি কলা প্রোডাকশন কোম্পানির খেতে কাজ করছিলেন

জুন ২০১৬ তে এল এন্ড আর কলিন্সের খেতে কলা কাটার কাজ করার সময় তিনি জখম হন। তবে সেই জখমের পেছনে ওই মজুরের কোনও রকম অপরাধ বা গাফিলতি ছিল না। তিনি আদালতে মামলা করেন এবং মজুরির দাবি ছিল, কোম্পানি এর জন্য দায়ী। তার কারণ, কোম্পানি কলা কাটার বিষয়ে তাদের সে রকম কোনও প্রশিক্ষণ দেয়নি। অথচ কাজে নামিয়ে দিয়েছে। কোম্পানির গাফিলতির বিরুদ্ধে মামলায় ওই ব্যক্তির দাবি ছিল, বড় গাছ থেকে কিভাবে কলা পাড়তে হবে, তারা শেখায়নি।

কলার কাঁদির ওজন ছিল ৭০ কেজি

এই মামলা নিয়ে কোর্টে জাস্টিস ক্যাথলিন হোমস জানিয়েছেন, গাছটি অস্বাভাবিক ভাবে লম্বা ছিল এবং কলাগাছের স্বাভাবিক দৈর্ঘ্যের চেয়ে বড় ছিল। ল্যান্ডবটম নিজের ডান কাঁধে কলার কাঁদি এবং গাছ ধরে নামার সময় নিজের ডান দিকে মাটিতে পড়ে যায়। ঘটনার পর এই শ্রমিককে হাসপাতালে ভর্তি করাতে হয়। যার পর তিনি কাজে ফিরতে পারেননি। কোর্টের রায়ে জানানো, হয়েছে কলার ওজন সব মিলিয়ে প্রায় ৭০ কেজি ছিল। তারপর থেকে ওই ব্যাক্তি কাজ করতে পারেননি। ভবিষ্যতেও এই ধরণের কাজের জন্য তিনি সক্ষম হবেন কি না, তা জানা যায়নি। ফলে তার ভবিষ্যৎ সুরক্ষা প্রয়োজন। তাই ক্ষতিপূরণ সঠিক সিদ্ধান্ত।

Advertisement

 

Advertisement