ট্যারেন্টুলা, পাইথন পুষতেন ভাড়াটে ! জানতে পেরে কি করলেন বাড়িমালিক

ভাড়াটে চলে গেলেন। কিন্তু রেখে গেলেন পাইথন, ট্যারেন্টুলা। জানতে পেরে কি করলেন বাড়ির মালিক ?

Advertisement
ট্যারেন্টুলা, পাইথন পুষতেন ভাড়াটে ! জানতে পেরে কি করলেন বাড়িমালিকসংগৃহীত ছবি
হাইলাইটস
  • ভাড়াটে রেখে গেলেন মারাত্মক বিষাক্ত প্রাণী
  • উদ্ধারকারী দল এসে উদ্ধার করে নিয়ে যায়
  • সাপ-ট্যারেন্টুলা নিয়ে কিসের কারবার

ভাড়াটে বাড়ি ভাড়া ছেড়ে দিয়ে চলে গিয়েছেন। চুক্তি শেষ, চলে গিয়েছেন। কোনও আপত্তি নেই। এমনটাই হওয়ার কথা। কিন্তু তারপর যা ঘটলো দেখে আঁতকে উঠলেন বাড়ির মালিক। কোনও রকমে প্রাণ বাঁচিয়ে পালালেন তিনি। 

ঘর পরিষ্কার করতে গিয়ে চক্ষু কপালে

নতুন ভাড়াটেকে ঘর দেবেন বলে ঘর পরিষ্কার করাতে ঢুকেছিলেন। আলো জ্বালিয়ে ঘরের মধ্যে যা দেখতে পেলেন, তা দেখে চক্ষু চড়কগাছ। ঘরময় ছড়ানো একাধিক কাচের বাক্স। আর বাক্সের ভিতর কি জানেন ? বাক্সবন্দী একগাদা আমাজনের মারাত্মক বিষধর ট্যারেন্টুলা। যার একেকটির কামড়ে পূর্ণবয়স্ক মানুষ কয়েক মুহূর্তের মধ্যেই চির নিদ্রায় চলে যেতে পারেন।

সঙ্গে ভয়ঙ্কর অজগর

শুধু ট্যারেন্টুলা হলেও কথা ছিল। এতেই শেষ নয়, একটি বাক্সে রাখা রয়েছে ইয়া বড়োসড়ো একটি রক পাইথন বা অজগর। সব কিছু দেখেশুনে ভিরমি খাওয়ার জোগাড়। তা কোনও রকমে বাইরে এসে দরজা বন্ধ করে দেন তিনি। বন্যপ্রাণ উদ্ধারকারী দলকে ফোন করে ডেকে তাঁদের হাতে তুলে দিয়ে তারপর স্বস্তির নিঃশ্বাস ফেললেন তিনি।

ঘটনায় সন্ত্রস্ত

ঘটনাটি ঘটেছে উত্তর আমেরিকার মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের মাইনেতে। এনিমেল রেসকিউয়ারদের ডাকা হয় বুধবার। মাইনের অবার্ন এলাকায় এই ঘটনায় সকলেই সন্ত্রস্ত।

কিছু ট্যারেন্টুলা মারা গিয়েছে

সান জার্নালে প্রকাশিত খবরে জানা গিয়েছে, সেখানে গিয়ে গুনে গুনে ১৯ টি বিষাক্ত ট্যারেন্টুলা উদ্ধার করা হয়। পরে দেখা যায় সেগুলির মধ্যে ৪টি মারা গিয়েছে। পাশাপাশি বল পাইথনটিও জল না পেয়ে ছটফট করছিল। সান জার্নালে বলা হয়েছে, বৃহস্পতিবার প্রাণীগুলোকে উদ্ধার করে নিয়ে আসা হয়েছে। এবং তারা আপাতত সুস্থ হয়েছে।

জঙ্গলে ছেড়ে দেওয়া হবে

সমস্ত উদ্ধার করা প্রাণীগুলি বেআইনিভাবে সেখানে মজুত করা হয়েছিল বলে জানা গিয়েছে। তাদের দাবি, ওইকে খুঁজে পেলে তাকে গুলি করে দেওয়া উচিত। যেভাবে প্রাণীগুলি কে এভাবে আটকে রেখেছিল তাতে এমনটাই হওয়া উচিত বলে তারা জানায়। সেগুলি জঙ্গলে ছেড়ে দেওয়া হবে।

বিশ্বজুড়ে ভাইরাল  

এমন অভাবনীয় কান্ড-কারখানা দেখে চমৎকৃত গোটা বিশ্ব। এই বিষয়টি মিস্টার ড্রিউ অ্যান্ড হিজ এনিমেলস বলে একটি টুইটার পেজে শেয়ার করা হয়। তারপরেই লাইক শেয়ার এবং কমেন্টের বন্যা বয়ে যায়।

Advertisement

 

POST A COMMENT
Advertisement