Ujjain News: এই সময় সন্তানরা তাদের বৃদ্ধ বাবা-মাকে অনাথ আশ্রমে রেখে আসে, আর তার মাধেই কলিযুগে শ্রাবণ কুমারের মতো ছেলেরা রয়েছে, যারা তাদের পিতামাতাকে অনেক ভালবাসে এবং শ্রদ্ধা করে। এমনই এক ঘটনা সামনে এসেছে মধ্যপ্রদেশের উজ্জয়িনী থেকে। মহাকালের শহরে অপরাধের ইতিহাস থাকা এক ব্যক্তি তার উরুর চামড়া থেকে চরণ পাদুকা তৈরি করে মাকে পরিয়ে দিলেন।
শহরের ধচান ভবন এলাকার বাসিন্দা রৌনক গুর্জর একজন কুখ্যাত হিস্ট্রি-শীটার হিসাবে পরিচিত। একটি মামলার আসামি থাকা রৌনককে এমনকি একবার পায়ে গুলিও করে পুলিশ। কিন্তু এখন রৌনক নিয়মিত রামায়ণ পাঠ করেন এবং ধর্মীয় কর্মকাণ্ডে মগ্ন থাকার চেষ্টা করেন।
প্রভু রামের কাছ থেকে অনুপ্রেরণা পেয়েছেন
রৌনক রামায়ণ থেকে মায়ের সেবা করার অনুপ্রেরণা পেয়েছিলেন। রৌনক বলেন, আমি রামায়ণ পড়ে ভগবান রামের চরিত্র দেখে খুব মুগ্ধ হয়েছি এবং ভগবান রাম নিজেই বলেছেন মায়ের জন্য চামড়ার পাদুকা তৈরি করলেও কম হয়। ঠিক এই চিন্তা আমার মাথায় এল এবং আমি আমার নিজের চামড়া থেকে আমার মায়ের জন্য চরণ পাদুকা তৈরি করে তার কাছে পেশ করলাম।
হাসপাতালে উরুর চামড়া কেটে নেওয়া হয়
বিশেষ বিষয় হল চরণ পাদুকা অর্থাৎ চপ্পল রাবার, প্লাস্টিক বা অন্য কোনো প্রাণীর চামড়া দিয়ে তৈরি হয়নি, রৌনক নিজেই নিজের চামড়া তুলে দিয়েছিলেন। রৌনক হাসপাতালে অস্ত্রোপচার করিয়ে গোপনে উরুর চামড়া তুলে নেন এবং পরিবারের কাউকে কিছু বলেননি। এর পর তিনি মুচির কাছে চামড়া নিয়ে যান। যেখানে মুচি প্রথমবারের মতো মানুষের চামড়া থেকে চপ্পল তৈরি করেন।
১৪ থেকে ২১ মার্চ, অতীতে অপরাধের ইতিহাস থাকা রৌনক বাড়ির কাছে ভাগবত কথার আয়োজন করেছিলেন। এই ধর্মীয় অনুষ্ঠানের মধ্যে তিনি মাকে চরণ পাদুকা উপহার দেন। মায়ের প্রতি ভক্তির এমন অনন্য নজির আপনি খুব কমই শুনেছেন যে ছেলে তার চামড়া খুলে মাকে তা থেকে তৈরি চপ্পল পরিয়ে দিল। সেইসময়ে ছেলে ও ময় দুজনের চোখের জলই থামছিল না। মা নিরুলা গুর্জর তার ছেলের কীর্তি দেখে হতবাক, তবে তিনি নিজেকে ভাগ্যবান বলে মনে করেন ছেলের এত বিশ্বাস এবং ভালবাসা পেয়ে। যারা এই অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন, মা ও ছেলের ভালবাসার এই নজির দেখে সবাই স্তব্ধ হয়ে যান।
।