মাত্র ৩০০ টাকার গয়না ৬ কোটিতে কিনলেন! বড়সড় প্রতারণা চক্রের শিকার মার্কিন মহিলা। জয়পুরে এক ব্যবসায়ী ৬ কোটি টাকার বিনিময়ে গয়না বিক্রি করেন চেরিস নামের ওই মহিলাকে। কিন্তু পরে চেরিস জানতে পারেন, প্রতারণার শিকার হয়েছেন।
পুলিশ জানিয়েছে, ঘটনা ২ বছর আগের। জয়পুরের গোপালজি কা রাস্তা নামের এক দোকান থেকে গয়না কেনেন চেরিস। যে দোকান থেকে গয়না কিনেছিলেন সেটার মালিক এক ব্যক্তি ও তাঁর ছেলে। গয়না কেনার পর ওই মহিলাকে হলমার্কের সার্টিফিকেটও দেওয়া হয়। গয়না ও সার্টিফিকেট নিয়ে আমেরিকা ফিরে যান মহিলা।
এদিকে আমেরিকা ফিরে চেরিস সেই গয়নাগুলো একটি প্রদর্শনীশালাতে রাখেন। আর সেখানেই জানতে পারেন সব গয়না নকল। জেনেই চক্ষু চড়কগাছ তাঁর। এরপর তিনি জয়পুরে আসেন ও সেই দোকানে যান। সেখান থেকে কেনা গয়না যে নকল তা জানান। গয়নাগুলো সত্যিই নকল কি না তা জানতে আরও বেশ কয়েকটা দোকানেও যান। সেখানেও জানতে পারেন, সেগুলো নকল। এবার চেরিস আমেরিকান দূতাবাসে অভিযোগ দায়ের করেন।
গত ১৮ মে থানাতেও অভিযোগ দায়ের হয়। পুলিশ এফআইআর করে সেই দোকান মালিক রাজেন্দ্র সোনি ও তাঁর ছেলে গৌরব সোনির নামে। জয়পুর পুলিশের এক আধিকারিক জানান, 'ঘটনার তদন্ত শুরু হয়েছে। পুলিশ গয়নাগুলি পরীক্ষা করে দেখে, যে ডায়মন্ডগুলো ছিল সেগুলো নকল পাথর। সোনাও নকল। অভিযুক্তরা পুলিশকে জানিয়েছিল, ওই মহিলা গয়না নিয়ে পালিয়ে ছিলেন। কিন্তু দোকানের ফুটেজ দেখে বোঝা যায়, দোকান মালিক মিথ্যে বলছেন।'
পুলিশের তরফে আরও জানানো হয়, ঘটনার পর থেকে পলাতক অভিযুক্ত দোকান মালিক ও তাঁর ছেলে। কিন্তু যিনি জাল সার্টিফিকেট দিয়েছিলেন তিনি ধরা পড়েছেন। প্রধান অভিযুক্ত গৌরব সোনির বিরুদ্ধে একটি লুকআউট নোটিশও জারি করা হয়েছে। চেরিসের অভিযোগের পর পুলিশও গৌরব সোনি এবং রাজেন্দ্র সোনির বিরুদ্ধে আরও বেশ কয়েকটি অভিযোগ পেয়েছে। সেসব অভিযোগের তদন্ত শুরু হয়েছে।
ইন্ডিয়া টুডে-কে চেরিস বলেন, 'আমাকে পরিকল্পনা করে ফাঁসানো হয়েছে। তাঁরা আমাকে নকল ডায়মন্ড ও গয়না বিক্রি করেছে চড়া দামে। আমেরিকা ফিরে আমি বুঝতে পারি প্রতারণার শিকার হয়েছি। আরও ১০ জন এভাবে প্রতারিত হয়েছেন বলে শুনেছি।'