গয়না-টাকা নিয়ে পগারপার স্ত্রীবিয়ের নামে প্রতারণা। উত্তরপ্রদেশের আগ্রায় বিয়ের প্রথম রাতে পগাড়পার স্ত্রী। নববিবাহিত স্ত্রী বরকে দুধ খাওয়াতেই ঘটল অঘটন। এর পর এমন ঘটল আজব 'খেলা'। আগ্রার এতমাদ্দৌলার সীতানগর এলাকায় ঘটনাটি ঘটে।
জানা গেছে, ছোট ছেলের বিয়ের জন্য মেয়ে খুঁজছিলেন পরিবার। এরপর আগ্রার ট্রান্স যমুনা ফেজ -২ এর বাসিন্দা দালাল জয়প্রকাশের সঙ্গে দেখা হয়। তিনি নিজেকে একজন আইনজীবী হিসেবে পরিচয় দেন। তিনি দরিদ্র পরিবারের এক পাত্রীর খোঁজ দেন। ১ মে জয়প্রকাশ ছেলের পরিবারের থেকে ৪০,০০০ টাকা নেন। ৪ মে জানানো হয় মেয়েটি দয়ালবাগে পৌঁছেছেন। আজই তাদের বিয়ে দেবেন।
বিয়ের আগে এবং পরে...
এরপর জয়প্রকাশ আরও ৮০ হাজার টাকা নেন। এরপর, নাগলা পাড়ির মহাদেব মন্দিরে বিবাহ সম্পন্ন হয়। ৬ মে রাতে, বিয়ের রাতে স্ত্রী স্বামীকে এবং তার পরিবারের সদস্যদের নেশাজাতীয় কিছু মেশানো দুধ খাওয়ায়। এরপর অজ্ঞান হয়ে পড়েন তাঁরা। সকালে যখন জ্ঞান ফেরে দেখেন আলমারি থেকে গয়না, অন্যান্য জিনিসপত্র এবং দেড় লক্ষ টাকার নগদ অর্থ উধাও হয়ে গিয়েছে। ভুক্তভোগীর পরিবার দালালসহ ছ'জনের বিরুদ্ধে মামলা দায়ের করেছে।
আত্মীয়স্বজন ভুয়ো প্রমাণিত হল
স্বামী জানান, মেয়েটি নিজেকে মির্জাপুরের বাসিন্দা বলে বর্ণনা করেছে। বলেছে যে তার বাবা-মা নেই। তার সঙ্গে থাকা লোকেরা নিজেদেরকে মামা, মামি, পিসি এবং কাকা বলে পরিচয় দিচ্ছিল। পরে, যখন মেয়ের মামার সঙ্গে কথা বলা হয়, তখন তিনি স্বীকার করেন যে টাকা নিয়ে আইনজীবীর পরামর্শে তিনি মামা হয়েছিলেন। তাকে ১০,০০০ টাকা দেওয়ার প্রতিশ্রুতি দেওয়া হয়েছিল কিন্তু বিয়ের পর সে মাত্র ৫০০ টাকা পেয়েছে।
দালাল বলল- ভুলে যান, আবার বিয়ে দেব
ঘটনার পর, পরিবার যখন জয়প্রকাশের কাছে পৌঁছয়, তখন তিনি বলেন যে, এতে কিছু যায় আসে না, যা হয়েছে তা হয়ে গেছে, ভুলে যান। চিন্তা করবেন না, আমি দ্বিতীয় বিয়ের ব্যবস্থা করবেন। সে আরও হুমকি দেয় যে, যদি তারা পুলিশের কাছে যায় বা কাউকে বলে, তাহলে পুরো পরিবারকে মিথ্যা মামলায় ফাঁসিয়ে দেবেন।
তদন্তে পুলিশ
ছাতা আগ্রা পুলিশ কমিশনারেটের এসিপি হেমন্ত কুমার জানিয়েছেন যে, তাকে নেশাজাতীয় পদার্থ খাওয়ানোর পর, মেয়েটি তার বাড়ি থেকে সমস্ত জিনিসপত্র নিয়ে পালিয়ে যায়। এ ব্যাপারে এতমদ্দৌলা থানায় একটি মামলা দায়ের করা হয়েছে। আরও পাঁচজনের বিরুদ্ধে মামলা দায়ের করা হয়েছে।