Why Korean Culture is Popular: অল্পবয়সীদের মধ্যে কোরিয়ান ড্রামা, বিটিএস, ব্ল্যাক পিঙ্ক এত জনপ্রিয় কেন?

গত এক দশকে ভারতে তরুণ প্রজন্মের মধ্যে কোরিয়ান সংস্কৃতির (K-culture) প্রতি আকর্ষণ ব্যাপকভাবে বৃদ্ধি পেয়েছে। বিশেষ করে কোরিয়ান ড্রামা (K-drama) ও কে-পপ (K-pop) ব্যান্ড যেমন বিটিএস (BTS) ও ব্ল্যাকপিঙ্ক (BLACKPINK) বিপুল জনপ্রিয়তা অর্জন করেছে। সোশ্যাল মিডিয়া, ইউটিউব ও ওটিটি প্ল্যাটফর্মের বিস্তারের ফলে এই প্রবণতা আরও তীব্র হয়েছে।

Advertisement
অল্পবয়সীদের মধ্যে কোরিয়ান ড্রামা, বিটিএস, ব্ল্যাক পিঙ্ক এত জনপ্রিয় কেন?

গত এক দশকে ভারতে তরুণ প্রজন্মের মধ্যে কোরিয়ান সংস্কৃতির (K-culture) প্রতি আকর্ষণ ব্যাপকভাবে বৃদ্ধি পেয়েছে। বিশেষ করে কোরিয়ান ড্রামা (K-drama) ও কে-পপ (K-pop) ব্যান্ড যেমন বিটিএস (BTS) ও ব্ল্যাকপিঙ্ক (BLACKPINK) বিপুল জনপ্রিয়তা অর্জন করেছে। সোশ্যাল মিডিয়া, ইউটিউব ও ওটিটি প্ল্যাটফর্মের বিস্তারের ফলে এই প্রবণতা আরও তীব্র হয়েছে।

১. গল্প বলার ধরনটাই আলাদা

কোরিয়ান ড্রামাগুলোতে সাধারণত অনন্য গল্প, চমৎকার সিনেমাটোগ্রাফি এবং আবেগপূর্ণ চরিত্রায়ন থাকে। প্রেম, পরিবার, বন্ধুত্ব ও সামাজিক মূল্যবোধকে কেন্দ্র করে তৈরি এই সিরিজগুলো ভারতীয় দর্শকদের বিশেষভাবে আকৃষ্ট করেছে। কোরিয়ান ড্রামার সংক্ষিপ্ত পর্বসংখ্যা (সাধারণত ১৬-২০ পর্ব) ও আকর্ষণীয় কাহিনি দর্শকদের সহজেই আসক্ত করে তোলে।

২. কে-পপ মিউজিকের বৈচিত্র্য ও গ্ল্যামার

কে-পপ ব্যান্ডগুলো শুধু গান নয়, বরং চমৎকার কোরিওগ্রাফি, স্টাইলিশ ফ্যাশন ও উচ্চমানের মিউজিক ভিডিওর জন্য বিখ্যাত। বিটিএস ও ব্ল্যাকপিঙ্কের মতো ব্যান্ডগুলি গান ছাড়াও তাদের ব্যক্তিত্ব ও সামাজিক বার্তার জন্য তরুণদের মধ্যে জনপ্রিয় হয়ে উঠেছে। বিটিএসের গানগুলোতে আত্মবিশ্বাস, হতাশা জয় ও স্বপ্ন দেখার মতো বিষয়গুলোর ছোঁয়া রয়েছে, যা তরুণদের সহজেই অনুপ্রাণিত করে।

৩. সোশ্যাল মিডিয়ার প্রভাব

ইউটিউব, ইনস্টাগ্রাম ও টিকটকের মতো প্ল্যাটফর্মে কোরিয়ান কনটেন্ট সহজেই পাওয়া যায়। বিশেষ করে বিটিএস ও ব্ল্যাকপিঙ্কের ভক্তরা সোশ্যাল মিডিয়ায় তাদের প্রিয় তারকাদের নিয়ে চর্চা করেন, যার ফলে নতুন দর্শকরাও আকৃষ্ট হন।

৪. ভারতীয় সংস্কৃতির সঙ্গে মিল

কোরিয়ান সংস্কৃতির পারিবারিক মূল্যবোধ ও আবেগের বহিঃপ্রকাশ ভারতীয় সংস্কৃতির সঙ্গে অনেকাংশে মেলে। ফলে দর্শকদের জন্য এটি সহজেই গ্রহণযোগ্য হয়ে উঠেছে।

৫. ওটিটি প্ল্যাটফর্মের প্রসার

নেটফ্লিক্স, অ্যামাজন প্রাইম ও ভিকির মতো ওটিটি প্ল্যাটফর্মগুলো কোরিয়ান ড্রামার জনপ্রিয়তাকে বাড়িয়ে তুলেছে। সাবটাইটেলের সুবিধার কারণে ভাষাগত বাধা থাকলেও দর্শকরা সহজেই কোরিয়ান কনটেন্ট উপভোগ করতে পারছেন।

কোরিয়ান ড্রামা ও কে-পপের জনপ্রিয়তা শুধুমাত্র বিনোদনের জন্য নয়, এটি এখন তরুণদের জীবনের অংশ হয়ে উঠেছে। ভারতীয় তরুণ সমাজের মধ্যে কে-পপ ও কোরিয়ান ড্রামার প্রভাব আগামীতেও আরও বাড়বে বলে মনে করা হচ্ছে।

Advertisement

POST A COMMENT
Advertisement