এক মহিলা অফিসে ছুটি নেওয়ার জন্য এমন কাজ করেছেন, যা দেখে মানুষ হতভম্ব। মহিলা স্যালারি এবং ছুটি দুটোই একসঙ্গে পাওয়ার জন্য নিজেকে প্রেগন্যান্ট হলে অফিসে জানিয়ে দেন। এজন্য তিনি বেবি বাম্প তৈরি করেন। সঙ্গেই এক ব্যক্তিকে নিজের পার্টনার বলে জানিয়ে দিয়েছেন।
কিন্তু সত্যি বিষয়টি সামনে আসার পর আমেরিকার ৩০ বছর বয়সী রবিন ফলসম এর চাকরি চলে যায়। শুধু এটাই নয়, ফলসমের বিরুদ্ধে তদন্ত শুরু হয়েছে। মামলা আদালত পর্যন্ত পৌঁছে গিয়েছে।
মেটারনিটি লিভ এর জন্য অ্যাপ্লাই করতে ডেইলি স্টার রিপোর্ট অনুযায়ী ফলসম একটি মার্কেটিং এজেন্সি থেকে ৭৫ লক্ষ টাকা মাসে স্যালারিতে চাকরি করতেন। তিনি তার নিজের বসের কাছ থেকে মেটারনিটি লিভ নিয়ে নেওয়ার জন্য অ্যাপ্লাই করেন। ফলে বেবি বাম্প দেখে সবাই এটাই মনে করেছিল, যেদিন সত্যি সত্যি সন্তানসম্ভবা। এ কারণে তাকে ছুটি দিয়ে যান এবং খুব দ্রুত তার চুরি ধরা পড়ে।
আসলে ফলসম এক সহকর্মীর তার বেবি বাম্প একটি অস্বাভাবিক লাগে তিনি দেখেন যে তার মহিলার বেবি বাম্প উপর নীচে আপ-ডাউন করছে এবং ওই মহিলা বিভাগে হাত দিয়ে ধরে রাখছেন। এরপরই তিনি ও তার সূচনা অফিসকে দেন। এর পরেই জানা যায়, যে মহিলা আসলে প্রেগনেন্ট নন। প্রেগনেন্ট দেখার জন্য একটা বিশেষ ধরনের বেল্ট পড়ে ছিলেন যাতে তার পেটে বেবি বাম্প দেখা যায়।
আসলে তিনি প্রেগনেন্ট ছিলেনই না এই আর্টিফিশিয়াল বেবি বাম্প লাগিয়ে অফিসের সবাইকে ধোঁকা দেন। এই ধরনের বেবি বাম্প অভিনয়ের ক্ষেত্রে ব্যবহার করা হয়। তিনি আসলে ছুটি এবং স্যালারি দুটোই এক সঙ্গে পাওয়ার জন্য এই পদ্ধতি অবলম্বন করেছিলেন। অভিযোগ ফলসম এর নিজের বাচ্চার কথা জানিয়ে একটা নকল বাবা আবিষ্কার করেন।
রবিন ফলসমের এই ধোঁকাবাজির কোম্পানি অত্যন্ত ক্ষুব্ধ হয় এবং তার বিরুদ্ধে তদন্ত শুরু করে সত্যি কথা সামনে চলে আসার পর তার চাকরিও থেকে তাকে বরখাস্ত করে দেওয়া হয়। ২০২১ এর ঘটনা। এটি এখন প্রতারণার অভিযোগ দায়ের হওয়ার পর বিষয়টি সামনে চলে আসছে।