তা সত্ত্বেও কোনও রকম ঝুঁকি নিতে চাইছে না রাজ্য সরকার। সরকারি সহায়তা তো রয়েইছে। এগিয়ে এসেছে বিভিন্ন স্বেচ্ছাসেবী সংগঠন।
যে পরিমাণ মানুষ করোনায় আক্রান্ত হয়েছেন, তাতে যে কোনও সময় বিপদ বাড়তে পারে। ফলে সেখানে আগাম প্রস্তুতি দরকার।
তাদের যৌথ উদ্যোগে ঠিকনিকাটার অমিত আগরওয়ালা স্মৃতি ভবনে কোভিড আক্রান্ত রোগীদের পরিষেবা প্রদান করতে ৩০ টি বেড বিশিষ্ট সেফ হোম পরিষেবা চালু করা হল।
রবিবার সেফ হোমের রীতিমতো ফিতে কেটে জাঁকজমকপূর্ণ প্রচার করে উদ্বোধন করলেন শিলিগুড়ি পুর প্রশাসক বোর্ডের চেয়ারম্যান গৌতম দেব।
সঙ্গে ছিলেন শিলিগুড়ি পুর প্রশাসকমণ্ডলীর অন্য সদস্য তথা তৃণমূল নেতৃত্ব। সংস্থাকে নিয়মমাফিক ধন্যবাদ জ্ঞাপন করেন তিনি।
এদিন উপস্থিত ছিলেন লায়ন্স ক্লাবের সদস্য়রাও। উপস্থিত ছিলেন লায়ন্স ক্লাবের সদস্য তথা সদ্য কংগ্রেস থেকে তৃণমূলে যোগ দেওয়া নেতা জয়ন্ত সাহা।
এমনিতেই এই ফাউন্ডেশনের তরফ থেকে বহু সমাজসেবামূলক কাজ করা হয়, এদিন সেফ হাউসটিও চালু করা হলে তা পালকে একটা মুকুট জুড়বে।
কোভিডে আক্রান্তের সংখ্যা এদিন ফের উত্তরবঙ্গে সুস্থতার হারের চেয়ে কম ছিল। ফলে একদিকে তাঁরা আশাবাদী সেফ হোমটি যেন যত কম ব্যবহার করতে হয় তত ভাল।
পাশাপাশি সেফ হোমটির পরিচ্ছন্নতা ও হাইজিন মানুষকে বাড়ির মতো পরিষেবা দেবে বলে আশাবাদী আয়োজকরা।
জুন মাস পর্যন্ত আপাতত এটি সেফ হোম হিসেবে ব্যবহার করা হবে। পরে প্রয়োজন হলে মেয়াদ বাড়ানো হবে।
চিকিৎসকরা প্রয়োজনীয় সাহায্য করবে। লায়ন্স ক্লাবের নিজস্ব চিকিৎসক সেট আপ রয়েছে। যেটা কাজে লাগানো হবে।
সামনেই উত্তরবঙ্গ মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতাল। অনেক সময় বাইরে থেকে এসে মেডিক্যাল কলেজে অনেকে বেড পান না।
তাঁরা অনায়াসে এই সেফ হোমটি ব্যবহার করতে পারবেন। বেড খালি থাকলে কাউকে ফেরানো হবে না বলে জানানো হয়েছে।
পাশাপাশি পুষ্টিকর খাবার, ওষুধ সমস্তই বিনামূল্যে মিলবে। সঙ্গে বাড়তি মিলবে পেশাদার হেলথ কেয়ার এক্সিকিউটিভ।
গৌতমবাবু নিয়মিত খোঁজ খবর নেবেন বলেও জানিয়েছেন। পরিষেবা পাওয়ার ক্ষেত্রে কোনও রকম সমস্যা হবে না বলে প্রতিশ্রুতি দিচ্ছেন উদ্যোক্তারাও।
আগামী ১৫ দিনের মধ্যে করোনা আক্রান্তের সংখ্যা নিয়ন্ত্রণে আনতে লক্ষ্যমাত্রা নিয়েছে স্বাস্থ্য দফতর।
সকলে মিলে এভাবে কাজ করলে এবং এগিয়ে এলে দ্রুত লক্ষ্যমাত্রা ছুঁতে পারবেন বলে জানিয়েছেন গৌতমবাবু।