বিজেপি বিধায়কের দফতরে বসে বিদ্যুৎ দফতরে ভুয়ো নিয়োগপত্রের প্রতারণা চক্র চালানোর ঘটনায় আলিপুরদুয়ার জেলা পুলিশ সুপারের দ্বারস্থ রাজ্য তৃণমূলের সম্পাদক সৌরভ চক্রবর্তী। এ বিষয়ে বিধানসভার স্পিকার এবং মুখ্যমন্ত্রীর কাছেও তিনি অভিযোগ করেছেন বলে দাবি করেছেন সৌরভ।
জাল নিয়োগপত্রের প্রতারণা চক্র চালানোর বিষয়ে বিদ্যুৎ বন্টন কোম্পানির তরফেও আলিপুরদুয়ার থানায় লিখিত অভিযোগ দায়ের করা হয়েছে।
শুক্রবার দুপুরে সৌরভ জেলা পুলিশ সুপারের সাথে দেখা করে বিদ্যুৎ দফতরে ভুয়ো নিয়োগপত্র প্রতারণার সাথে যুক্ত অভিযুক্তদের অবিলম্বে গ্রেপ্তারের দাবি তোলেন।
পাশাপাশি তিনি পুলিশ সুপারকে লিখিত আবেদন করেছেন, যদি এই ঘটনার সাথে আলিপুরদুয়ারের বিজেপি বিধায়ক জড়িত থাকে তবে তার বিরুদ্ধেও আইনানুগ ব্যবস্থা নিতে হবে।
বিজেপি অফিসে বিদ্যুৎ বন্টন কোম্পানিতে জাল নিয়োগপত্রের চক্র ফাঁস হতেই তোলপাড় আলিপুরদুয়ার জেলার রাজনৈতিক মহল। এই ঘটনার জল গড়িয়েছে রাজ্য রাজনীতিতেও।
প্রতারণা চক্র বিষয়টি সামনে আসতেই রাজনৈতিক ভাবে বেশ বেকায়দায় পড়েছে গেরুয়া শিবির। এই ঘটনার রাজনৈতিক মোকাবিলায় আসরে নেমেছেন পদ্ম শিবিরের বিধায়ক থেকে শুরু করে জেলা বিজেপি নেতৃত্ব।
শুক্রবার সৌরভ চক্রবর্তী জেলা পুলিশ সুপারের কাছে অভিযোগ দায়ের করার পরই আলিপুরদুয়ার জেলা বিজেপি পার্টি অফিসে সাংবাদিক সম্মেলন করেন বিজেপি বিধায়ক সুমন কাঞ্জিলাল।
এদিনের সাংবাদিক বৈঠকে বিধায়ক সুমন কাঞ্জিলাল পাল্টা আক্রমণ করেন তৃণমূল নেতা তথা প্রাক্তন বিধায়ক সৌরভ চক্রবর্তীকে। সাংবাদিক সম্মেলনে সুমন কাঞ্জিলাল বলেন, বিজেপির দফতরে সারাদিনে প্রচুর মানুষ আসেন।
সবার খোঁজ রাখা সম্ভব না। সুমন বলেন, আমার কোনও আপ্ত সহায়ক নেই। এক যুবক সুদীপ ঘোষ আমাদের দপ্তরে এসে কিছুদিন কাজ ছোটখাটো কাজ করেছেন। তবে তার বিরুদ্ধে আর্থিক লেনদেন অনিয়মের অভিযোগ ওঠায় ওই যুববকে বহিষ্কার করা হয়েছে। সুমন বলেন, পুলিশের কাছে আমরা নিরপেক্ষ তদন্তের দাবি করছি।
এদিন আলিপুরদুয়ারের প্রাক্তন বিধায়ক সৌরভ চক্রবর্তীর সাথে খুনের মামলায় যাবজ্জীবন সাজাপ্রাপ্ত দুই দুষ্কৃতীর ছবি দেখিয়ে বলেন, নির্বাচনের সময় সৌরভ চক্রবর্তী এদের মতো দুষ্কৃতীর সাহায্য নিয়ে নির্বাচন করেছেন। বিধায়ক বলেন সৌরভ চক্রবর্তীর স্কুল ভবনটিও অবৈধ জমির উপর নির্মিত। এবং সৌরভ চক্রবর্তী সরকারি জমি দখল করে তাঁর বাড়ি নির্মাণ করেছেন।