বিহার থেকে বাংলায় ঢুকে আগ্নেয়াস্ত্র দেখিয়ে মদের দোকানে লুঠপাট। লুঠ করেছে প্রায় চার লক্ষ টাকা। থানা থেকে মাত্র ১০০ মিটার দূরে দুঃসাহসিক লুঠপাঠ। আগ্নেয়াস্ত্র দেখিয়ে মদের দোকানে ঢুকে লুঠপাট করে চম্পট দিল চারজন দুষ্কৃতী। ঘটনাটি বাংলা বিহার সীমান্ত মালদার হরিশ্চন্দ্রপুর থানা এলাকার।
প্রায় ৪ লক্ষ টাকা লুঠ হয়েছে বলে অভিযোগ করেন দোকানের মালিক। এই ঘটনার পিছনে এলাকারই একজন প্রভাবশালী ব্যক্তির যোগসাজশ রয়েছে বলে অনুমান করছে ওই দোকানদার। ঘটনাস্থলে পৌঁছয় হরিশ্চন্দ্রপুর থানার আইসি এবং চাঁচল মহকুমার এসডিপিও। শুরু হয়েছে তদন্ত।পুরো লুটপাঠের ঘটনার পিছনে বিহারে দুষ্কৃতীদের যোগ রয়েছে বলে অনুমান পুলিশের।
পুলিশ সুত্রে জানা গিয়েছে, বুধবার প্রতিদিনের মতো সকালবেলায় এই লাইসেন্সপ্রাপ্ত মদের দোকান খোলা হয়। সারাদিন বিক্রির টাকা রাখা ছিল কাউন্টারে। রাত্রিবেলা হঠাৎ বেশ কয়েকজন দোকানের সামনে প্রথমে ঘোরাঘুরি করছিল। এরপরই হিন্দিভাষী বেশ কয়েকজন দোকানের সামনে আসে এবং কথাবার্তা বলতে থাকে।
কিছুক্ষণ পর কাউন্টারের দরজা ধাক্কা দিয়ে ভেতরে প্রবেশ করে। দোকানের কর্মচারীকে আগ্নেয়াস্ত্র দেখায় এবং হিন্দি ভাষায় বলতে থাকে চিৎকার চেচামেচি করলে খুন করা হবে। প্রাণভয় কর্মচারী চিৎকার করতে পারিনি। এরপর আগ্নেয়াস্ত্র দেখিয়ে সারাদিনের বিক্রির প্রায় তিন লক্ষ আশি হাজার টাকা ও বেশ কয়েকটি দামি মদের পেটি তুলে নিয়ে যায়।
যাওয়ার সময় কাউন্টারে থাকা বেশ কিছু দামি মদের বোতল মদের বোতল বিলিয়ে যায়। কাউন্টার থেকে বাইরে বেরিয়ে ৩—৪ রাউন্ড গুলি ফায়ার করতে করতে পালিয়ে যায়।ঘটনার খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে হরিশ্চন্দ্রপুর থানা পুলিশ ও চাঁচল এসডিপিও আসে। ঘটনার তদন্ত শুরু করেছে হরিশ্চন্দ্রপুর থানা পুলিশ।
দোকান মালিক রাহুল প্রামানিক জানান, সরকারি লাইসেন্স প্রাপ্ত মদের দোকানী হয়েও নিরাপত্তাহীনতায় রয়েছি। দোকান থেকে ৫০০ মিটারের মধ্যে রয়েছে পুলিশ থানা। আমাদের যদি এই ধরনের ঘটনা ঘটে তাহলে আমাদের নিরাপত্তা কোথায়। আমার প্রায় ৪ লক্ষ টাকা নিয়ে চম্পট দিয়েছে ওই দুষ্কৃতী দল। আমি চাই ঘটনার পূর্ণ তদন্ত হোক এবং অভিযুক্তকে গ্রেফতার করা হোক। না হলে আগামী দিনে এই দুষ্কৃতী দৌরাত্ম্য আরো বেড়ে যাবে এই হরিশ্চন্দ্রপুরে।
চাঁচোলের সদর মহকুমা শাসক শুভেন্দু মন্ডল জানান, ঘটনার খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে পুলিশ ও আমি এসেছি।ঘটনার তদন্ত চলছে। এখনো কাউকে গ্রেফতার বা আটক করা যায় নি। হরিশ্চন্দ্রপুর থানার পুলিশ আধিকারিক সঞ্জয় দাহ জানান,মালিকের কাছ থেকে সমস্ত ঘটনা শুনেছি। দোকানের সামনে ও ভেতরে যে সমস্ত সিসিটিভি রয়েছে তার ফুটেজ সংগ্রহ করা হয়েছে। সিসিটিভি ফুটেজ দেখে ঘটনার তদন্ত শুরু হয়েছে।ঘটনার তদন্ত শুরু হয়েছে।