চাঁচলে স্কুলে আগুন, পুড়ে ছাই মিড-ডে মিলের খাবার, প্রাণে বাঁচল পড়ুয়ারা

বিদ্যালয়ের মিড ডে মিলের রান্নাঘরে গ্যাস সিলিন্ডারের পাইপ ফুটো হয়ে বিধ্বংসী অগ্নিকান্ড। আতঙ্কিত বিদ্যালয়ের পড়ুয়া থেকে শুরু করে শিক্ষক শিক্ষিকারা।

বৃহস্পতিবার দুপুরে চাঁচলের জেলেপাড়া প্রাথমিক বিদ্যালয়ের ঘটনাটি ঘটে। ঘটনার খবর দেওয়া হয় চাঁচল দমকলে।দমকলের একটি ইঞ্জিন ঘটনাস্থলে পৌঁছে আগুন নিয়ন্ত্রণে নিয়ে আসে।

আগুনের ওই বিদ্যালয়ের প্রায় ২০০ পড়ুয়া অল্পের জন্য এবং শিক্ষক-শিক্ষিকারা তৎপর হওয়ায় প্রাণে বাঁচেন। ২০০ জন পড়ুয়ার মিড ডে মিলের রান্না ক্ষতি হয়েছে বলে জানা গিয়েছে বিদ্যালয়ের তরফ থেকে।

বিদ্যালয়ের সূত্রে জানা যায়, বিদ্যালয়ে টিফিন সময় চলছিল। সকল পড়ুয়ারা বিদ্যালয়ে খেলছিলো। মিড ডে মিলের রান্না ঘর থেকে বিকট শব্দ রাঁধুনিরা এদিক ওদিক ছোটাছুটি করতে শুরু করেন।

রাঁধুনিরাই আতঙ্কিত হয়ে জানান রান্না ঘরে গ্যাস সিলিন্ডারের আগুন লেগেছে। কোনওভাবেই নিয়ন্ত্রণে আনা যাচ্ছে না। আগুনের কথা শুনে পড়ুয়ারাও আতঙ্কিত হয়ে পরে।

সকলকে দ্রুত বিদ্যালয় থেকে বের করে দেওয়া হয়। খবর দেওয়া হয় চাঁচল দমকলে। দমকলের একটি ইঞ্জিন এসে আগুন নিয়ন্ত্রণে নিয়ে আসে।

গ্যাস সিলিন্ডারটিকে রান্না ঘর থেকে বাইরে নিয়ে আসা হয়। তবে এদিনের ওই বিদ্যালয়ের আগুনের ঘটনায় গোটা এলাকায় আতঙ্ক ছড়িয়ে পড়ে।

বিদ্যালয়ের ভারপ্রাপ্তপ্রধান শিক্ষক রামকৃষ্ণ সরকার বলেন, গ্যাস সিলিন্ডারের পাইপ ফুটো হয়ে আগুন লেগেছে। আগুন লাগায় আমরা সকলে আতঙ্কিত হয়ে পড়ি।

ঘটনায় কারও  শারীরিক কোনও ক্ষতি হয়নি। এদিন প্রায় ২০০ জন পড়ুয়া বিদ্যালয়ের উপস্থিত ছিল। সকলেই সুস্থ আছে। তবে এদিনের মিড ডে মিলের রান্না পুরোপুরি নষ্ট হয়ে গিয়েছে।

ফলে চোখের সামনে নষ্ট হয়ে যাওয়া রান্না দেখে না খেয়েই পড়ুুুুুুুয়াদের ফিরে যেতে হয়েছে বাড়িতে। তাতে সামান্য মন খারাপ হলেও প্রাণে বাঁচায় সবাই ঈশ্বরকে ধন্যবাদ দিয়েছেন। খবর দেওয়া হয়েছে স্কুল পরিদর্শকের অফিসে।