scorecardresearch
 
Advertisement
উত্তরবঙ্গ

পৌষের হাওয়ায় নলেন গুড়ের আঘ্রাণ মালদার ঘরে ঘরে, চলছে গুড় তৈরি

পৌষে শুরু গুড়ে পাক
  • 1/6

অমিতাভ বচ্চনের খেজুর গুড় তৈরি নিয়ে রেষারেষির সেই হিন্দি সিনেমা "সওদাগরের" দৃশ্য সকলেরই মনে আছে। এখন পুরাতন মালদার যাত্রাডাঙ্গা গ্রাম পঞ্চায়েত এলাকায়। পৌষ মাস শুরু হতেই সংশ্লিষ্ট গ্রাম পঞ্চায়েতের দুর্গাপুর গ্রামে শুরু হয়েছে খেজুরের গুড় তৈরির রেষারেষি। যার গুড় যত স্বাদে-গুণে ভালো তৈরি হবে, তার ততটাই মিলবে লাভের অঙ্ক।

পৌষে শুরু গুড়ে পাক
  • 2/6

বাড়ির পুরুষেরা শুধু নয়, মহিলারাও হাত মিলিয়েছেন এই কাজে। এখন দুর্গাপুর গ্রামজুড়ে খেজুর গুড় তৈরির দক্ষযজ্ঞ শুরু হয়েছে। ইতিমধ্যে খেজুরের গুড় বরাত দেওয়ার জন্য গ্রামের বাড়ি বাড়ি পাইকারের দল ঘুরতে শুরু করেছেন। চেখেও দেখছেন কার কতটা গুড়ের গুণগত মান ভালো। যার যত খেজুরের গুড়ের স্বাদ ভালো, তার বায়নার পাল্লা ভারী।

পৌষে শুরু গুড়ে পাক
  • 3/6

যদিও খেজুর গুড় প্রস্তুতকারকদের বক্তব্য, তিন মাসের জন্য খেজুরের রস সংগ্রহ করে গুড় তৈরির কাজ করা হয়। আগে থেকে এখন খেজুরের গুড়ের চাহিদা অনেকটাই বেড়েছে। তবে সরকারের কাছে  খেজুর গুড় উৎপাদনের ক্ষেত্রে সহযোগিতার আবেদন জানিয়েছেন তারা।

Advertisement
পৌষে শুরু গুড়ে পাক
  • 4/6

উল্লেখ্য, মালদা জেলার  বরিন্দ এলাকা হিসেবে পরিচিত পুরাতন মালদা ব্লকের পাশাপাশি গাজল, বামনগোলা, হবিবপুর ব্লক। এই এলাকাগুলিতে বিপুল পরিমাণ খেজুর গাছ রয়েছে। তবে সব থেকে বেশি খেজুরের গুড় উৎপাদনের ক্ষেত্রে এগিয়ে রয়েছে পুরাতন মালদা ব্লক। বিভিন্ন গ্রাম পঞ্চায়েতের পাশাপাশি যাত্রাডাঙ্গা গ্রাম পঞ্চায়েতে খেজুরের গুড় উৎপাদনের ক্ষেত্রে বহু মানুষ কাজ করে থাকেন। ওই গ্রাম পঞ্চায়েতের দুর্গাপুর গ্রামের ইতিমধ্যে কুড়িটি পরিবার খেজুর গুড় তৈরির ক্ষেত্রে তোড়জোড় শুরু করে দিয়েছেন।

পৌষে শুরু গুড়ে পাক
  • 5/6

দুর্গাপুর গ্রামের খেজুর গুড় প্রস্তুতকারক এক দম্পতি শৈলেন মল্লিক এবং সুমালা মল্লিক বলেন, কার্তিক মাস থেকেই খেজুর গাছের পরিচর্যা আমরা শুরু করি। এলাকায় যত খেজুর গাছ রয়েছে, তার মধ্যে যে যেমনটা পারে লিজে নিয়ে নেয় । অগ্রহায়ণ মাস থেকেই গাছে হাঁড়ি লাগিয়ে রস সংগ্রহের কাজ শুরু হয়ে যায়।

 

পৌষে শুরু গুড়ে পাক
  • 6/6

আর পৌষ মাস পড়তেই এখন তৈরি করা শুরু হয়ে গিয়েছে খেজুরের গুড়।  এক কেজি খেজুর গুড় তৈরি করতে প্রায় ৮ থেকে ৯ কেজি খেজুরের রস প্রয়োজন হয়। বর্তমানে বাজারে আড়াইশো টাকা কিলো প্রতি খেজুর গুড় বিক্রি হচ্ছে। তবে যার যত স্বাদে-গুনে খেজুরের গুড়ের গুণগত মান ভালো থাকবে। সেই প্রস্তুতকারক আরও ভালো দাম পাবে। 

Advertisement