"প্রাণ ভরিয়ে তৃষা হরিয়ে মোরে আরো আরো আরো দাও প্রাণ" উত্তরবঙ্গবাসীর প্রাণের গান এখন এটাই। একে তো ভারী বৃষ্টির পূর্বাভাস রয়েছে। ট্রেলার হিসেবে রবিবার সকালে কয়েক পশলা বৃষ্টি হয়েছে শিলিগুড়ি-জলপাইগুড়ি-আলিপুরদুয়ারে।
পরিমাণ হিসেবে খুবই অল্প। কিন্তু তাতেই তাপপ্রবাহ উধাও। ভারী বৃষ্টি হোক না হোক, সামান্য বৃষ্টিতেই উত্তরবঙ্গের বুকে প্রাণ ফিরে এসেছে। আপাতত উত্তরবঙ্গবাসী এতেই খুশি। অপেক্ষা এখন ভাসাভাসির।
টানা কয়েকদিনের গরমেই হাঁসফাঁস অবস্থা উত্তরবঙ্গবাসীর। টানা কয়েকদিন তীব্র তাপপ্রবাহ চলেছে। একের পর এক মানুষ অসুস্থ হয়ে পড়েছেন।মৃত্যুর ঘটনাও সামনে এসেছে।
অবশেষে স্বস্তির বার্তা দিয়েছে আবহাওয়া দফতর । সোমবার থেকেই ফের ভারী বৃষ্টিপাতের পূর্বাভাস রয়েছে। যার আভাস মিলেছে রবিবার সকালে।
আগামী ২০ জুলাই পর্যন্ত উত্তরবঙ্গে ভারী বৃষ্টি চলবে। দার্জিলিং, কালিম্পং, জলপাইগুড়ি, আলিপুরদুয়ার, কোচবিহার এই পাঁচ জেলায় ভারী বৃষ্টিভাতের পূর্বাভাস রয়েছে।
রবিবার সকাল থেকে উত্তরবঙ্গের একাধিক জেলায় মেঘলা আকাশ। ডুয়ার্সের নানা জায়গায় বৃষ্টিপাতও শুরু হয়েছে। এদিকে, গত কয়েকদিন ধরেই কলকাতায় বৃষ্টি শুরু হয়েছে। সেই জের এসে পৌঁছল উত্তরবঙ্গেও।
এদিন বিক্ষিপ্তভাবে বৃষ্টিপাতের সম্ভাবনা রয়েছে। তবে দক্ষিণবঙ্গের কোথাও ভারী বৃষ্টির সম্ভাবনা নেই। আবহাওয়া দপ্তর জানাচ্ছে, পূর্ব ও পশ্চিম মেদিনীপুর, ঝাড়গ্রাম, পুরুলিয়া, বাঁকুড়া, কলকাতা, হাওড়া এবং হুগলিতে বিক্ষিপ্তভাবে হালকা থেকে মাঝারি বৃষ্টিপাতের সম্ভাবনা রয়েছে।
উত্তরবঙ্গের আকাশে অবশ্য শনিবার থেকেই কালো মেঘে ঢাকা ছিল সারাদিন। যদিও বৃষ্টি হয়নি। তাই বাসিন্দাদের আশঙ্কা ছিল, রবিবারও বুঝি মেঘ বৃথাই যায়।
কিন্তু শেষমেষ রবিবারের ছুটির বাজারে নেমে এল ধারাপাত। সকাল ১০ টা নাগাদ উত্তরবঙ্গের বিভিন্ন এলাকা জুড়ে বৃষ্টি শুরু হয়। যদিও সবটাই ছিল কয়েক পশলা।
তবে তা শরীর মন শান্ত করার পক্ষে ছিল যথেষ্ট। বাতাসে জলীয় বাষ্প থাকায় অস্বস্তি কিছুটা থাকলেও তাপমাত্রা এক ধাক্কায় কয়েক ডিগ্রি নেমে গিয়েছে। যেখানে দুদিন আগে তাপমাত্রা ৪০ ছুঁই-ছুঁই ছিল। সেখানে রবিবার সকালে উত্তরবঙ্গের গড় তাপমাত্রা নেমে আসে ৩৫ ডিগ্রিতে। ভারী বৃষ্টি শুরু হলে ৩০ এর কাছাকাছি নেমে যাওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে বলে জানিয়েছেন আবহাওয়াবিদরা।