scorecardresearch
 
Advertisement
উত্তরবঙ্গ

শুভদৃষ্টি হল না, তবু পরিণয়পাশে আবদ্ধ শিলিগুড়ির দম্পতি

শুভ পরিণয়
  • 1/6

এই পৃথিবী তাদের কাছে অন্ধকার। তবুও মনের মিল এক হল দুটি মন। বুধবার ধুমধাম করে বিয়ের অনুষ্ঠানে সাত পাকে বাঁধা পড়লেন। সাত পাকে বাঁধা পড়ল ওরা। দৃষ্টিহীন পাত্র বাপি চক্রবর্তী ও দৃষ্টিহীন পাত্রী জ্যোৎস্না দাস শুরু করল নতুন জীবন। শিলিগুড়ির বিধাননগরে দৃষ্টিহীন আবাসিক স্কুলে বিয়ের এই আয়োজনে খাওয়া-দাওয়ার মেনুতেও কিছু কম ছিল না।

শুভ পরিণয়
  • 2/6

জন্মের পর আর এই পৃথিবীর রূপ দেখেনি ওরা। এই পৃথিবী আজ ওদের কাছে অন্ধকার। কারন জন্ম থেকেই ওরা দৃষ্টিহীন । জ্যোৎস্না দাস ও বাপি চক্রবর্তী। বাপি ঝাড়খন্ড জেলার ধানবাদ এলাকার এগড়াকুন গ্রামের বাসিন্দা ও জ্যোৎস্না তিন বছর বয়স থেকে শিলিগুড়ি বিধাননগরের দৃষ্টিহীনদের আবাসিক স্কুল স্নেহাশ্রমের বাসিন্দা। চোখে না দেখলেও দুটি মন মিলতে সময় বাধা ছিল না কোনও।

শুভ পরিণয়
  • 3/6

প্রেমের শুরুটা হয়েছিল বছরখানেক আগে দিল্লিতে একটি কলেজে ভর্তি হতে গিয়ে। সেখান থেকেই দুজনের পরিচয় এবং একে অপরকে ফোন নম্বর দেওয়ার পর মাধ্যমে শুরু হয় যোগাযোগ। তা থেকে প্রেম। অবশেষে ছাদনা তলায় সাত পাকে বাঁধা পড়ল দুজনে। জানা গিয়েছে, বাপি ঝাড়খন্ডে সাউন্ড সিস্টেমের ব্যবসা করেন। সেই সঙ্গে গান বাজনার সাথে জড়িত।

Advertisement
শুভ পরিণয়
  • 4/6

অন্যদিকে জ্যোৎস্না পড়াশোনা করেন। জানা গিয়েছে সম্প্রতি কিছুদিন আগে তারা দুজনেই একে অপরকে বিয়ে করতে চেয়ে সম্মতি প্রকাশ করেন। এরপরই বিধাননগরের ওই দৃষ্টিহীন আবাসিক স্কুলের তরফে দুজনকে বিয়ে দেওয়ার উদ্যোগ নেওয়া হয়। যেহেতু পাত্রীর পরিবারের কেউ নেই তাই তাদেরকে বিয়ে দিতে উদ্যোগ নেন স্থানীয় পুলিশ কর্মী বাপন দাস ও স্কুল কর্তৃপক্ষ।

শুভ পরিণয়
  • 5/6

সম্প্রতি কিছুদিন আগে তাদেরকে বিয়ে দেওয়ার জন্য সাহায্যের আর্জি জানিয়ে সোশ্যাল মিডিয়াতেও পোস্ট করা হয়। এর পরই তাদের বিয়ের জন্য সাহায্যের হাত বাড়িয়ে দেন শিলিগুড়ি সহ ইসলামপুর এলাকার বেশ কিছু স্বেচ্ছাসেবী সংগঠন ও বিশিষ্ট ব্যক্তিরা। অবশেষে বুধবার রাতে ছাদনা তলায় মালা বদল করে হিন্দু রীতিনীতি মেনে তাদের বিবাহ সম্পন্ন হয়। শুধু তাই নয় আর পাঁচটা হিন্দু বিয়ের মত পুরোহিতের মন্ত্র উচ্চারণ মাধ্যমে তাদের বিবাহ সম্পন্ন হয়।

শুভ পরিণয়
  • 6/6

বিয়ের মঞ্চ থেকে শুরু করে গোটা বিয়ের আসরের বাজছিল সানাই এবং ব্যাণ্ডপার্টিও। শুধু তাই নয় বিয়েতে খাবারের মেনুতে ছিল ভাত, ডাল, ভাজা, মাছ, মাংস, চাটনি, দই, মিষ্টি সবই। পাত্র বাপি চক্রবর্তী বলেন, এভাবে বিয়ে হবে বলে কল্পনার বাইরে ছিল। সকলের আশীর্বাদে নতুন জীবন ভাল করে কাটাতে চাই। অন্যদিকে পাত্রী জ্যোৎস্না দাস বলেন, নতুন জীবনে  সকলের আশীর্বাদে দাম্পত্য জীবন শুরু হল সুখে কাটুক এটাই চাই।

Advertisement