ভূতে নিয়ে যাচ্ছে করোনার টিকা ! দিনভর টিকার লাইনে দাঁড়িয়েও লাইন এগোয় না। অথচ দেখা যাচ্ছে টিকাকরণ চলছে। টিকা থেকে বঞ্চিত কয়েকশ মানুষ, ভূতুরে টিকার বিরুদ্ধেই ক্ষোভে ফেটে পড়লেন।
ভূতের টিকা নেওয়াকে কেন্দ্র করেই স্বাস্থ্য কেন্দ্রে এসে করোনার টিকা না পেয়ে টানা এক ঘন্টা পথ অবরোধ করে বিক্ষোভ দেখালো স্থানীয় জনতা।
প্রথম ধাপে পুলিশের হস্তক্ষেপে বিক্ষোভকারিরা পথ অবরোধ প্রত্যাহার করে নিলেও ফের স্বাস্থ্য কেন্দ্রে তুমুল বিক্ষোভ শুরু করে করোনার প্রথম ডোজ নিতে আসা জনতার একাংশ।
সোমবার করোনার টিকা নিয়েই দিনভর উত্তেজনা ছড়িয়ে পড়ে আলিপুরদুয়ার এক ব্লকের পাঁচকেলগুড়ির বাবুরহাট স্বাস্থ্য কেন্দ্রে৷
টিকা নিতে আসা বিক্ষুব্ধ জনতার অভিযোগ সরকারি নিয়মের তোয়াক্কা না করেই টিকা কর্মীরা তাদের পরিচিত মানুষদের আগে টিকা পাইয়ে দিচ্ছেন।
সত্তর বছরের এক বৃদ্ধা রানী বালা রায় বলেন আমি ভাঙ্গা পা নিয়ে ভোর বেলায় টিকা নেবার লাইনে এসে দাড়িয়েছি।কিন্তু ভোর বেলায় যেখানে এসে দাঁড়িয়ে ছিলাম বেলা বারোটা পর্যন্ত সেখানেই দাঁড়িয়ে। টিকার লাইন একটুও এগোয়নি। কিন্তু টিকা দেবার কাজ তো চলছে।
তবে এই টিকা কারা নিয়ে যাচ্ছে। আমরা যারা লাইনে দাঁড়িয়ে আছি তারা কেউ টিকা পাচ্ছি না। তাহলে এই টিকা কারা নিয়ে যাচ্ছে। স্বাস্থ্য কর্মীরা কি ভূতকে টিকা দিচ্ছে? প্রশ্ন তোলেন ভাঙ্গা পায়ে টিকা নিতে আসা এই অশীতিপর বৃদ্ধা।
টিকা নিতে আসা আরেক গৃহবধূ অঞ্জনা রায় বলেন, ঘন্টার পর ঘন্টা টিকার লাইনে দাঁড়িয়ে থেকেও টিকা পাইনি। কিন্তু কারা যেন টিকা নিয়ে যাচ্ছে।তাদের লাইনেও দাঁড়াতে দেখিনি।
একের পর একজন টিকা নিয়ে যাচ্ছে। আর আমাদের টিকার লাইন যেখানে ছিলো। সেখানেই রয়েছে।তবে এই টিকা কাদের দেওয়া হচ্ছে। অঞ্জনা রায় বলেন সরকারি নিয়মের তোয়াক্কা না করেই টিকা কর্মীরা তাদের পরিচিত মানুষদের আগে টিকা পাইয়ে দিচ্ছেন। এই গৃহবধূর বলেন দুপুর বেলা একবার পথ অবরোধ করেছিলাম।
পুলিশ এসে সমস্যার সমাধান করা হবে বলে জানিয়েছেন। তবে পুলিশ চলে যাবার পর ফের একই কাজ শুরু করে টিকা কর্মীরা। তারপর ফের বিক্ষোভ শুরু হয় টিকা কেন্দ্রে। তবে ভূতের টিকা নেওয়াকে কেন্দ্র করে কোনও মন্তব্য করতে চাননি স্বাস্থ্য কেন্দ্রের টিকা কর্মীরা।
আলিপুরদুয়ার এক নম্বর বিডিও শ্রেয়সী ঘোষ জানান স্থানীয় বাসিন্দাদের অভিযোগ খতিয়ে দেখা হচ্ছে।