শেষ রক্ষা হল না। অবশেষে করোনার উপসর্গ দেখা দিলো দূষণমুক্ত দুর্গম বক্সা পাহাড়ের চুনাভাটি গ্রামে। এলাকার প্রথম মহিলা হিসেবে কোভিড আক্রান্ত হলেন ওই মহিলা।
করোনার উপসর্গ দেখা দেওয়ায় ওই মহিলাকে বাঁশের স্ট্রেচারে করে নামিয়ে আনা হল সমতলে। সেখান থেকে স্বাস্থ্য দপ্তরের গাড়িতে করে সেই মহিলাকে নিয়ে আসা হলো ৩৫ কিলোমিটার দূরে আলিপুরদুয়ার জেলা হাসপাতালে।
দূর্গম পাহাড়ি গ্রামে করোনার উপসর্গ দেখা দিতেই বক্সা পাহাড়ের চুনাভাটি গ্রামে হাজির আলিপুরদুয়ার জেলা ও কালচিনি ব্লক স্বাস্থ্য কেন্দ্র।
সমুদ্রপৃষ্ঠ থেকে প্রায় ৩ হাজার ফুট উচ্চতায় এই এই চুনাভাটি গ্রামে ডুকপা জনজাতির বসবাস।
দূষনমুক্ত, নির্মল এই স্বচ্ছ গ্রামে বহিরাগত মানুষদের প্রবেশ একেবারেই নিষিদ্ধ। তবুও কি করে এই গ্রামে করোনার উপসর্গ দেখা দিল তা নিয়ে চিন্তিত জেলা স্বাস্থ্য দপ্তরের আধিকারিকরা।
ভুটান ও বক্সা পাহাড়ের কোলে ছড়িয়ে-ছিটিয়ে রয়েছে ১৩ টি পাহাড়ি গ্রাম। করোনা অতিমারীর জেরে দুর্গম এই গ্রাম গুলোতে বহিরাগতদের প্রবেশ সম্পূর্ণ নিষিদ্ধ।
আলিপুরদুয়ার জেলা শহর থেকে প্রায় ৩৫ কিলোমিটার দূরে অবস্থিত পাহাড়ি এই গ্রাম গুলোতে হাঁটা পথে পৌঁছেতে হয়। বক্সা পাহাড়ের পাদদেশ সান্তালাবাড়ি থেকে এই গ্রাম গুলোর দূরত্ব ৫-১২ কিলোমিটার পর্যন্ত।
দূর্গম পাহাড়ের চড়াই-উতরাই ভেঙ্গে পাহাড়ের পাকদণ্ডী পেরিয়ে এই গ্রাম গুলোতে যেতে হয়। দূষন মুক্ত এই গ্রাম গুলোতে কোন ধরনের অসুখের কথা প্রায় শোনাই যায় না।
চুনাভাটি গ্রামে করোনার উপসর্গ দেখা দেওয়ায় মঙ্গলবার সকালেই সেই গ্রামের উদ্দেশ্যে রওনা হয়ে যায় স্বাস্থ্য দপ্তরের একটি দল।
সেই দলের সাথে চুনাভাটি গ্রামে পৌঁছে যান কালচিনি ব্লকের বিডিও প্রশান্ত বর্মন।
স্বাস্থ্য দপ্তর জানিয়েছে চুনাভাটি গ্রামে করোনার উপসর্গ দেখা দেওয়া ওই মহিলার পরিবারকে কোয়ারেন্টিনে থাকার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।
কালচিনির বিডিও প্রশান্ত বর্মন জানিয়েছেন ওই মহিলার জ্বর, সর্দি কাশি সহ আরো কিছু উপসর্গ রয়েছে।