মদ,গাঁজা,কাফ সিরাপের টাকা জোগাড় করতে বন্যপ্রাণী চোরাচালানে লিপ্ত হচ্ছে শহরের যুব সমাজ। নেশাগ্রস্ত যুবকদের টাকার প্রলোভন দিয়ে এই কাজে নিয়োগ করছে একশ্রেণির চোরাচালান কারবারিরা।
এমনই একটি খবরের ভিত্তিতে আলিপুরদুয়ার শহরের ১৮ নম্বর ওয়ার্ডের মায়া টকিজ রোডে সোমবার একটি গাঁজার ঠেকে হানা দিয়ে পুলিশ আট যুবককে গ্রেপ্তার করেছে।ধৃতদের মধ্যে একজনের কাছ থেকে একটি তক্ষক উদ্ধার করেছে পুলিশ।
এই ঘটনায় পুলিশের প্রাথমিক অনুমান নেশার টাকা জোগার করতেই ধৃত যুবক তক্ষকটি বিক্রির চেস্টা করছিল। তবে এই তক্ষক সে কোথায় পেল, কার কাছে বিক্রি করতো তা জানতে ধৃত যুবককে পুলিশ রিমান্ডে নেওয়া হবে বলে পুলিশ জানিয়েছে।
মায়া টকিজ রোডের ওই গাঁজার ঠেককে কেন্দ্র করে মাঝেমধ্যেই গন্ডগোল লেগে থাকতো। বাসিন্দারা বিষয়টি পুলিসকে জানাতেই পুলিস নড়েচড়ে বসে।এরপরেই রবিবার সাদা পোষাকে একদল পুলিশ গিয়ে ওই গাঁজার ঠেকে অভিযান চালায়।
সেই অভিযানেই ওই গাঁজার ঠেক থেকে আট যুবককে গ্রেপ্তার করে পুলিশ।এরপর ধৃতদের টানা জিজ্ঞাসাবাদ করে একজনের বাড়ি থেকে পুলিস একটি তক্ষক উদ্ধার করে। ধৃতদের মধ্যে সাত যুবকের বিরুদ্ধে পুলিস নেশা সংক্রান্ত আইনে মামলা করা হয়েছে।
অন্যদিকে, যাঁর বাড়ি থেকে তক্ষক উদ্ধার হয়েছে সেই যুবকের বিরুদ্ধে পুলিস বন্যপ্রাণী আইনে মামলা দায়ের করে ঘটনার তদন্ত শুরু করেছে। যাঁর বিরুদ্ধে বন্যপ্রাণী আইনে মামলা করা হয়েছে সেই যুবককে পুলিস আদালতে তুলে নিজেদের হেফাজতে নেবে। আলিপুরদুয়ারের অতিরিক্ত পুলিস সুপার অম্লান ঘোষ বলেন, স্থানীয় বাসিন্দাদের অভিযাগের ভিত্তিতে শহরের মায়া টকিজ রোডে একটি গাঁজার ঠেকে হানা দিয়ে আট যুবককে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। ধৃতদের মধ্যে একজনের বাড়িতে তল্লাশী চালিয়ে একটি তক্ষকও উদ্ধার করা হয়েছে।
ধৃত যুবককে জেরা করে জানার চেস্টা হচ্ছে তক্ষকটি সে কোথায় পেল। গাঁজার ঠেক থেকে একসঙ্গে আট যুবকের গ্রেপ্তারের ঘটনায় শহরের অভিভাবক ও সংশ্লিষ্ঠ মহলও উদ্বিগ্ন। বিভিন্ন মহলে সন্দেহ করা হচ্ছে, তাহলে কি নেশার সামগ্রীর টাকা যোগাড় করতেই শহরের কলেজ পড়ুয়া ওই ধৃত যুবকরা তক্ষক পাচারের মতো বিপজ্জনক অসামাজিক কাজে লিপ্ত হয়েছে?