scorecardresearch
 

শিলিগুড়িতে সিপিএম এবং তৃণমূলের উপর হামলার অভিযোগ তৃণমূলের বিরুদ্ধেই

শিলিগুড়িতে সিপিএম এবং তৃণমূলের কর্মীদে উপর হামলার অভিযোগ তৃণমূলের বিরুদ্ধেই। শিলিগুড়িতে অবাক ঘটনায় হতচকিত গোটা রাজ্য়ই। সেই সঙ্গে অস্বস্তিতে তৃণমূল নেতৃত্ব।

Advertisement
ঘটনাস্থলে অশোক ভট্টাচার্য ঘটনাস্থলে অশোক ভট্টাচার্য
হাইলাইটস
  • সিপিএম এবং তৃণমূলই ভিকটিম
  • অভিযোগ তৃণমূলের দিকে
  • শিলিগুড়িতে অবাক অভিযোগ

গতকাল শিলিগুড়ি পৌরসভার নির্বাচন শেষ হওয়ার পর শিলিগুড়ি ৩৫ নম্বর ও ৩২ নম্বর ওয়ার্ডে সিপিএম প্রার্থীদের বাড়ি ও যারা বুথের পোলিং এজেন্ট ছিলেন তাদের বাড়িতে হামলা চালিয়েছে তৃণমূলের দুষ্কৃতীরা। এমনই অভিযোগ তুললেন শিলিগুড়ি প্রাক্তন মেয়র তথা সিপিএম নেতা অশোক ভট্টাচার্য, সিপিএম জেলা সম্পাদক জীবেশ সরকার। এমনকী তৃণমূলের একাংশও ৩৫ নম্বর ওয়ার্ডের কাউন্সিলর পদপ্রার্থী শম্পা নন্দীর স্বামী জয়দীপ নন্দীর বিরুদ্ধে গুণ্ডাগিরির অভিযোগ জানায়।

সিপিএম কর্মী ও প্রার্থীদের বাড়িতে হামলার অভিযোগ তৃণমূলের বিরুদ্ধে

শনিবার রাতে ঘটনাটি ঘটেছে বলে জানা গিয়েছে। সকালে ৩৫ নম্বর ওয়ার্ড ও ৩২ নম্বর ওয়ার্ডের যে সমস্ত কর্মীদের বাড়িতে ভাঙচুর চালায় এবং কর্মীদের মারধর করা হয় বলে জানা গিয়েছে, সেই সমস্ত বাড়িতে যান। এবং সেই পরিবারের লোকেদের সঙ্গে কথা বলেন, পাশাপাশি তিনি সাংবাদিকদের মুখোমুখি হয়ে জানান গতকাল ৩৫ নম্বর ওয়ার্ড ও ৩২ নম্বর ওয়ার্ডের তৃণমূল কর্মীরা বুথ দখল করতে চেয়েছিল, কিন্তু সিপিএম কর্মীরা বুথ দখল করতে বাধা দেয়। সেই কারণে তৃণমূল দুষ্কৃতীরা সিপিএম প্রার্থী ও কর্মীদের বাড়ি ভাঙচুর চালায়।

গৌতম দেবের দিকে অভিযোগের আঙুল তৃণমূলের

এই হামলার পিছনে সম্পূর্ণভাবে প্রাক্তন মন্ত্রী গৌতম দেবের হাত রয়েছে, গৌতম দেবের মদতে এই হামলা চালানো হয়েছে বলে অভিযোগ করেন অশোক ভট্টাচার্য। আরও জানান যে সমস্ত কর্মীরা আহত হয়েছে তারা ইতিমধ্যে হাসপাতালে ভর্তি রয়েছে তাদেরকে দেখতে যাওয়া হবে এবং সম্পূর্ণ ঘটনা নিয়ে থানায় এফআইআর করা হবে। পুলিশ যদি দোষীদের শাস্তি না দিতে পারে তাহলে তারা পরবর্তীতে আন্দোলনের পথ বেছে নেবেন বলে জানান।

স্থানীয় সিপিএম এবং তৃণমূল কর্মীদের অভিযোগ তৃণমূলেরই কাউন্সিলর প্রার্থীর স্বামীর দিকে

অন্যদিকে স্থানীয়রা অভিযোগ করেছেন এলাকায় রাতে বেসবল স্টিক, বোমা, পিস্তল নিয়ে এলাকায় জয়দীপ নন্দী সিপিএম কারা করেন, তা খুুঁজতে বের হন। সেখানে গিয়ে কয়েকজন মহিলাকে মারধরও করা হয়। পরে আরও মহিলা জমা হয়ে গেলে তাঁরা বোমা ফাটিয়ে, শূণ্যে গুলি চালিয়ে এলাকা থেকে চলে যান। এক যুবক তৃণমূল কর্মী বলে নিজেকে পরিচয় দিয়ে জানান, জয়দীপ ক্ষমতার লোভে তৃণমূল ছেড়ে বিজেপিতে এবং পরে আবার তৃণমূলে ফিরে কাউন্সিলর হতে টিকিট নিয়েছেন। কিন্তু তাঁদের আচরণে শ্রদ্ধা চলে গিয়েছে। তাঁরা জয়দীপের সঙ্গে বিজেপিতে যাননি, তাই তাঁদেরও শায়েস্তা করতে এসেছিলেন বলে জানান তাঁরা।

Advertisement

তৃণমূলের তরফে অবশ্য সমস্ত অভিযোগ অস্বীকার করা হয়েছে। তৃণমূলের জেলা সভাপতি পাপিয়া ঘোষকে বিষয়টি জানতে চেয়ে ফোন করা হলে তিনি ফোন কেটে দেন।

 

Advertisement