রানওয়ের মেরামত ও সংষ্কারের কাজের জন্য এপ্রিল মাসে টানা ১৫ দিনের জন্য বন্ধ থাকবে বাগডোগরা বিমানবন্দর। তাতে বিপাকে পড়তে চলেছে নিত্যযাত্রীদের পাশাপাশি সাধারণ মানুষ ৷ শুধু তাই নয় এর ফলে পর্যটন শিল্পের ক্ষতি হবে বলে আশঙ্কা ট্যুর অপারেটরদের। তাই একেবারে বন্ধ না রেখে আংশিক উড়ান চালানোর দাবিতে চিঠি দিয়ে বিমানবন্দর কর্তৃপক্ষের দ্বারস্থ হতে চলছে পর্যটন ব্যবসায়ীরা।
আন্তর্জাতিক না হলেও বহু দেশ ও রাজ্য নির্ভরশীল
শিলিগুড়ির বাগডোগরা বিমানবন্দরে উপর নির্ভরশীল উত্তরবঙ্গের বিস্তীর্ণ এলাকার পাশাপাশি নেপাল, ভুটান, বাংলাদেশের মতো আন্তর্জাতিক বিমানযাত্রী এবং সিকিম, বিহার, অসম সহ অন্যান্য প্রতিবেশী রাজ্যের মানুষ। শিলিগুড়ি উত্তর পূর্ব ভারতের প্রবেশদ্বার হওয়ায় দিনের পর দিন বেড়েই চলেছে বাগডোগরা বিমানবন্দরের গুরুত্ব।
১১ থেকে ২৫ এপ্রিল বন্ধ থাকবে পরিষেবা
বিমানবন্দর সূত্রে জানা গিয়েছে বাগডোগরা বিমানবন্দর দিয়ে প্রতিদিন ৩৬ টি বিমান চলাচল করে। প্রতিদিন গড়ে আট থেকে নয় হাজার যাত্রী ওই বিমানবন্দর দিয়ে যাতায়াত করে ৷ তবে সম্প্রতি একটি নির্দেশিকা জারি করে আগামী ১১ এপ্রিল থেকে ২৫ এপ্রিল পর্যন্ত বাগডোগরা বিমানবন্দর সম্পূর্ণ বন্ধ রাখার নির্দেশিকা জারি করেছে এয়ারপোর্ট অথরিটি অফ ইন্ডিয়া ৷ আর এতেই উত্তরবঙ্গের পর্যটনের পাশাপাশি চিকিৎসা করাতে যাওয়া মানুষ বিপাকে পড়তে চলেছে।
বিমানবন্দর বন্ধ থাকায় বহু লোকের সমস্যা
বিমানবন্দর টানা বন্ধ থাকায় পর্যটক ও সেখানকার যাত্রী পরিষেবার সঙ্গে জড়িত বহু মানুষের রোজগারও বড়সড় ধাক্কা খাবে। পাশাপাশি বাগডোগরা বিমানবন্দর এর উপর নির্ভর করে উত্তরবঙ্গে আসা পর্যটকদের একটা বড় অংশ ফলে পর্যটন ব্যবসাতেও এর প্রভাব পড়বে বলে আশঙ্কা ব্যবসায়ীদের। এমনিতেই করোনার কারণে সমস্ত পর্যটনকেন্দ্রগুলিকে বন্ধ করে দিয়েছে সরকার তাতেই বিপাকে পর্যটন ব্যবসার সাথে জড়িত কয়েক হাজার মানুষ। তারপর যে সময়ে এই মেরামতের কাজ হবে সেই সময়টা ভরা পর্যটন মৌরসুম ফলে আবারও ক্ষতির আশঙ্কা ব্যবসায়ীদের। তাই তারা এয়ারপর্ট অথরিটি দ্বারস্থ হচ্ছে।
বিমানবন্দর কর্তৃপক্ষের দাবি
বাগডোগরা বিমানবন্দরের ডিরেক্টর সুব্রমনি পি বলেন, ভারতীয় বায়ুসেনা আমাদেরকে চিঠি দিয়ে জানিয়েছিল যে শেষ পর্যায়ের কাজের জন্য বিমানবন্দর বন্ধ রাখা প্রয়োজন। সেইমতো বিমানবন্দর কর্তৃপক্ষ নির্দেশিকা জারি করে ১৫ দিনের জন্য বিমানবন্দরের সমস্ত পরিষেবা বন্ধ রাখার নির্দেশিকা জারি করেছে। রানওয়ের কাজ খুবই গুরুত্বপূর্ণ বলেই এই পদক্ষেপ করা হচ্ছে।
পর্যটন স্টেকহোল্ডারদের দাবি
অন্যদিকে পর্যটন হিমালয়ান হসপিটালিটি ট্রাভেল ডেভলপমেন্ট নেটওয়ার্ক এর সম্পাদক সম্রাট সান্যাল বলেন, শুধু পর্যটন নয় বিশেষ করে স্বাস্থ্য পরিষেবার জন্য বহু মানুষ বাগডোগরা বিমানবন্দর দিয়ে যাতায়াত করেন। এখন করোনা পরিস্থিতির জন্য বাগডোগরা বিমানবন্দরে বিমান পরিষেবা কম রয়েছে। এই সময় রানওয়ের মেরামতের কাজ করা যেতে পারত। কিন্তু আশ্চর্যজনক ভাবে কর্তৃপক্ষ এই সময় বাদ দিয়ে এপ্রিল মাসে করছে। শুধু উত্তরবঙ্গের মানুষ নয় বাগডোগরা বিমানবন্দরের উপর প্রতিবেশী দেশ এবং বেশ কয়েকটি রাজ্য নির্ভরশীল। আমরা বিমানবন্দর কর্তৃপক্ষকে চিঠি দিয়েছি এবং আবেদন করেছি যদি বিকল্প কোন পথ বের করা যায়। "