১২ জুলাই জিটিএ বোর্ডের শপথ। নব-নির্বাচিত ভারতীয় গোর্খা প্রজাতান্ত্রিক মোর্চা বা বিজেপিএমের (BGPM)-এর বিজয়ী সদস্যরা শপথ নেবেন। শপথ গ্রহণ অনুষ্ঠানে উপস্থিত থাকবেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় বলে নিজেই জানিয়েছেন জিটিএ বোর্ডের সম্ভাব্য চিফ অনিত থাপা। সেই সঙ্গে তৃণমূল সাংসদ এবং তৃণমূলের সর্বভারতীয় সম্পাদক অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়ের থাকার কথা রয়েছে। অভিষেক ১১ জুলাই উত্তরবঙ্গে ধুপগুড়িতে একটি কর্মসূচিতে যোগ দিতে আসবেন বলে জানা গিয়েছে। তিনিও জিটিএ শপথ গ্রহণ অনুষ্ঠানে উপস্থিত থাকবেন বলে জানা গিয়েছে।
মুখ্যমন্ত্রীকে স্বাগত জানাতে প্রস্তুতি
এদিকে বাগডোগরা বিমানবন্দর থেকে দার্জিলিং যাওয়ার পথে রাস্তার দুধারে মুখ্যমন্ত্রীকে শুভেচ্ছা এবং স্বাগত জানিয়ে ফ্লেক্স, ব্যানার, হোর্ডিং লাগানোর পরিকল্পনা নিয়েছে বিজেপিএম। পাশাপাশি তৃণমূল কংগ্রেসের ঝান্ডা ও পতাকাও থাকবে বলে জানা গিয়েছে।
মুখ্যমন্ত্রী, অভিষেকের সঙ্গে বৈঠক করেন অনিত
মোট ৪৫টি আসনের মধ্যে ২৭ টিতে জয়ী হয়ে একক সংখ্যাগরিষ্ঠতা হাসিল করেছে নবগঠিত এই বিজিপিএম।মঙ্গলবারই কলকাতায় মুখ্যমন্ত্রীর সঙ্গে দেখা করতে গিয়েছিলেন অনিত থাপা। পাশাপাশি ক্যামাক স্ট্রিটে অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায় অফিসে গিয়েও দেখা করেন। রাজ্য সরকারের সঙ্গে যোগাযোগ রেখে তারা পাহাড়ের উন্নয়নে কাজ করবেন বলে জানিয়েছেন অনিত।
পাহাড়ের বন্দিদের মুক্তির চেষ্টা
কলকাতায় তারা দমদম কেন্দ্রীয় সংশোধনাগারে পাহাড়ের বন্দীদের সঙ্গেও দেখা করেছেন। সেখানে ৭ জন ধারাবাহিক হিংসার ঘটনায় বন্দি হয়ে রয়েছেন। তাদের মুক্তির বিষয়ে আইনজীবীর সঙ্গে কথা বলছে বিজিপিএম। আইনি লড়াই লড়বে জিটিএ বলেই দলীয় সূত্রের খবর।
২০১৬ থেকে রাজ্যের পাশেই অনিত থাপা
২০১৬ সালে জিটিএ থেকে পদত্যাগ করে তৎকালীন শাসক দল গোর্খা জনমুক্তি মোর্চা, বিমল গুরুংয়ের নেতৃত্বে আন্দোলন শুরু করে। এরপর একের পর এক খুন, সরকারি সম্পত্তি নষ্ট সহ দেশদ্রোহিতার মামলায় জড়িয়ে পাহাড় ছাড়েন বিমল গুরুং, রোশন গিরিরা। তখন বিনয় তামাং, অনিত থাপা দুজনে মিলে পাহাড়ে শান্তি ফেরাতে রাজ্য সরকারকে সহযোগিতা করে। পরে নিজেদের মধ্যে মতানৈক্যের জেরে বিনয়, অনিতের সঙ্গ ছেড়ে তৃণমূলে যোগ দেন। এবার জিটিএ-তে অনিত থাপার দল ক্ষমতা দখল করলেও বিনয় তৃণমূলের হয়ে জয়ী হয়েছেন।