ঘরের ভিতর থেকে গলায় গামছা জড়ানো এক যুবকের ঝুলন্ত দেহ উদ্ধারকে ঘিরে চাঞ্চল্য ছড়ালো মালদহের চাঁচলের রাজীব মোড়ে। বৃহস্পতিবার সকালে দরজা ভেঙে পুলিশ দেহ উদ্ধার করে। দেহ উদ্ধার করার সময় পুলিশ দেখতে পায়, দেওয়ালে লেখা 'আমার মৃত্যুর জন্য দায়ী আমার স্ত্রী'। পাশাপাশি লেখা ছিল,আমার বাবা মা ও মেয়েদের খেয়াল রেখো। ঘটনাকে ঘিরে রহস্যের দানা বেঁধেছে।
হাতের লেখা যাচাই করা হচ্ছে
যদিও ওই লেখাটা ওই যুবকের রয়েছে কিনা পুলিশ খতিয়ে দেখছে। মৃতের স্ত্রীকে পুলিশ আটক করে জিজ্ঞাসাবাদ চালাচ্ছে। পুলিশ স্থানীয় সূত্রে জানা গিয়েছে, মৃত ওই যুবক ছোটন কর্মকার (৩৮) পেশায় কাঠমিস্ত্রি। আদিবাড়ি চাঁচলের জেলেপাড়ায়। স্ত্রী ও দুই নাবালিকা কন্যাসন্তানকে নিয়ে এলাকার রাজীব মোড়ে ভাড়া বাড়িতে থাকতেন।
মৃত যুবকের সঙ্গে স্ত্রীর অশান্তি লেগে থাকতো
এদিন ওই যুবকের দেহ উদ্ধারের সময় ঘরের দেওয়া স্ত্রীকে দায়ী করলো কেন? সেটি কার লেখা ? পুলিশ খতিয়ে দেখছে।
নিহতের স্ত্রীর দাবি
তবে এই ঘটনার পরিপ্রেক্ষিতে মৃত যুবকের স্ত্রী সপ্তমী কর্মকার জানান, স্বামী প্রতিনিয়ত মদ্যপ অবস্থায় বাড়িতে আসতেন। সংসারের খরচ ঠিকমতো দিতেন না। এ নিয়ে আমাদের দাম্পত্য জীবনে অশান্তি লেগেই থাকতো ঝগড়ার কারণে আমি তিনি দিন বাপের বাড়িতে আশ্রয় নিয়েছিলাম। বাড়ি ফাঁকা পেয়ে স্বামী এমনটা করে আমাদের ছেড়ে চলে যাবে ভাবতে পারিনি। তবে দেওয়ালে যে লেখা রয়েছে সম্পূর্ণ মিথ্যে। আমাকে ফাঁসানোর জন্য এমনটা করা হয়েছে। যদিও গোটা ঘটনার পরিপ্রেক্ষিতে মৃতস্ত্রী সপ্তমী কর্মকারকে থানায় নিয়ে যাওয়া হয়েছে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য।দেহ ময়নাতদন্তে পাঠিয়ে পুলিশ ঘটনার তদন্ত শুরু করেছে।
মৃতের ভাইয়ের বক্তব্য
যদিও মৃতের ভাই গৌরাঙ্গ কর্মকার জানালেন, দাদা-বৌদির অশান্তি লেগেই থাকত।সকালে শুনলাম দাদার ঝুলন্ত দেহ উদ্ধার হয়েছে। ঘরে ঢুকে দেখি, দেওয়ালে মৃত্যুর জন্য বৌদিকে দায়ী করে লিখে গিয়েছে দাদা। লেখা ছিল আমার বাবা-মা ও দুটি মেয়েকে দেখো। আমরা এর সঠিক তদন্ত ও বিচারের জন্য চাঁচল থানায় লিখিত অভিযোগ জানাব।