যত কান্ড মাসকলাই বাড়ি শ্মশানে
কয়েকদিন আগেই মাসকলাই বাড়ি,তে শ্মশানে কোন করোনা আক্রান্তের দেহ পোড়ানো যাবে না বলে দাবি তুলে বিক্ষোভ শুরু করেছিলেন স্থানীয় বাসিন্দারা। পরিস্থিতি এমন পর্যায়ে যায়, যাতে শান্ত করতে আসরে নামতে হয় পুলিশকে।
ডোম উধাও, বিপাকে মৃতের পরিজন
এবার শ্মশান থেকে উধাও হয়ে গেল ডোম নিজেই। সঙ্গে উধাও তাঁর পরিবারের লোকজনও। ফলে জলপাইগুড়ি জেলার মাসকলাইবাড়ি শ্মশানে দেহ নিয়ে এসে পরিজনদের অপেক্ষা করতে হল সারাদিন। শেষমেষ প্রশাসনের হস্তক্ষেপে তার পরিবারকে বুঝিয়ে শ্মশানে ফেরানো হয়। দীর্ঘ কয়েক ঘণ্টা বিরতির পর ফের শুরু হয় স্বাভাবিক মৃতদেহ পোড়ানোর কাজ।
মাসকলাইবাড়িতে করোনা রোগী পোড়াতে চিহ্নিত করে প্রশাসন
করোনায় আক্রান্ত হয়ে মৃতের দেহ কোথায় পোড়ানো হবে, তা নিয়ে জলপাইগুড়ির মাসকলাইবাড়ি শ্মশানে বেশ কিছু দিন থেকে শুরু হয়েছে টানাপোড়েন। জেলার একমাত্র শিলিগুড়ি লাগোয়া সাহুডাঙ্গি শ্মশানে দেহ পোড়ানোর মতো পরিকাঠামো রয়েছে। কিন্তু শিলিগুড়ি এবং জলপাইগুড়ি জেলার প্রচুর দেহ সেখানে আসায় মৃতদেহ পোড়াতে বহু সময় লেগে যাচ্ছে। চাপ বাড়তে থাকায়, বিকল্প শ্মশানের প্রয়োজন ছিল। সেই জায়গা থেকে জলপাইগুড়ির মাসকলাই বাড়ি শ্মশানে করোনা আক্রান্তের মৃতদেহ পোড়ানোর জন্য চিহ্নিত করে জেলা প্রশাসন।
বাসিন্দাদের অভিযোগ
এরপরই আশপাশের বাসিন্দাদের অভিযোগ, শ্মশান এর আশপাশে থাকার কারণে তাঁদের কাজ দিচ্ছে না লোকে। কারণ যেহেতু করোনা আক্রান্ত মৃতদেহ সেখানে পোড়ানো হচ্ছে। তাই তাদের কাজ দিচ্ছে না কোথাও। তাই ওই শ্মশানে মৃতদেহ পোড়ানো যাবে না। পরে পুলিশ প্রশাসন বুঝিয়ে নিরস্ত করে তাঁদের।
জেলা প্রশাসনের হস্তক্ষেপ ও আশ্বাস
তার ওপর ডোম পালিয়ে যাওয়ায় বিপাকে পড়তে হয় বেশ কয়েকটি করোনা আক্রান্ত মৃতের পরিবারকে জলপাইগুড়ি পুরসভার প্রশাসক বোর্ডের সদস্য দের তরফে জানানো হয়েছে, বিকল্প শ্মশানের বন্দোবস্ত করা হয়েছে জলপাইগুড়িতে। জলপাইগুড়ির জেলাশাসক মৌমিতা গোদারা জানিয়েছেন সাধারণদের সৎকারের জন্য বিকল্প ব্যবস্থা করা হয়েছে।