চিটফান্ড-কাণ্ডে তদন্ত করতে এ বার বীজপুরের বিধায়ক সুবোধ অধিকারী বাড়িতে পৌঁছল সিবিআই। তাঁর বাড়িতে তল্লাশি চালানো হচ্ছে। পাশাপাশি সুবোধবাবুর ভাই তথা কাঁচরাপাড়া পুরসভার পুর-প্রধান কমল অধিকারীর বাড়িতেও তল্লাশি চলছে। এছাড়াও সিবিআইয়ের সাতটি পৃথক দল সাত জায়গায় পৌঁছেছে তদন্ত করতে। হালিশহর পুরসভার চেয়ারম্যান রাজু সাহানিকে দু'দিন আগেই গ্রেফতার করেছে সিবিআই। সেই সূত্র ধরেই সুবোধ এবং কমলের বাড়িতে সিবিআই হানা বলে মনে করা হচ্ছে।
রবিবার সকালে হালিশহর, কাঁচরাপাড়ার বিভিন্ন প্রান্তে সিবিআইয়ের একাধিক দল পৌঁছয় বলে খবর। জেটিয়াতে বীজপুরের বিধায়ক সুবোধ অধিকারী এবং কাঁচরাপাড়া পুরসভার চেয়ারম্যান কমল অধিকারীর পৈতৃক বাড়িতে শুরু হয় তল্লাশি। সুবোধ এবং কমল দুই ভাই। বীজপুরের বিধায়কের ঘনিষ্ঠ ছিলেন রাজু সাহানি বলেই এলাকায় প্রচার রয়েছে। সেই সূত্র ধরেই রাজুর গ্রেফতারির পর সুবোধ অধিকারীর বাড়িতে তল্লাশি চলছে বলে মনে করা হচ্ছে।
যে মামলায় তল্লাশি চালানো হচ্ছে সেটি বর্ধমান সানমার্গ ওয়েলফেয়ার অর্গানাইজেশন নামে একটি চিটফান্ড কোম্পানি।২০১৪ সালে প্রথম অভিযোগ দায়ের হয় কুলটি থানায়। বহু টাকা তছরূপের ঘটনায় ২০১৮ সালে সিবিআই তদন্ত শুরু করে গত বছরও তৃণমূল নেতা তথা বর্ধমান পুরসভার পুর-প্রশাসক প্রণব চট্টোপাধ্যায়কে গ্রেফতার করা হয়েছিল। তিনি আপাতত জামিনে মুক্ত রয়েছেন।
শুক্রবার হালিশহর পুরসভার চেয়ারম্যান রাজু সাহানির বাড়ি থেকে নগদ ৮০ লক্ষ টাকা, আগ্নেয়াস্ত্র, কার্তুজ উদ্ধার করে সিবিআই। এরপরই তাঁকে গ্রেপ্তার করা হয়। যদিও গ্রেফতারির পর রাজুবাবুর দাবি, তিনি চিটফান্ডের সঙ্গে যুক্ত নন।