scorecardresearch
 

মালদায় গলায় অ্যাসিড ঢেলে আত্মহত্যা ক্লাস ইলেভেনের ছাত্রীর

প্রতিদিনের মতো রাতে খাওয়া দাওয়া করে ঘুমাতে যায় একাদশ শ্রেণীর ছাত্রী। আর বাকি ৫টা দিনের মতোই আলাদা কিছু ভাবেনি পরিবারের লোকেরা। কিন্তু রাতেই ঘটল মারাত্মক কাণ্ড। অ্যাসিড খেয়ে নেয় ওই কিশোরী। পরে হাসপাতালে নিয়ে গেলে মৃত্যু হয় তার। কিন্তু কেন ওই কিশোরী আত্মঘাতী হল, তা নিয়ে ধন্ধে পরিবার।

Advertisement
অ্যাসিড খেয়ে মৃত ছাত্রী অ্যাসিড খেয়ে মৃত ছাত্রী
হাইলাইটস
  • রাতে খাওয়ার পরে ঘুমাতে গেল ছাত্রী
  • তারপরেই ঘটল মারাত্মক এই কাণ্ড
  • মালদার ঘটনা

প্রতিদিনের মতো রাতে খাওয়া দাওয়া করে ঘুমাতে যায় একাদশ শ্রেণীর ছাত্রী। আর বাকি ৫টা দিনের মতোই আলাদা কিছু ভাবেনি পরিবারের লোকেরা। কিন্তু রাতেই ঘটল মারাত্মক কাণ্ড। অ্যাসিড খেয়ে নেয় ওই কিশোরী। পরে হাসপাতালে নিয়ে গেলে মৃত্যু হয় তার। কিন্তু কেন ওই কিশোরী আত্মঘাতী হল, তা নিয়ে ধন্ধে পরিবার।

একাদশ শ্রেণির ছাত্রীর অ্যাসিড খেয়ে আত্মহত্যার ঘটনায় চাঞ্চল্য ছড়াল ইংরেজবাজার থানার কাজি গ্রাম পঞ্চায়েতের বাগবাড়ি বাঁধ এলাকায়। মৃত স্কুল ছাত্রীর নাম সঞ্চিতা মণ্ডল। সে স্থানীয় শান্তা ডাব্বা হাই স্কুল এর একাদশ শ্রেণির ছাত্রী। পরিবারে রয়েছে, বাবা ছেদু মণ্ডল, মায়ের নাম মিলনী মন্ডল। সঙ্গে রয়েছে তিন বোন ও এক ভাই। সঞ্চিতা তাদের মধ্যে ছোট। স্থানীয় ও পুলিশ সূত্রে জানা যায়, প্রত্যেক দিনের মতো গতকালকে খাওয়া-দাওয়া করে নিজের ঘরে ঘুমাতে চলে যায়। এরপর ঘরে থাকা অ্যাসিড খেয়ে নেয় ওই স্কুল ছাত্রী। পরিবারের লোকেরা বিষয়টা বুঝতে পারলে তড়িঘড়ি উদ্ধার করে চিকিৎসার জন্য রাতেই মালদা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নিয়ে আসে। চিকিৎসা চলাকালীন গভীর রাতে মৃত্যু হয় ওই স্কুলছাত্রীর। কেন ওই ছাত্রী আত্মঘাতী হল, তা নিয়ে অন্ধকারে পরিবারের লোকেরাও। কারণ তাদের দাবি, ওই ছাত্রীকে কোনওরকম বকাবকিও করা হয়নি। আর কোনওরকম প্রেমের সম্পর্কও ছিল না তার। ফলে পুরো বিষয়টা নিয়ে অন্ধকারে পরিবারের সদস্যরা। 

 মৃতদেহটি উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য মালদা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের মর্গে আনা হয়। মৃত স্কুলছাত্রীর এক আত্মীয় জানান, কী কারণে সঞ্চিতা আত্মঘাতী হল, তা বুঝতে পারছি না। কারণ তার কোনো ভালোবাসা বা পরিবারের তরফ থেকে কোনো রকম বকাবকি করা হয়নি। তবে কী কারণে সে আত্মহত্যা করল, আমরা বুঝে উঠতে পারছিনা। মৃত্যুর পরে শোকের ছায়া নেমে এসেছে মৃত স্কুল ছাত্রীর পরিবার সহ গোটা গ্রামে।

Advertisement

Advertisement