scorecardresearch
 

করোনাকে বুড়ো আঙুল দেখিয়ে রোগীকে নিজের গাড়িতে হাসপাতালে পৌঁছাবেন শিলিগুড়ির অশোক

একদিন তো মরতেই হবে। তাই বলে মৃত্যুকে এভাবে হেলায় বুড়ো আঙুল দেখিয়ে সত্তরোর্ধ্ব যুবক অশোক গুপ্তভায়া করোনা রোগীকে হাসপাতালে পৌঁছবেন? এও সম্ভব! শিলিগুড়ির বর্ষীয়ান ব্যবসায়ী অশোক গুপ্তভায়ার এমন সিদ্ধান্তে হতবাক সকলেই। নিজের গাড়িতে করে করোনা রোগীদের প্রয়োজনে হাসপাতালে পৌঁছনোর সিদ্ধান্ত নিয়েছেন তিনি। যা নিয়ে গোটা শহর তো বটেই রাজ্যে সাড়া পড়ে গিয়েছে।

Advertisement
ফাইল ছবি ফাইল ছবি
হাইলাইটস
  • নিজের গাড়িতে করোনা রোগীকে হাসপাতালে পৌঁছাবেন
  • নিজে হৃদরোগী তবু বেপরোয়া ব্যবসায়ী
  • সম্পূর্ণ বিনামূল্যে করোনা রোগীকে পৌঁছানো হবে

একদিন তো মরতেই হবে। তাই বলে মৃত্যুকে এভাবে হেলায় বুড়ো আঙুল দেখিয়ে সত্তরোর্ধ্ব যুবক অশোক গুপ্তভায়া করোনা রোগীকে হাসপাতালে পৌঁছবেন? এও সম্ভব! শিলিগুড়ির বর্ষীয়ান ব্যবসায়ী অশোক গুপ্তভায়ার এমন সিদ্ধান্তে হতবাক সকলেই। নিজের গাড়িতে করে করোনা রোগীদের প্রয়োজনে হাসপাতালে পৌঁছনোর সিদ্ধান্ত নিয়েছেন তিনি। যা নিয়ে গোটা শহর তো বটেই রাজ্যে সাড়া পড়ে গিয়েছে।

অ্যাম্বুল্যান্স অমিল

তাঁর শরীর ভালো নেই। নিজে হৃদরোগে আক্রান্ত হয়েছিলেন কয়েক বছর আগেই। তারপর  থেকে হাজার রকম বিধি নিষেধ মেনে চলতে হয়। বেশ কিছুদিন হাসপাতালে থেকে লড়াই করে ফিরে এসেছেন ঘরে। তার মধ্যেই করোনা পরিস্থিতি তাঁকে বিচলিত করেছে। একে গাড়ি পাচ্ছেন না রোগীরা। পেলেও মোটা টাকা গচ্ছা দিয়ে তাঁদের হাসপাতালে পৌঁছতে হচ্ছে তাঁকে। যা দেখে শুনে মুষড়ে পড়েছেন তিনি। সেখান থেকেই কঠিন সিদ্ধান্ত নিয়েছেন। বাড়ির লোকের কিন্তু থাকলেও তাঁকে বাধা দেননি কেউ। 

বিনামূল্যে পরিষেবা

এবার তিনি যে উদ্যোগ নিলেন, তা শুধু সমাজসেবামূলক কাজেই  সীমাবদ্ধ থাকলো না, তার মধ্যে জুড়ে গেল মানবিকতার দায়বোধ। তিনি নিজে হৃদরোগী। অথচ নিজের কথা চিন্তা না করেই করোনা রোগীদের স্বার্থে এগিয়ে এলেন তিনি। নিজের গাড়িতেই করোনা রোগীদের পৌঁছে দেবেন হাসপাতাল, নার্সিংহোমে। যে যেখানে যেতে চায় সেখানে। সম্পূর্ণ বিনামূল্যেই এই পরিষেবা দেবেন তিনি।

নিজেরা গাড়ি চড়বেন না, সেই গাড়ি কাজে লাগাবেন

বহু বছর ধরে শিলিগুড়ির বাসিন্দা অশোক গুপ্ত ভায়া। হিলকার্ট রোডে তাঁর হোটেল ব্যবসা রয়েছে তাঁর। হোটেলের বাইরেই রাখা থাকে গাড়ি। এখন করোনা পরিস্থিতিতে কোথাও যাচ্ছেন না। তাই এখন গাড়ির প্রয়োজন তেমন একটা বেশি নেই। আর যেভাবে করোনা রোগীদের হাসপাতাল নার্সিংহোম পৌঁছতে কিছু অ্যাম্বুল্যান্স চালক মোটা ভাড়া চাইছে। তাতে চিন্তায় পড়েছেন বহু মানুষ। সঠিক সময়ে রোগীরাও পৌঁছতে পারছেন না হাসপাতালে।

Advertisement

জীবন মৃত্যু পায়ের ভৃত্য

সে কারণে অশোক বাবু সিদ্ধান্ত নিয়েছেন এবার সন্ধ্যের পর তিনি ও তাঁর গাড়ি চালক করোনা রোগীদের বিনামূল্যে হাসপাতালে পৌঁছে দেবেন৷ অবশ্যই পিপিই, মাস্ক, গ্লাভস পরে সমস্ত রকম সাবধানতা অবলম্বন করেই তিনি রোগী পৌঁছবেন। রোগীর সঙ্গে একজন আত্মীয়কেও নিয়ে যাবেন প্রয়োজন হলে। সকলকে বলছেন শহরে কোথাও মানুষ গাড়ি নিয়ে অসুবিধায় পড়লেই তাকে জানাতে। তবে হৃদরোগী হয়েও সামান্য আতঙ্কও নেই তার মধ্যে। তিনি বলেন,  একদিন মরতে তো হবেই। মারা গেলে ভাল কাজ করেই মারা যাব। ঘরে থেকেও অনেকে করোনায় আক্রান্ত হচ্ছেন। তাই ভয়ে ঘরে বসে থেকেই সুরক্ষিত থাকা যাবে এমন নয়। কিছু ভালো কাজ করে মানুষের উপকার করে গেলে শান্তি পাব।

 

 

Advertisement