scorecardresearch
 

কামতাপুর আন্দোলনের সৃষ্টি ও গতি : জানুন সংক্ষিপ্ত ইতিহাস

১৯৬৯ সাল থেকেই পৃথক রাজ্য়ের দাবিতে আন্দোলন ছড়িয়েছে। কখনও কামতাপুর, কখনও গ্রেটার কোচবিহার, কখনও এলাকা বদলে গিয়েছে। কিন্তু পশ্চিমবঙ্গ থেকে পৃথক হয়ে আলাদা রাজ্যের দাবির বাসনা সুপ্ত রয়েছে একটা বড় অংশের মানুষের মনে। তা নিয়ে হয়েছে নানা রকম আন্দোলন।

Advertisement
কোচবিহার রাজবাড়ি- একটা ইতিহাস কোচবিহার রাজবাড়ি- একটা ইতিহাস

কামতাপুর আন্দোলনের সৃষ্টি

১৯৬৯ থেকে পৃথক কামতাপুর রাজ্যের দাবিতে আন্দোলন শুরু হয়। ’৯৬ সালে সংঘবদ্ধ আন্দোলনের উদ্দেশ্যে তৈরি হয় কামতাপুর পিপলস পার্টি। ২০০৪ পর্যন্ত একসঙ্গে চলার পর, মতপার্থক্যের জেরে তা ভেঙে তৈরি হয় পৃথক প্রোগ্রেসিভ পার্টি। প্রোগ্রেসিভ এর নেতৃত্বে থাকেন সদ্য প্রয়াত অতুল রায়। অন্যদিকে নিখিল রায়ের অধীনে থেকে যায় পিপলস সমর্থকরা।

এলাকা নিয়ে ভিন্ন মত সৃষ্টি

এই দু’টি দলের মধ্যে বিরোধ থাকলেও পৃথক কামতাপুর রাজ্যের দাবিতে মালদা থেকে অসম সীমানা অবধি কামতাপুর রাজ্যের জন্য আন্দোলন করেছেন তাঁরা। তবে কোন এলাকা নিয়ে পৃথক রাজ্য তৈরি হবে, তা নিয়ে বিভিন্ন মত তৈরি হয়। অসমের অল কোচ রাজবংশি স্টুডেন্ট অ্যাসোসিয়েশন নিম্ন অসম থেকে মালদা পর্যন্ত এলাকা প্রস্তাবিত কামতাপুর রাজ্যের মধ্যে রাখার দাবি তোলে।

কোচবিহারকে রাজ্য করার যুক্তি

গ্রেটার কোচবিহার পিপলস পার্টির বা জিসিপিপি কেন্দ্রীয় কমিটির সভাপতি বংশীবদন বর্মনের নেতৃত্বে আরও একটি দলের ব্যবস্থাপনায় সমমনোভাবাপন্ন সংগঠনগুলির জোটের সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়। তাতে কামতাপুর পিপলস পার্টি এমনকী গোর্খা জনমুক্তি মোর্চারও সহযোগিতা চাওয়া হয় সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। জিসিপিপি-র সভাপতি বংশীবদন বর্মন তাঁর দাবিতে জানিয়েছিলেন ভারত-ভুক্তির চুক্তি অনুযায়ী কোচবিহার ‘গ’ শ্রেণির রাজ্য। অসাংবিধানিক ভাবে সেই রাজ্যকে জেলা করা হয়েছে। বারবার তিনি এই দাবি তুলেছিলেন।

২০০৮ এ রক্তক্ষয়ী আন্দোলন

পৃথক রাজ্যের দাবি ঘিরে ২০০৮ সালে রণক্ষেত্র হয়ে ওঠে কোচবিহার। অবিভক্ত গ্রেটার কোচবিহার পিপলস অ্যাসোসিয়েশনের ব্যানারে আন্দোলনের জেরে অতিরিক্ত পুলিশ সুপার, দুই পুলিশ কর্মী এবং দুই আন্দোলনকারী নিহত হন। পুলিশ খুন-সহ একাধিক অভিযোগে বংশীবদন-সহ ৪৫ জনের বিরুদ্ধে মামলা রুজু করে পুলিশ। এরপর বংশীবদন আত্মসমর্পণ করেন। ২০১১ সালে নয়া সরকার আসার পর জামিনে তিনি ছাড়া পান।

ফের একজোট অতুল-নিখিল

Advertisement

অন্যদিকে ফের ২০১০ নাগাদ ফের দুই গোষ্ঠী নিজেদের মধ্যে বিবাদ মিটিয়ে একসঙ্গে কাজ করার সিদ্ধান্ত নেয়। তারপরই প্রোগ্রেসিভ পার্টি উঠিয়ে দিয়ে ফের কামতাপুর পিপলস পার্টি নামে পুরনো দলেই মিশে যান অতুলবাবুরা। নতুন করে পার্টির সভাপতি হন অতুল রায়। সাধারণ সম্পাদক হন নিখিল রায়। আমৃত্যু এভাবেই চলছিল।

রাজ্য সরকারের সঙ্গে সদ্ভাব

পরে তৃণমূলের সঙ্গে সদ্ভাব রেখে গণতান্ত্রিক আন্দোলন চালানোর দিকে নজর দেন তাঁরা। এরপর তৃণমূল ক্ষমতায় এলে রাজ্য সরকার রাজবংশি ভাষা অ্যাকাডেমি সময় বিভিন্ন কাজে সদস্য হিসেবে অতুলবাবুদের নিয়োগ করেন।

 

Advertisement