scorecardresearch
 

লাশের আতঙ্কে ভুয়া প্রচার, মালদায় আতঙ্ক

ভুয়ো মাইকিং এর জেরে আতঙ্ক ছড়িয়েছে মানিকচকে। মাছ বাজারে লোক নেই। মালদার মানিকচকে গঙ্গায় মৃতদেহ ভেসে আসতে পারে বলে প্রচারে আতঙ্ক ছড়িয়েছে। আর তার প্রভাব পড়েছে গুজবের সংক্রমণ মানিকচকের বিভিন্ন মাছ বাজারে। চাহিদা কমায় মাথায় হাত মৎস্যজীবীদের।

Advertisement
গুজবের জের-শুনশান মাছ বাজার গুজবের জের-শুনশান মাছ বাজার
হাইলাইটস
  • লাশ ভেসে আসার আশঙ্কায় আতঙ্ক মালদায়
  • ভুয়া প্রচারে আতঙ্ক বেড়েছে
  • কড়া ব্যবস্থা নেওয়ার আশ্বাস প্রশাসনের

ভুয়ো মাইকিং এর জেরে আতঙ্ক ছড়িয়েছে মানিকচকে। মাছ বাজারে লোক নেই। মালদার মানিকচকে গঙ্গায় মৃতদেহ ভেসে আসতে পারে বলে প্রচারে আতঙ্ক ছড়িয়েছে। আর তার প্রভাব পড়েছে গুজবের সংক্রমণ মানিকচকের বিভিন্ন মাছ বাজারে। চাহিদা কমায় মাথায় হাত মৎস্যজীবীদের।

এখন মৃতদেহ মেলেনি ,তবু আতঙ্ক

মালদার মানিকচকের গঙ্গায়, বিহারে ভাসিয়ে দেওয়া করোনা আক্রান্তের মৃতদেহ ভেসে আসার সম্ভাবনা রয়েছে। এই আশঙ্কা থেকে জেলা প্রশাসনকে ইতিমধ্যেই সতর্ক করেছে রাজ্য সরকার। যার জেরে ইতিমধ্যেই গঙ্গার বিভিন্ন এলাকায় নৌকায় চলছে প্রশাসনের কড়া নজরদারি। কিন্তু শনিবার সকাল পর্যন্ত কোনও মৃতদেহের সন্ধান মেলেনি।

গঙ্গা নিয়ে প্রচারে অতি সক্রিয় স্বেচ্ছাসেবী সংস্থা

কিন্তু বিহারের মৃতদেহ গঙ্গায় ভেসে আসা গুজবে প্রবলভাবে সংক্রমিত মালদার মানিকচক ও পার্শ্ববর্তী বিভিন্ন এলাকার মানুষের জনজীবন। ইতিমধ্যেই স্থানীয় একটি ক্লাব, এবং ভূতনির
হীরানন্দপুর গ্রাম পঞ্চায়েতের তরফে, গঙ্গায় স্নান করা, এই জল ব্যবহার না করার জন্য প্রচার চালানো হচ্ছে। গতকাল মানিকচকের একটি ক্লাব, গঙ্গার জল ব্যবহার বা পান না করা, রান্নায় ব্যবহার না করতে, সোশ্যাল মিডিয়ায় প্রচার শুরু করে। এ নিয়েই যথেষ্ট আতঙ্কের পরিবেশ তৈরি হয়েছে। মালদার মানিকচক সহ সংলগ্ন বেশ কিছু এলাকায়।

সরকারি বিবৃতি

যদিও এ ব্যাপারে মানিকচকের বিডিও জয় আহমেদ জানিয়েছেন, 'সরকারিভাবে এই প্রচারের কোনও নির্দেশিকা দেওয়া হয়নি।' হীরানন্দ পুর গ্রাম পঞ্চায়েতের প্রধান কাজল মন্ডল ও জানান,' এই প্রচারের ব্যাপারে তার কিছু জানা নেই। পঞ্চায়েতের নাম করে কেউ বা কারা এই ধরনের প্রচার করছে। আমরা এ ব্যাপারে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করব।'

গুজবের জেরে বিপাকে মৎস্যজীবীরা

যদিও ততক্ষণে এই গুজব সংক্রমিত করেছে মানিকচক সহ সংলগ্ন বেশকিছু গ্রামের জনজীবনকে। সবথেকে বেশি ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছেন মৎস্যজীবীরা। এই এলাকার একটা বড় অংশের মানুষের পেশা মাছ বিক্রি। এই গুজবের ফলে বিপাকে পড়েছেন তারা। ক্রেতারা আগ্রহ দেখাচ্ছেন না মাছ কিনতে। ফলে বাজারেই পড়ে থাকছে মাছ। আর যেটুকু বিক্রি হচ্ছে, তা বাজার দামের থেকে অনেক কম দামে। অন্যান্য দিনে যে মাছের বাজার দর পাঁচশো থেকে সাতশো টাকা প্রতি কেজি থাকে, সেই মাছ বিক্রি হচ্ছে ১৫০ থেকে ২০৯ টাকায়।
অন্য সময় যে গঙ্গার রুই-কাতলা বিক্রি হয়,৬০০ থেকে ৮০০ টাকা প্রতি কিলো দরে, সেই মাছের বাজার দর এখন গুজবের জেলে ২০০ থেকে ২৫০ টাকা প্রতি কেজি।

Advertisement

আতঙ্কের পিছনে কারণ

বিহারে গঙ্গায় একের পর এক লাশ ভেসে উঠেছে গত কয়েকদিন ধরে। আশঙ্কা করা হচ্ছে এগুলি সমস্ত করোনা রোগের কারণে মারা গিয়ে থাকতে পারে। ফলে গঙ্গা মালদার এই অংশ দিয়েও বয়ে যাওয়ায় লাশ ভেসে আসার আশঙ্কায় সরকারের তরফে নজরদারি শুরু হয়েছে। তা দেখেই আগ বাড়িতে অতি সক্রিয় হয়ে ভুল প্রচার করছে কিছু সংগঠন। তার জেরেই বিপত্তি।

 

Advertisement