Fake Recruitment Scam Wedt Bengal: শিক্ষকের পর এবার সমস্যায় শিক্ষাকর্মীরাও। রাজ্যের বিভিন্ন স্কুলের বহু শিক্ষাকর্মী তথা গ্রুপ-ডি স্টাফের চাকরি অনিশ্চিত। উত্তরবঙ্গেও কয়েকশো এমন কর্মী রয়েছে যাদের নাম হাইকোর্টের খারিজের তালিকায় রয়েছে। শুধু কোচবিহারেই রয়েছে ১০৯ জন গ্রুপ-ডি কর্মীর নাম। হাইকোর্ট শুক্রবার রাজ্যের যে ১৬৯৮ জন গ্রুপ-ডি কর্মীর চাকরি খারিজের আভাস দিয়েছে, সেই তালিকায় উত্তরবঙ্গের লোকজন রয়েছে।
পরিস্থিতি এমন হয়েছে যে, তালিকায় থাকাদের চাকরি চলে গেলে অনেক স্কুলে আর চতুর্থ শ্রেণির কর্মচারী থাকবেনই না। বহু স্কুলে একজনই গ্রুপ-ডি কর্মী রয়েছেন। তিনি চলে গেলে স্কুলের কাজকর্ম সামলানো দায় হয়ে যাবে, কিছুতেই বুঝতে পারছেন না প্রধান শিক্ষক বা অন্যরা, যে কাজ চলবে কীভাবে। আদালতের কড়া মনোভাবের কারণে কেউ এই গ্রুপ-ডি কর্মীদের আশ্বাসও দিতে পারছেন না।
কোচবিহারে উত্তরবঙ্গের মধ্যে সবচেয়ে বেশি এমন তালিকাভুক্ত গ্রুপ ডি কর্মীর নাম রয়েছে। রাজ্য শিক্ষা দপ্তর ইতিমধ্যে এই কর্মীদের বিষয়ে কোচবিহার জেলা বিদ্যালয় পরিদর্শকের দপ্তরকে জানিয়ে দিয়েছে। সেই বার্তা পেয়ে কোচবিহারের জেলা বিদ্যালয় পরিদর্শক (মাধ্যমিক) দপ্তর শনিবারই সংশ্লিষ্ট স্কুলগুলিতে মেল পাঠিয়ে প্রয়োজনীয় নির্দেশ দিয়েছে বলে খবর। কোচবিহার জেলা বিদ্যালয় পরিদর্শক (মাধ্যমিক) সমরচন্দ্র মণ্ডল সংবাদমাধ্যমকে জানিয়েছেন, শিক্ষা দপ্তরের নির্দেশ মেনে স্কুলগুলির সংশ্লিষ্ট গ্রুপ-ডি কর্মীকে আদালত থেকে পাওয়া ১৬৯৮ জনের তালিকা ও রায়ের কপি দিতে বলা হয়েছে। কোচবিহার সহ অন্য জেলাগুলিতেও যে সব কর্মীদের নাম পাওয়া গিয়েছে, তাঁদেরও একইভাবে মেল পাঠানো হয়েছে।
স্কুলগুলি ৩ ওয়ার্কিং ডের মধ্যে সংশ্লিষ্ট গ্রুপ-ডি কর্মীকে দিয়ে প্রাপ্তিস্বীকার করিয়ে সহকারী বিদ্যালয় পরিদর্শকের দপ্তরে জমা দিতে নির্দেশ দেওয়া হয়েছে বলে জেলা বিদ্যালয় পরিদর্শকের অফিস সূত্রে জানা গিয়েছে। এখন বছরের মাঝখানে চাকরি গেলে শূন্যপদে কাজ করবে কে? এই নিয়েই মাথাব্যথা শুরু হয়েছে সব মহলে।