তরতরিয়ে বাড়ছে করোনা। সেইসঙ্গে পাল্লা দিয়ে বাড়ছে মানুষের আতঙ্ক। এরই মাঝে উত্তরবঙ্গের পাহাড় ও ডুয়ার্সে একাধিক সিনেমার শুটিং চলছে। সেগুলির ভবিষ্যৎ নিয়ে ঘোর অনিশ্চয়তা দেখা দিয়েছে।
প্রায় সাত-আট মাস বন্ধ থাকার পর শুরু হয়েছিল ছায়াছবির চিত্রগ্রহণের কাজ। অল্প খরচে ডুয়ার্স, পাহাড়ের মনোরম লোকেশনে শুটিংয়ের সুবিধা নিতে হিন্দি-বাংলা বহু ছায়াছবির শুটিং চলছে। এপ্রিল, মে, জুন বর্ষার আগে দার্জিলিং পাহাড়, গ্যাংটক এবং উত্তরবঙ্গের ডুয়ার্সের জঙ্গল এলাকায় একাধিক ছবির শুটিং প্রিশিডিউল হয়ে আছে। করোনার ঢেউ উত্তরেও আছড়ে পড়ায় এখন এই ছবিগুলির ভবিষ্যৎ নিয়ে প্রশ্ন উঠতে শুরু করেছে। ছবিগুলি শুটিং এর দায়িত্বে আছেন যাঁরা, তাঁরা জানিয়েছেন, গোটা বিষয়টির উপর এবং দেশ-রাজ্যের করোনা পরিস্থিতির ওপর কড়া নজর রাখা হচ্ছে। গত বছর করোনা পরিস্থিতিতে লকডাউনে বহু শুটিং বাতিল করতে হয়েছিল। যাতে বহু টাকার ক্ষতি হয়। এ বছর যদি ফের একই পরিস্থিতির সম্মুখীন হতে হয়, তবে বহু সিনেমা শুটিং তো বটেই ওই ছবিটি নির্মাণ বন্ধ করে দিতে হবে বলে অনেকে জানিয়েছেন।
উত্তরবঙ্গের বহু ছায়াছবির শুটিং কোঅর্ডিনেটর বাবলু বন্দ্যোপাধ্যায় জানিয়েছেন, আগামী তিন মাস শুটিং শিডিউল সম্পূর্ণ বুক রয়েছে। এখনও পর্যন্ত কোনও সিনেমার শুটিং বাতিল না হলেও পরিস্থিতি যে দিকে গড়াচ্ছে, সেদিকে নজর রয়েছে গোটা ইউনিটের। আমরা বিষয়টি নিয়ে আলোচনা করছি। যেগুলি সিনেমার শুটিং অল্প বাকি রয়েছে, সেগুলি এগিয়ে আনা যায় কিনা সে বিষয়টা চিন্তা করা হচ্ছে বলে জানা গিয়েছে। অন্যদিকে উত্তরের অভিনিতে ও একাধিক বহু চলচ্চিত্র পরামর্শদাতা দীপজ্যোতি চক্রবর্তী জানিয়েছেন, বিভিন্ন সিনেমার শুটিং চলছে। মাত্র কয়েক দিন আগেই অচেনা উত্তম কুমার সিনেমার শুটিংয়ে শাশ্বত চট্টোপাধ্যায় সহ একাধিক অভিনেতা ঘুরে গিয়েছেন। ফের আসার কথা রয়েছে শাশ্বতর। রবি কিনাগী উত্তরবঙ্গে শুটিং করবেন। তিনিও এ জন্য খোঁজখবর করেছেন বলেও তিনি জানান। শেষমেষ তিনি শুটিং করবেন কিনা তা আগামী কয়েকদিনের পরিস্থিতি ঠিক করবে। উত্তরবঙ্গে চলচ্চিত্র পর্যটনের উপর যখন জোর দিচ্ছিল রাজ্য, তারমধ্যে নতুন করে করোনা পরিস্থিতি আরও একবার সমস্ত গুলিয়ে দিতে উদ্যত।