রেলের কর্তব্যরত গেটম্যানকে নৃশংস ভাবে কুপিয়ে খুন করল অজ্ঞাতপরিচয় দুষ্কৃতীরা। আলিপুরদুয়ারের দুই নম্বর ব্লকের মাঝেরডাবরি এলাকায়। আলিপুরদুয়ার রেল ডিভিশনের কর্তাদের প্রাথমিক অনুমান, রাতে গেট খোলা নিয়ে বচসার জেরে কোনও দুষ্কৃতী দল ওই গেটম্যানকে নৃশংস ভাবে কুপিয়ে খুন করেছে। রেল পুলিশ জানিয়েছে মৃত ওই গেটম্যানের নাম তাপস মল্লিক (৪০)।
মাত্র সাত মাস আগেই রেলের এই কেবিনে অপর এক গেটম্যান প্রভাত চন্দ্র গোপকে রাতের অন্ধকারে কুপিয়ে খুন করার চেষ্টা করে একদল দুষ্কৃতী। যদিও সে যাত্রায় প্রভাতবাবু প্রাণে রক্ষা পেলেও তাঁকে পাঁচ মাস চিকিৎসাধীন থাকতে হয়। সেই ঘটনায় অভিযুক্তরা এখনও অধরা। তারই মাঝে ফের এমন ঘটনা ঘিরে রেলকর্মীদের মধ্যে চাঞ্চল্য।
রেল সূত্রের খবর, বুধবার রাতে আলিপুরদুয়ার ২ নম্বর ব্লকের মাঝেরডাবরি এলাকায় ১১১ নম্বর রেলগেটের কর্মরত কর্মী তাপস মল্লিকের ওই কেবিনে ডিউটি ছিল। বৃহস্পতিবার ভোর থেকেই বিভিন্ন ট্রেন ওই গেট দিয়ে পাস করার সময় গেটম্যান এর পক্ষ থেকে সিগন্যাল এর কোনও উত্তর পাওয়া যাচ্ছিল না। কর্তব্যরত তাপস মল্লিক ঠিক আছেন কি না তা জানতে মুহূর্তের মধ্যেই ঘটনাস্থলে ছুটে আসেন আলিপুরদুয়ার রেল ডিভিশনের অন্যান্য রেলকর্মীরা। তারা দেখতে পান কেবিন থেকে ৩০০ মিটার দূরে রেললাইনে পড়েছিল তাপসের রক্তাক্ত মৃতদেহ।
দুষ্কৃতীরা তাপসবাবুকে কোনও ধারালো অস্ত্র দিয়ে কুপিয়ে খুন করা হয়েছে বলে মনে করছেন। মাস সাতেক আগে প্রভাতচন্দ্র গোপ এবং তাপস মল্লিকের সঙ্গে পরপর ঘটে যাওয়া দুই ঘটনায় ১১১ নম্বর ওই রেলগেটে অন্য গেটম্যানরা আর কাজ করতে চাইছেন না। রেলের গেটম্যানদের কাছে এখন ১১১ নম্বর রেলকেবিন মৃত্যুর অপর নাম। যদিও রেলের তরফে বলা হয়েছে ১১১ নম্বর গেটে রেল পুলিশ দিয়ে নিরাপত্তা বাড়ানো হবে।
আলিপুরদুয়ার রেল ডিভিশনের ডিআরএম দিলীপ কুমার সিং জানিয়েছেন ঘটনার তদন্ত শুরু হয়েছে। রেলের স্নিফার ডগ দিয়ে দুস্কৃতিদের সন্ধান চলছে। কী কারণে এই খুন তাও তদন্ত করে দেখা হচ্ছে। সংশ্লিষ্ট ১১১ নম্বর রেলগেটে রেল পুলিশ দিয়ে নিরাপত্তা বাড়ানো হবে বলে জানিয়েছেন দিলীপ কুমার সিং। সেই সঙ্গে প্রভাতকুমার গোপের সঙ্গেও কথা বলা হবে বলে জানানো হয়েছে।