ফের সংবাদ শিরোনামে গ্লেনারিজ
জিভে জল আনা সিজলার। কিংবা পাহাড়ি ধোঁয়ার গন্ধ মাখা মোমো। চা, কফির রকমারি। ঘরের কাছে বিদেশি খানার এমন সম্ভার। দার্জিলিংয়ের ভিন্টেজ গ্লেনারিজ এর নাম শোনেননি, এমন মানুষ পাওয়া গোটা রাজ্যে ভার। শুধু রাজ্য কেন, দেশ পার করে বিদেশ থেকে যারা দার্জিলিঙে ঘুরতে আসেন, তাঁদের ডেস্টিনেশন এর অন্যতম লক্ষ্য থাকে একবার অন্তত গ্লেনারিজ এ ঢুঁ মারা। কেত মেরে, সেলফি তোলার জন্য দার্জিলিং এর এই ভিন্টেজ রেস্তোরাঁর জুড়ি মেলা ভার। এহেন টুরিস্ট ডেস্টিনেশন ফের সংবাদের শিরোনামে। তবে সম্পূর্ণ অন্য কারণে।
রেস্তোরাঁ এখন পরিণত হচ্ছে করোনা সেফ হোমে
পাহাড়ে করোনা পরিস্থিতি উত্তরোত্তর অবনতি হওয়ায় গ্লেনারিজ রেস্তোরাঁর দ্বিতীয় দল পাহাড়ের মানুষের জন্য আইসোলেশন ওয়ার্ড তৈরি করার জন্য দিয়ে দিল কর্তৃপক্ষ। ডাইনিং হল এর চেয়ার টেবিল সরিয়ে সেখানে পাতা হচ্ছে শয্যা। আপাতত প্রতিবারই অতিক্রম করার লক্ষ্যে পাহাড়বাসীর জন্য উদাহরণ এই ঐতিহ্যশালী রেস্তোরাঁ।
গ্লেনারিজ এর কর্ণধার এর বক্তব্য
কর্ণধার অজয়ের এডওয়ার্ডের কথায়, এ শহর আমাদের। এ শহর আমার এখানেই ব্যবসা করে এত বছর ধরে বংশপরম্পরায় আমরা দেশী-বিদেশী পর্যটকদের খুশি করেছি। এখন যখন গোটা দেশের অসুখ, আমার পাহাড়ের অসুখ, তখন কি করে পিছিয়ে থাকি!
দ্রুত শুরু হবে আইসোলেশনের কাজ
এডওয়ার্ড ফাউন্ডেশন এর পক্ষ থেকে রেস্তোরাঁ দোতলায় দু একদিনের মধ্যেই শুরু হয়ে যাবে আইসোলেশন। তার প্রস্তুতি শুরু করেছে জেলা স্বাস্থ্য বিভাগ। জেলা স্বাস্থ্য আধিকারিক প্রলয় আচার্য জানিয়েছেন, আইসোলেশনের সমস্ত প্রক্রিয়া মেনে গ্লেনারিজ কর্তৃপক্ষকে সহযোগিতা করা হবে।
স্বাস্থ্য দফতরের আবেদনে সাড়া
গত তিন মে স্বাস্থ্য দপ্তরের দলকে একটি বিজ্ঞপ্তি জারি করা হয়েছিল তাতে বিভিন্ন স্বেচ্ছাসেবী সংগঠন এবং প্রতিষ্ঠানের কাছে আইসোলেশন ওয়ার্ড তৈরি পরিকাঠামো আছে এমন জায়গা চাওয়া হয়েছিল পরিস্থিতি সামাল দিতে। হাসপাতাল নার্সিং হোমে রোগীর সংখ্যা বৃদ্ধি পেয়েছে। নতুন করে আর ভর্তি নেওয়া যাচ্ছে না।
শিলিগুড়িতে গিয়ে চিকিৎসা করানো সবার পক্ষে সম্ভব নয়
পাশাপাশি পাহাড়ের মানুষের সবার পক্ষে শিলিগুড়ি নার্সিং হোমে কয়েক লক্ষ টাকা খরচ করে করোনা চিকিৎসা করানো সম্ভব নয়। তাদের জন্য গিয়ে নারীদের এই উদ্যোগ অত্যন্ত সদর্থক এবং ইতিবাচক হবে বলেই মনে করা হচ্ছে।
প্রয়োজনে বাড়ানো হবে শয্যা
আপাতত কুড়িটি শয্যা চালু করা হচ্ছে প্রয়োজন হলে পরবর্তীতে সর্বাধিক পঞ্চাশটি পর্যন্ত বাড়ানো হতে পারে বলে স্বাস্থ্য বিভাগের তরফ থেকে জানানো হয়েছে। তবে নার্সিংহোম এর মত এখানে কোনো রকম খরচ দিতে হবে না। সম্পূর্ণ বিনামূল্যে থাকা-খাওয়া এবং চিকিৎসার খরচ বহন করবে এডওয়ার্ড ফাউন্ডেশন। প্রয়োজনের সরকারি অনুদান এবং সাহায্য নেওয়া হবে।