Helicopcter Tourism Darjeeling: পাহাড়ে ধস? টয়ট্রেন বন্ধ? সড়পথেও উপরে যাওয়া যাচ্ছে না? তারপরও যাতে পাহাড়ের সৌন্দর্য উপভোগে কোনও অসুবিধা না হয় তার জন্য় বড় পদক্ষেপ করতে চলেছে পর্যটন দফতর। হেলিকপ্টারে পাহাড় দর্শনের অনন্য় সুযোগ নিয়ে এসেছেন। ট্রায়ালও সম্পন্ন। এখন শুধু সার্ভিস শুরু সময়ের অপেক্ষা।
ভ্রমণ পিপাসুদের কাছে দার্জিলিং বরাবরই একটি আকর্ষণের স্থান। আর সেই দার্জিলিঙে এতদিন টয় ট্রেন ছিল অন্যতম আকর্ষণ। পাহাড়ের সৌন্দর্যকে ঘুরে দেখতে টয় ট্রেনের কোনও বিকল্প এতদিন ছিল না। তবে এবার থেকে আকাশ পথেও ঘুরে দেখা যাবে পাহাড়ের সেই অপরূপ সৌন্দর্য। হেলিকপ্টারে চড়ে আকাশ পথে পাহাড়ের সৌন্দর্য ঘুরে দেখতে পারবেন পর্যটকরা। বাংলার পর্যটনকে ঢেলে চালাতে রাজ্যের পরিবহণ দফতর এমনইটাই চিন্তাভাবনা করছে।
বছরের বিভিন্ন সময় দেশের বিভিন্ন জায়গা থেকে পর্যটকরা পাহাড়ের টানে দার্জিলিং সহ পার্শ্ববর্তী এলাকায় এসে থাকেন। পাহাড়ের সৌন্দর্য এবং পাহাড়ের টান পর্যটকদের টানার পাশাপাশি আরও আকর্ষণ বৃদ্ধি করার জন্য একাধিক পরিকল্পনা গ্রহণ করা হয়ে থাকে বিভিন্ন সময়।
বাংলার পর্যটনকে ঢেলে সাজানোর লক্ষ্য নিয়েই এমন পদক্ষেপ নেওয়া হচ্ছে। এই পদক্ষেপ নেওয়া হলে ৩১ বছর পর মিরিকে ফিরবে এমন পরিষেবা। মিরিকে হেলিপ্যাড তৈরি করা যায় কিনা তার জন্য মঙ্গলবার কলকাতার ফ্লাই ট্রেনিং ইনস্টিটিউটের তরফে মিরিকে একটি হেলিকপ্টার অবতরণ করে। এরই পরিপ্রেক্ষিতে এই ট্রায়াল করা হয়।
দার্জিলিঙে হেলিকপ্টার পরিষেবা চালু করা যায় কিনা তার জন্য পশ্চিমবঙ্গ রাজ্য সরকারের পর্যটন দপ্তর এবং কলকাতার ফ্লাই ট্রেনিং ইনস্টিটিউট যৌথভাবে উদ্যোগ নিচ্ছে বলেই জানা যাচ্ছে। কারণ এই হেলিকপ্টার পরিষেবা যদি শুরু করা যায় তাহলে পর্যটনের ক্ষেত্রে দার্জিলিংয়ের ভূমিকা আলাদা হয়ে দাঁড়াবে।
মঙ্গলবারের আগে শেষবার মিরিকে হেলিকপ্টার অবতরণ করেছিল ১৯৯১ সালে। সেই সময় তত্কালীন রাষ্ট্রপতি আর ভেঙ্কটরামন মিরিক সফরে গেলে হেলিকপ্টার অবতরণ করে। শিলিগুড়ি বিমানবন্দর থেকে মঙ্গলবার হেলিকপ্টারটি যাত্রা শুরু করার পর ৯.৪৫ মিনিটে মিরিকে অবতরণ করতে সক্ষম হয়। এই অবতরণ সফল হওয়ার ফলে হেলিকপ্টার পরিষেবা শুরু হওয়া নিয়ে আশা দেখাচ্ছে রাজ্যকে।