Night Toy Train In Darjeeling: টয়ট্রেন(Toy Train) মানেই একটা আলাদা রোমাঞ্চ। দার্জিলিংগামী পর্যটকদের কাছে সবচেয়ে বড় আকর্ষণ এই টয়ট্রেনই। কারণ গোটা দেশে মাত্র দু'জায়গায় এমন টয়ট্রেন চলে। যার মধ্যে হেরিটেজ তকমা দার্জিলিংয়ের টয়ট্রেনেরই রয়েছে। তাই দার্জিলিংয়ে ঘুরতে এসে টয়ট্রেনে চড়াটাই মুখ্য হয়ে ওঠে। এবার সেই টয়ট্রেনে যদি রাতেও ভ্রমণের সুযোগ মেলে, তাহলে কেমন হয়? কল্পনা নয়, বাস্তবে এই সুযোগ মিলতে চলেছে। সেই সুযোগ পেতে হলে কী করতে হবে আসুন জেনে নিই।দার্জিলিং (Darjeeling Himalayan Railway) হিমালয়ান রেলওয়েকে বিশ্বের দরবারে আরও জনপ্রিয় করতে এই উদ্যোগ নিয়েছে ডিএইচআর কর্তৃপক্ষ। খুব শীঘ্রই রাতে টয়ট্রেন চালানোর নির্দেশিকা জারি করা হবে বলে জানানো হয়েছে।
রাতে চলবে টয়ট্রেন
এতদিন দিনের বেলাতেই চলত টয়ট্রেন। পাহাড়ি বিপদসঙ্কুল রাস্তায় এই ট্রেন চালানোর ঝুঁকি নেওয়া হয়নি। এবার সেই উদ্যোগ নেওয়া হচ্ছে। সারাদিন কুয়াশা পড়ে পাহাড়ি এলাকায়। সেক্ষেত্রে দিনের আলোতেও অনেক সময় আলো জ্বালিয়ে যেতে হয়। সেভাবেই রাতেও আলো জ্বালিয়ে যাত্রা করবে ট্রেনটি।
ঘুম ফেস্টিভ্যালের অংশ হিসেবে চলবে রাতের টয়ট্রেন
১২ নভেম্বর থেকেই পাহাড়ে চলবে জয় রাইড। এমনটাই জানিয়েছেন দার্জিলিং হিমালয়ান রেলওয়ের অধিকর্তারা। এই টয় ট্রেনের যাত্রা দার্জিলিং স্টেশন থেকে ১০ কিলোমিটার দূরের ঘুম রেলস্টেশন পর্যন্ত। আসলে আগামী ১২ নভেম্বর থেকে পাহাড়ে শুরু হচ্ছে ঘুম ফেস্টিভ্যাল। সমুদ্রপৃষ্ঠ থেকে ৭৪০৭ ফুট উঁচুতে অবস্থিত দার্জিলিং লাগোয়া ঘুমের একটা আলাদা টান রয়েছে পর্যটকদের কাছে। ২০২১ সালে প্রথমবার ঘুম ফেস্টিভ্যালের আয়োজন করা হয়েছিল। এবার এই ফেস্টিভ্যাল দ্বিতীয় বছরে পা দিল। ঘুম ফেস্টিভ্যাল শুরু হবে ১২ নভেম্বর থেকে। চলবে ৪ ডিসেম্বর পর্যন্ত।
শীতের পাহাড়ে বাড়তি আকর্ষণ
রেলের তরফে জানানো হয়েছে, ঘুম ফেস্টিভ্যালের দিনগুলিতে ঘুম স্টেশন থেকে দার্জিলিং স্টেশন পর্যন্ত ১০ কিলোমিটার পথে টয়ট্রেন জয় রাইড চালাবে দার্জিলিং হিমালয়ান কর্তৃপক্ষ। পাহাড়ে ইতিমধ্যেই শীত পড়ে গিয়েছে। সরকারিভাবে নাই বা পড়ুক, আসলে এখন পাহাড়ে সমতলের শীতের চেয়েও বেশি ঠান্ডা। দার্জিলিং হিমালয়ান রেলওয়ের তরফে জানানো হয়েছে, ঘুম ফেস্টিভ্যালের আকর্ষণ বাড়াতে ঘুম থেকে দার্জিলিং স্টেশন পর্যন্ত টয়ট্রেন চালানোর পরিকল্পনা নেওয়া হয়েছে। খুব শীঘ্রই এর নির্দেশিকা জারি করা হবে। এর পাশাপাশি এই ফেস্টিভ্যালের অঙ্গ হিসেবে রয়েছে, নানান ধরণের সাংস্কৃতিক কার্যকলাপ। রয়েছে বিভিন্ন রকমের প্রতিযোগিতামূলক অনুষ্ঠান।