বাঁধা খদ্দের হাতছাড়া
তালিবানি ফতোয়ায় বন্ধ হয়েছে ভারত থেকে আফগানিস্তানে সমস্ত রকম রফতানি। ফলে যে বিপুল পরিমাণ খাদ্য শস্য ও অন্য়ান্য় সামগ্রী সে দেশে যেত তা থমকে গিয়েছে। সেই সঙ্গে বন্ধ হয়েছে উত্তরবঙ্গের চা রফতানিও। চা বলয়ে কার্যত বাঁধা খদ্দের হারিয়ে মাথায় হাত।
চা রফতানি পবন্ধ আফগানিস্তানে
একদিকে, যখন ভারতীয়রা আফগানিস্তান থেকে ভারতে ফিরে আসতে উদ্বিগ্ন। ঠিক সেই সময় উত্তরবঙ্গ থেকে আফগানিস্তানে চা রপ্তানি বন্ধ হয়ে যায়। তালিবানদের ফতোয়া জারির কারণে ভারত থেকে আমদানি -রপ্তানির ওপর বিধিনিষেধ।
ভারতের সঙ্গে বাণিজ্য বন্ধে তালিবানি ফতোয়া
আফগানিস্তানে তালিবানদের দখল এবং তালিবানের সাথে ভারতের কূটনৈতিক অবস্থান ভালো না হওয়ায় চা আর আফগানিস্তান অতিক্রম করছে না। ভারত থেকে আমদানি -রপ্তানি বন্ধ করার জন্য একটি ফতোয়া জারি করা হয়েছিল, যার ফলে উত্তরবঙ্গে চা রপ্তানিতে সমস্যা দেখা দেয়।
প্ল্যান্টার্স অ্যাসোসিয়েশনের দাবি
প্ল্যান্টার্স অ্যাসোসিয়েশনের পরামর্শক কমিটির (সিসিপিএ) সাধারণ সম্পাদক অরিজিৎ সাহা বলেছেন, আফগানিস্তানে চা পান করার প্রবণতা অনেক বেড়েছে। সম্প্রতি কয়েক বছরে কাবুলিওয়ালাদের দেশে চা রফতানিও ধীরে ধীরে বেড়েছিল। নতুন ও পরিবর্তিত পরিস্থিতিতে চা রপ্তানি বন্ধ না হলে রফতানি আরও ভাল হতো।
করোনার হাত ধরে আফগানিস্তানে ভারতীয় চায়ের কদর বৃদ্ধি
করোনার সময় গরম জল পান করার উপর জোর দেওয়ায় ভারতীয় চা আফগানিস্তানের মাটিতে ঝাণ্ডা গেড়ে জমি দখল করে। এই নিষেধাজ্ঞার ফলে চা রপ্তানি পুরোপুরি বন্ধ হয়ে গিয়েছে, যা চা শিল্পের জন্য মোটেও ভালো নয়।
ভারত থেকে ১ শতাংশ চা আফগানিস্তানে যাচ্ছিল
চা বোর্ডের মতে, ২০২০-২১ অর্থবছরে ভারত থেকে রপ্তানি করা চায়ের পরিমাণ ছিল ৬ লাখ কেজি। পরিষেবা রপ্তানি থেকে আয় ছিল ১১.১৭ কোটি টাকা। ভারতীয় চা রফতানির মোট রফতানির ১ শতাংশ আফগানিস্তানে যাচ্ছিল। যা পরিমাণে খুব একটা কম নয়।অন্যদিকে, পাকিস্তান থেকে প্রতিবেশী দেশ আফগানিস্তানেও চা রপ্তানি করা হয়েছিল। যদিও তা মানে খুব একটা ভাল নয়। কিন্তু রাজনৈতিক পরিবর্তিত পরিস্থিতিতে নিষেধাজ্ঞার পর এবার কি পাকিস্তান থেকে আফগানিস্তানে চা রপ্তানি হতে পারে বলে মনে করা হচ্ছে।
বড় ক্ষতি মানছেন চা বিশেষজ্ঞরা
উত্তরবঙ্গের চা বাগান বিশেষজ্ঞ জনাব রাম অবতার শর্মা বলেন, ভারত বছরে প্রায় ২.৫ লাখ কিলোগ্রাম চা রপ্তানি করে। এর চায়ের ১ শতাংশ যায় আফগানিস্তানে। তাই চা শিল্পের মতে ১ শতাংশ ঘাটতি চা শিল্পের জন্য একটি বড় ক্ষতি।