scorecardresearch
 

শেষ সুযোগ, নিজের বিধানসভায় এবার কাউন্সিলর হতে লড়বেন গৌতম দেব

শেষ সুযোগ। একদা দোর্দন্ডপ্রতাপ গৌতম দেব এবারও শিলিগুড়ি পুরভোটে তৃণমূলের মুখ। কিন্তু তাঁকে চ্যালেঞ্জ নিতে হবে নিজের একদা দখলে থাকা ও বর্তমানে হেরে যাওয়া বিধানসভার একটি ছোট ওয়ার্ডে। জিতলে মেয়র। হারলে...?

Advertisement
গৌতম দেব গৌতম দেব
হাইলাইটস
  • অগ্নিপরীক্ষায় গৌতম দেব
  • শেষ সুযোগ প্রাক্তন মন্ত্রীর কাছে
  • নিজের বিধানসভায় কাউন্সিলর পদে লড়বেন তিনি

বিধানসভায় যেখান থেকে জিতে মন্ত্রী হয়েছিলেন পরপর দু'বার। সেখান থেকেই ২০২১ এর বিধানসভা নির্বাচনে হেরে বিধায়ক পদ খারিজ হয়েছে দুবারের মন্ত্রী গৌতম দেবের। ভাগ্য়ের পরিহাসে তাঁকে এখন ওই বিধানসভারই একটি ছোট ওয়ার্ডে কাউন্সিলর পদে লড়াই করতে হচ্ছে। শিলিগুড়ি পুর নির্বাচনে তৃণমূলের প্রার্থী তালিকায় নাম রয়েছে তাঁরও। জিতলে মেয়র, হারলে এরর।

গৌতম ছাড়া মুখ নেই তৃণমূলেও

এবার ডাবগ্রাম-ফুলবাড়ি বিধানসভার অন্তর্গত ৩৩ নং ওয়ার্ডে কাউন্সিলর পদে টিকিট পেয়েছেন তিনি। দীর্ঘ জল্পনার পর বৃহস্পতিবার রাতে চমক দিয়ে কলকাতা থেকে প্রার্থী তালিকা ঘোষণা করল তৃণমূল কংগ্রেস। প্রার্থী তালিকায় জায়গা পেয়েছেন দলের মুখপাত্র, যুব সভাপতি সহ বেশকিছু নতুন মুখ। কিন্তু শেষমেষ সিপিএমের অশোক ভট্টাচার্যের মতোই গৌতম ছাড়া মুখ নেই তৃণমূলে। ইতিমধ্যেই বাম-বিজেপি-কংগ্রেস ভাঙিয়ে প্রার্থী দিয়েছে তৃণমূল। ফলে এবার পুরনিগম দখলে মরিয়া ঘাসফুল শিবির। 

প্রশাসকের দায়িত্ব সামলেছেন, এবার মেয়র হতে চান

শিলিগুড়িতে পুরনিগম, মহাকুমা পরিষদ ও বিধানসভা নির্বাচনে গত কয়েক বছর ধরে তৃণমূলের ভরাডুবি। এর জন্য দলের শীর্ষ নেতাদের কাছে মাথানত হয়ছিল তৃণমূলের জেলা নেতৃত্বর। তবে এবার তৃণমূলের অগ্নিপরীক্ষা শিলিগুড়ি পুরনিগমের দখল। আর তাই তাতে কোনো রকম খামতি রাখতে চাইছে না শাসক দল। নির্বাচনের দিনক্ষণ ঘোষণা হতেই গৌতম দেবকে মুখ করেই ময়দানে নেমেছে ঘাসফুল শিবির। বিধানসভায় হার সত্ত্বেও  প্রশাসকের আড়ালে মেকশিফট মেয়র বানিয়ে তৃণমূলের প্যানেলকেই বসানো হয়েছিল বলে বিরোধীরা বারবার অভিযোগ জানিয়েছিলেন।

প্রার্থী তালিকায় তেমন চমক নেই

অবশেষে বৃহস্পতিবার রাতে কলকাতা থেকে প্রার্থী তালিকা প্রকাশ করে দলের শীর্ষ নেতৃত্ব। শিলিগুড়ি পুরনিগম দখল করতে অভিজ্ঞতার পাশাপাশি নতুন মুখের ওপর ভরসা রেখেছে তৃণমূল। তবে চর্চার কেন্দ্রে গৌতম দেবই।অন্যদিকে ১৫ নম্বর ওয়ার্ড থেকে প্রার্থী হলেন বিদায়ী বিরোধী দলনেতা রঞ্জন সরকার। ৪৫ নং ওয়ার্ড থেকে টিকিট পেয়েছেন জেলার মুখপাত্র বেদব্রত দত্ত। ২১ নম্বরে প্রার্থী হল যুব সভাপতি কুন্তল রায়। শুধু তাই নয় এবার নতুন মুখ হিসেবে জায়গা পেলেন সমাজসেবী অভয়া বসু। ১৬ নম্বর ওয়ার্ড থেকে আইনজীবী সঞ্জীব চক্রবর্তী। সেই সাথে সদ্য অন্য দল থেকে যাঁরা তৃণমূলে এসেছেন, তাঁদের মধ্যে প্রায় প্রত্যেকেই প্রার্থী হয়েছেন। প্রার্থী তালিকায় নতুন প্রার্থী হলেন ৩৬ জন।

Advertisement

পুরনো মুখ রয়েছে বেশ কিছু

২৪ নম্বর ওয়ার্ডে বিজেপি প্রার্থী শঙ্কর ঘোষের বিরুদ্ধে প্রার্থী করা হয়েছে তৃণমূলের বর্ষীয়ান নেতা প্রতুল চক্রবর্তীকে। গতবার এই প্রতুল চক্রবর্তীকে মাত্র ১৪ ভোটে পরাজিত করেছিলেন শংকর ঘোষ। যদিও তখন তিনি সিপিএমে ছিলেন। এদিকে ৬ নম্বর ওয়ার্ডে অশোক ভট্টাচার্যের বিরুদ্ধে প্রার্থী করা হয়েছে নতুন মুখ মহম্মদ আলমকে। গতবার উনি তৃণমূলের টিকিট না পেয়ে নির্দল হয়ে দাঁড়িয়েছিলেন। এছাড়াও টিকিট পেয়েছেন রঞ্জন শীলশর্মা, দুলাল দত্ত, অলোক ভক্ত। এরা প্রত্যকেই বিদায়ী কাউন্সিলর।

চেয়ারম্যানের দাবি

তৃণমূলের জেলা চেয়ারম্যান অলোক চক্রবর্তী বলেন, আমরা নিশ্চিত মানুষ আমাদেরই ভোট দেবে।আমাদের এবার কোনও প্রতিপক্ষ নেই। এই ৪৭ জনকে নিয়েই আমরা নির্বাচনে লড়াই করে বোর্ড দখল করব।

Advertisement