ডিয়ার লটারির টিকিট কেটে এবার কোটিপতি মালদার এক সিভিক ভলন্টিয়ার। প্রথম পুরস্কার তো পেয়েছেন, কিন্তু এত টাকার চাপ সহ্য করতে না পেরে আতঙ্কে হাত-পা কাঁপতে শুরু করে ওই সিভিক ভলান্টিয়ারের।আতঙ্কে ওই সিভিক ভলান্টিয়ার দ্বারস্থ হয়েছেন পুলিশের। দাবি, তাঁর টিকিট সহ তাঁকে নিরাপত্তা দেওয়া হোক।
মালদার রতুয়া-২ নং ব্লকের সিমলা গ্রামের সিভিক এখন কোটিপতির তালিকায়। স্বাভাবিক ভাবে নিরাপত্তার জন্য রতুয়া থানার দ্বারস্থ হয়েছে ওই যুবক। সিভিক ভলান্টিয়ারকে পাহারা দিচ্ছে এখন পুলিশ।
জানা গিয়েছে, প্রথম পুরস্কার প্রাপক ও ভলান্টিয়ারের নাম সেনাউল হক। বাড়ি মালদার রতুয়া থানার সিমলা গ্রামে। সে সামসি জিআরপিতে সিভিক ভলান্টিয়ার পদে কর্মরত। বাড়িতে রয়েছে অসুস্থ মা ও চার ভাই। কোটিপতি সেনাউল জানালেন,সম্প্রতি একমাস হল টিকিট কাটতে শুরু করি। তবে নিজের সাধ্য মত টিকিট ক্রয় করতাম। এদিন ষাট্ টাকা দিয়ে দশ সিরিজের টিকিটগুলি কেনেন তিনি। মোবাইলে ফলাফল দেখতেই চক্ষু চড়কগাছ।
তিনি আরও জানান,মা দীর্ঘদিন ধরেই অসুস্থ। অর্থের অভাবের কারণে তাঁর মায়ের চিকিৎসা ঠিক মতো চালাতে পারছিলাম না। তাই সেনাউলের দাবি এত টাকা পাওয়ার পর তিনি প্রথমে মায়ের সঠিক চিকিৎসা করাবেন। তারপর পরিবারের জন্য একটি ভাল বাড়ি তৈরি করবেন। বছর শেষে কোটিপতি হওয়ার খুশি সেনাউল সহ তার পরিবার। তাকে দেখতে থানার চৌকাঠে এখন উঁকি মারতে আসছে পরিজন ও বন্ধুরা।
রতুয়া থানার আইসি সুবীর কর্মকার জানান, তাঁর নিরাপত্তার ব্যবস্থা করা হয়েছে। প্রয়োজনে আরও নিরাপত্তার ব্যবস্থা করা হবে। শুধু সিভিক ভলান্টিয়ার বলে নয়, প্রতিটি নাগরিকের নিরাপত্তার জন্য তাঁরা বদ্ধপরিকর।