পাওনা আনতে গিয়ে নিখোঁজ ব্যবসায়ী
বাড়ি থেকে পাওনা আদায় করতে বেরিয়েছিলেন। অন্তত মাকে তাই বলে গিয়েছিলেন শিলিগুড়ির নৌকাঘাট এলাকার বাসিন্দা তপন সাহা। তারপর থেকে আর বাড়ি ফেরেননি। পুলিশের খাতায় নিখোঁজ তিনি। যার কাছ থেকে টাকা আনতে যাচ্ছেন বলে বেরিয়েছিলেন, তারও দুদিন পর থেকে আর কোনও খোঁজ নেই জানা গিয়েছে।
নিখোঁজ অভিযুক্ত ও নিখোঁজ ব্যবসায়ীর স্ত্রীও
রাতারাতি বাড়ি বিক্রি করে চলে গিয়েছেন অভিযুক্ত। পাশাপাশি রহস্য আরও ঘনীভূত হয়েছে নিখোঁজের স্ত্রীও অভিযুক্তের সঙ্গে গিয়ে থানায় ডায়েরি করে এল। তারপর থেকে শ্বশুরবাড়ির ধারে কাছে আসেননি তিনি। খোঁজ মিলছে না তাঁরও। ফলে সব মিলিয়ে একটা আশ্চর্য রহস্যের সৃষ্টি হয়েছে।
একাধিক প্রশ্নে রহস্য ঘনীভূত
ফলে অনেকগুলি সম্ভাবনা তৈরি হয়েছে নিখোঁজ রহস্যকে ঘিরে। নিখোঁজ ব্যবসায়ী কোথায় ? বাড়ি বিক্রি করে পালিয়ে গেলেন কেন অভিযুক্ত ? নিখোঁজের স্ত্রী কোথায় গেলেন ? এ নিয়ে পুলিশের বিরুদ্ধে নিষ্ক্রিয়তার অভিযোগ তুলেছেন নিখোঁজের মা।
পুলিশের বিরুদ্ধে গাফিলতির অভিযোগ
থানা থেকে সহযোগিতা করা হচ্ছে না। এমনকি ডায়েরির কপিও দেওয়া হচ্ছে না বলে অভিযোগ করেছেন তিনি। ফলে ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের কাছে যেতে চান তপনবাবুর মা গোপালি সাহা।
শিউলি-চন্দন ঘনিষ্ঠতা
তপনবাবুর মা গোপালিদেবী জানিয়েছেন, অভিযুক্ত চন্দন পাল মাঝেমধ্যে তপনবাবুর স্ত্রী শিউলিদেবীকে ঝাড়ফুঁক করতে আসতেন। তাঁদের মধ্য়ে ঘনিষ্ঠতাও ছিল। কয়েক বছর আগে তাঁদের সঙ্গে ঘনিষ্ঠতা হয়।
বাড়ি ছাড়েন তপন-শিউলি
কয়েক বছর আগে আলাদা ভাড়া নিয়ে থাকা শুরু করেন তপনবাবু ও তাঁর স্ত্রী। তাঁদের তিন ছেলেও রয়েছে। অভিযুক্ত চন্দন পাল সেখানেও ঝাড়ফুঁক করতে আসতেন বলে জানা গিয়েছে। এমনকী তপনবাবুর অবর্তমানে চন্দন তাঁদের বাড়িতে আসলে যে বাড়িতে তাঁরা ভাড়া থাকতেন, সেই বাড়িওয়ালাও তাঁদের বারণ করেছিলেন। যদিও তাতে কাজ হয়নি।
১০ জুলাই মায়ের নেমে আসে আঁধার
গত ১০ জুলাই রাত নটায় মায়ের কাছে যান তপনবাবু। সেখানে রাতে খাওয়া দাওয়া করার সময় তাঁর মোবাইলে ফোন আসে। অপরপ্রান্ত থেকে টাকা নিতে শক্তিগড় মাঠের দিকে তাঁকে ডাকেন চন্দনবাবু বলে গোপালিদেবীকে জানিয়েছেন তপনবাবু। তারপর টাকা নিয়ে চলে আসবেন বলে মোবাইল ফোনটি নিয়ে যাননি। টাকা নিতে গিয়ে আর ফেরেননি তপনবাবু।
বাড়ি বিক্রি করলেন কেন চন্দন ?
এরপর চন্দনবাবুকে জিজ্ঞাসাবাদ করলে, শিউলিদেবী এবং চন্দন একসঙ্গে থানায় গিয়ে নিখোঁজ ডায়েরি করেন। তারপর থেকে তাদের আর খোঁজ মেলেনি। জানা গিয়েছে, চন্দন পাল বাড়ি বিক্রি করে এলাকা ছেড়ে চলে গিয়েছে। ফলে তার বিরুদ্ধে সন্দেহ দানা বাঁধছে। অন্যদিকে তপনবাবুর স্ত্রী শিউলিদেবীরও খোঁজ মিলছে না। সব মিলিয়ে দিশাহারা অবস্থা গোপালীদেবীর। পুলিশ অবশ্য তদন্ত চলছে বলে জানান।