স্ত্রী নির্দল থেকে দাঁড়িয়েছিলেন। প্রথমে সমর্থন করলেও পরে দলের চাপে তাঁকে ডিভোর্স দেওয়ার সিদ্ধান্ত নিলেন মালদা তৃণমূলের এক বিদায়ী কাউন্সিলর। মূলত জেলা সভাপতির ফোনের পরই স্ত্রীকে ডিভোর্সের সিদ্ধান্ত নিয়েছেন বিদায়ী কাউন্সিলর। গোটা ঘটনাটিই মালদায় এখন পুরভোটের আগে সবচেয়ে আলোচিত বিষয়।
নির্দল স্ত্রীকে ডিভোর্স দেওয়ার সিদ্ধান্ত বিদায়ী কাউন্সিলারের
স্ত্রী নির্দল প্রার্থী। বিড়ম্বনা বাড়িয়েছেন ইংরেজবাজার পৌরসভার তিন নম্বর ওয়ার্ডের তৃণমূলের বিদায়ী কাউন্সিলর পরিতোষ চৌধুরী। দলের নির্দেশ সমস্ত প্রার্থীকে প্রার্থী প্রত্যাহার করে লিফলেট বিলি করতে হবে। এই বিড়ম্বনার জেরে স্ত্রী কাকলি চৌধুরীকে ডিভোর্স দেবার সিদ্ধান্ত পরিতোষ চৌধুরীর। এই বিষয়ে আইনজীবীর সাথে কথাবার্তা হচ্ছে বলে তিনি জানিয়েছেন।
ঘোষণা করেও নাম বদল, ক্ষোভে নির্দল কাকলি
মালদা জেলায় রয়েছে দুটি পুরসভা। একটি ইংরেজবাজার পুরসভা। যাতে রয়েছে ২৯ টি ওয়ার্ড। অন্যদিকে পুরাতন মালদা পুরসভায় রয়েছে ২০টি ওয়ার্ড। ইতিমধ্যে তৃণমূলের প্রার্থী তালিকায় প্রথমে ৩ নম্বর ওয়ার্ডে কাকলি চৌধরীর নাম আসে। এরপর বিকেল গড়াতেই কাকলি চৌধুরীর জায়গায় তৃণমূল প্রার্থী করে মনীষা সাহাকে। ফলে তৃণমূল থেকে মনোনয়ন করেও কাকলিদেবীকে নির্দলে মনোনয়ন করতে হয়। সেই মত কাকলিদেবী প্রচার শুরু করেন।
ফিরহাদ হাকিমের নির্দেশে সক্রিয় জেলা তৃণমূল
কাকলি চৌধুরীর স্বামী তৃণমুলের বিদায়ী কাউন্সিলার ছিলেন। সম্প্রতি রাজ্যের মন্ত্রী ফিরহাদ হাকিম মালদায় এসে হুইপ জারি করন তৃণমূল দলের সঙ্গে জড়িত থাকা কোনও কর্মী নির্দলে দাঁড়িয়ে থাকলে তাকে লিফলেট দিয়ে নির্বাচন থেকে সরে আসতে হবে। এই পরিস্থিতিতিতে শুক্রবার জেলা তৃণমূল সভাপতি আব্দুর রহিম বক্সি বলেন,রাজ্য নেতৃত্বে নির্দেশে এদিন দলের সঙ্গে যুক্ত যারা রয়েছে তাদের নির্বাচন থেকে সরে আসার জন্য ফোনে নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। শনিবার দুপরের মধ্যে নির্বাচন থেকে সরে আসতে হবে। আর এরপরই বিদায়ী ৩ নম্বর ওয়ার্ডের কাউন্সিলর পরিতোষবাবু চাপে পড়ে যান। স্ত্রীকে নিরস্ত না করে স্ত্রীর সঙ্গে সম্পর্ক চুকিয়ে দেওয়ার কথা ঘোষণা করেন। ডির্ভোর্সের মামলার জন্য আইনজীবির সঙ্গে আলোচনা শুরু করেছেন বলে জানিয়েছেন তিনি।
কী বলছেন পরিতোষবাবু-কাকলিদেবী?
পরিতোষবাবু জানান,এই বিড়ম্বনার জেড়ে স্ত্রী কাকলি চৌধুরীকে ডিভোর্স দেওয়ার সিদ্ধান্ত পরিতোষ চৌধুরীর। এই বিষয়ে আইনজীবীর সাথে কথাবার্তা হচ্ছে। যদিও স্ত্রী কাকলিদেবী জানান,"উনি আলাদা থাকেন। আমি আলাদা থাকি। ফলে এটা ওঁর সিদ্ধান্ত। এতে আলাদা করে কোনও আক্ষেপ নেই।"