চোরাপথের ইলিশই ভরসা
চোরাপথে বাংলাদেশ থেকে দেদার ঢুকছে ইলিশ। পদ্মা কিংবা মেঘনা, দুই নদীর ইলিশ দেখেই চোখ চকচক করে উঠছে ক্রেতাদের। এখনও পর্যন্ত যাঁরা সে খবর জানেন না, দেরি হয়ে যাওয়ার আগে একবার বাজারে ভ্রমণ করে নিন। নইলে হাত ছাড়া হয়ে গেলে আবার এক বছর অপেক্ষা করতে হতে পারে।
সের মাছ পাওয়ার চিন্তায় ঘুম উড়েছে ইলিশপ্রেমীদের
কি করে সেরা ইলিশটি কুক্ষিগত করা যায়, সেই চিন্তাতেই ঘুম উড়েছে ইলিশপ্রেমীদের। চলতি মরশুমে ঢের ভুগিয়েছে ইলিশ মাছ। ট্রলার গিয়ে বারবার ঘুরে এসেছে খালি হাতে। তাই যখন রাজ্যে বসেই মিলছে ইলিশ মাছ, তখন আর দেরি করে লাভ কী !
ইলিশের দাম ঠিকঠাক
ইলিশের দাম? সাধারণত সারা বছরের বাজারে এক কেজির বেশি ওজনের ইলিশ যে দামে বিক্রি হয়, মোটামুটি সে দামেই মিলছে। দেড় হাজার থেকে ২ হাজার টাকার মধ্য়েই চোরাই ইলিশ বাড়িতে চলে আসছে। খাঁটি বাংলাদেশের নদীর ইলিশ এর স্বাদ উপভোগ করতে হলে এই বেলা লাইন করে নিতে হবে।
অংশীদার নিয়ে কিনতে পারেন ইলিশ
অনেকে আবার চোরাপথে আসল ইলিশ এর স্বাদ নিতে গিয়ে পকেটের টান পড়ায় অংশীদার নিয়ে যাচ্ছেন। দুজন মিলে গিয়ে এক কেজি ইলিশ কিনে আধাআধি কেটে বাড়ি নিয়ে চলে যাচ্ছেন। দিব্যি পদ্মা কি মেঘনার ইলিশ খাওয়াও হল, আবার কিছুটা বাজেট ফ্রেন্ডলিও হল। সব মিলিয়ে জমজমাট চোরাই ইলিশ।
হিলি সীমান্ত দিয়েই ঢুকছে ইলিশ মাছ
বাংলাদেশ থেকে এ রাজ্যের দক্ষিণ দিনাজপুরের হিলি সীমান্ত দিয়ে ঢুকে এই ইলিশ গঙ্গারামপুর, হিলি, বালুরঘাট, হরিরামপুর সহ আশপাশের এলাকায় দেদার বিক্রি হচ্ছে। অনেকে মালদা এবং উত্তর দিনাজপুর থেকে ছুটে যাচ্ছেন শুধুমাত্র ইলিশ কিনতে। শিলিগুড়িতেও মিলছে, তবে আরও একটু বেশি দামে। কিছু ব্য়ক্তি চোরাই ইলিশ কিনে পাঠিয়ে দিচ্ছেন উত্তরবঙ্গের অলিখিত রাজধানীতে। সেখানেও চাহিদা ভালই। ভাল করে প্যাকেটে মুড়ে খান দুই ইলিশ নিয়ে ফিরছেন অনেকেই।
বাঁকা পথেই রসনা তৃপ্তি
জানা গিয়েছে হিলি সীমান্তে বিএসএফের নজরদারি আড়ালে চোরাকারবারিরা পদ্মার ইলিশ ওদেশ থেকে নিয়ে এসে গোডাউনে মজুত করে পরে, সুবিধামতো বিক্রি করে। এ বছর ইলিশ ধরতে অনেক দেরি হওয়ায় মাছ মিলছিল না। অবশেষ তিন-চারদিন ধরে বাঁকা পথে ইলিশই রসনা তৃপ্তি করছে।
চোখ খোলা রাখলে কলকাতাতেও মিলতে পারে
তবে খোলাবাজারে সবসময় গেলে ইলিশ নাও মিলতে পারে। এদেশের দালাল রয়েছে, তাদের সঙ্গে যোগাযোগ করে ইলিশ নিতে হবে। তাদের নির্ধারিত জায়গায় অথবা আপনার বাড়িতে। তবে বাজারে পেতে হলে সকাল সকাল যেতে হবে। আর কলকাতায় বসে পেতে হলে দালালদের নম্বর জোগাড় করলেই ইলিশের গোপন কুরিয়ার পৌঁছে যাবে বাড়িতে।