পুলিশের হেফাজত থেকে পালালো দুই বিচারাধীন বন্দি। নিউ জলপাইগুড়ি থানার হেফাজত থেকে বন্দি পালানোর ঘটনায় পুলিশের বিরুদ্ধে কর্তব্যে গাফিলতির অভিযোগ উঠেছে। যা নিয়ে তোলপাড় গোটা শিলিগুড়ি পুলিশ কমিশনারেট। শিলিগুড়ি শহর জুড়ে চলছে পুলিশের তল্লাশি। খবর পেতেই ঘটনাস্থলে পৌঁছয় শিলিগুড়ি পুলিশ কমিশনারেটের উচ্চপদস্থ আধিকারিকরা।
কীভাবে পালাল বলছে না পুলিশ
পুলিশ সূত্রেই জানা গিয়েছে, মঙ্গলবার সকালে শিলিগুড়ি জেলা হাসপাতালে মেডিক্যাল পরীক্ষা করাতে নিয়ে করতে নিয়ে যাওয়ার সময় কোনওভাবে বাঁধন আলগা পেয়ে অথবা বাঁধন ছিল কি না, তা পরিষ্কার নয় এখনও।সেই সময়ই পুলিশ ভ্যান থেকে চম্পট দেয় তারা।
মদ্য়প অবস্থায় হুজ্জোতির অভিযোগে গ্রেফতার করা হয়েছিল
পুলিশ সূত্রে জানা গিয়েছে, সোমবার রাতে নিউ জলপাইগুড়ি স্টেশন এলাকা থেকে মদ্যপ অবস্থায় ঝামেলা করার অভিযোগে দুই যুবককে গ্রেপ্তার করে শিলিগুড়ি পুলিশ কমিশনারেটের এনজেপি থানার পুলিশ। ধৃতরা হল কৃষ্ণ দে ও দেবাশিস দাস। দুজনই এনজেপি এলাকার বাসিন্দা। রাতে থানার কারাগারে রাখার পর মঙ্গলবার সকালে ধৃতদের জলপাইগুড়ি আদালতে পাঠানোর আগে পুলিশ ভ্যানে করে মেডিকেল করাতে শিলিগুড়ি জেলা হাসপাতালে পাঠানো হয় ৷
এক এএসআই, কনস্টেবলের উপস্থিতি সত্ত্বেও পলাতক
সেই সময় পুলিশ ভ্যানে ওই দুজনই আসামী ছিল। ওই দুজনের উপর নজরদারির জন্য ভ্যানে চালক ছাড়া একজন এএসআই ও একজন কনস্টেবল উপস্থিত ছিল। হাসপাতালে মেডিকেল করানোর পর পুলিশ কর্মীরা লক্ষ্য করেন গাড়িতে নেই ওই দুই অভিযুক্ত। ব্যাপার টের পেতেই শুরু হয় খোঁজাখুঁজি। খবর দেওয়া হয় কন্ট্রোল রুমে। কন্ট্রোল রুম থেকে সমস্ত থানা এবং ট্রাফিককে সতর্ক করা হয়। খবর পেয়ে শহরজুড়ে তল্লাশি শুরু করে পুলিশ। যদিও ওই ঘটনায় মুখে কুলুপ এঁটেছেন পুলিশ আধিকারিকরা।