পাহাড়ে এদিনও তুষারপাত অব্যাহত। লাগাতার তুষারপাতে সাদা চাদরে ঢেকে গিয়েছে দার্জিলিং পাহাড়। শুক্রবার রাতে তুষারপাত হয়েছে গ্যাংটকেও। ফলে জবুথবু পাহাড় থেকে সমতল। অন্যদিকে বৃহস্পতিবার ভোর থেকেই টানা বৃষ্টি শুরু হয়েছে পাহাড় লাগোয়া সমতলের একাধিক এলাকায়। সরস্বতী পুজোতেও রেহাই দেয়নি। টানা বৃষ্টিতে নষ্ট হয়েছে উত্তরের পুজোর বাজার। হতাশ ব্যবসায়ী থেকে পুজো উদ্যোক্তারা। কচি কাঁচারাও মুষড়ে পড়েছে বৃষ্টিতে।
ঠাণ্ডায় কাঁপছে পাহাড় থেকে সমতল
শিলিগুড়ি, জলপাইগুড়ি, উত্তর দিনাজপুর, কোচবিহার, মালদা সহ অন্যান্য জেলাতেও ঠাণ্ডায় কাঁপুনি ধরিয়ে দিয়েছে। তার সঙ্গে জোলো কিন্তু হাড়কাঁপানো হাওয়া বহু বছর পর উত্তরে শীতের পুরনো কামড় ফিরিয়েছে।কনকনে ঠান্ডায় থম মেরে রয়েছে গোটা উত্তরবঙ্গ। একদিকে সরস্বতী পুজো, অন্যদিকে বিয়ের মরশুম, তার মধ্যে ঠান্ডায় স্থবির হয়ে গিয়েছে উত্তরবঙ্গ। জোর করে হাত-পা চালিয়ে কাজ করতে হচ্ছে বলে বিরক্ত অনেকেই।
তুষারপাত অব্যাহত, বাহাড় বরফের চাদরে ঢাকা
এদিনও পাহাড়ের সান্দাকফু, ফালুট তো বটেই দার্জিলিংয়ের উঁচু জায়গাগুলিতে তুষারপাত হয়েছে। টাইগার হিল, জোড়বাংলো, সাদা তুষারে ঢেকে গিয়েছে আরও একবার। ঘুম পরিণত হয়েছে সিমলা, মানালির মতো চেহারায়।
৩৮ দিনের মধ্যে ৬ বার তুষারপাত
দার্জিলিংয়ে ৬ষ্ঠ বার তুষারপাত হয়েছে ৩৮ দিনের মধ্যে। এই বছরে রেকর্ড করা হয়েছে এটি। আর একদিন তুষারপাত হলে দশকের রেকর্ড ভেঙে যাবে বলে মনে করা হচ্ছে। শহরে ভারী বৃষ্টিপাত আর ঝড়ো হাওয়ার দাপট কাজ করেছে। আজ টাইগার হিল এবং ঘুমেও তুষারপাত হয় উচ্চ উচ্চতায়, যেমন চটকপুরে ,সাদা বরফের চাদরে ঢাকা ছিল।
এটি পাহাড়ে ৬ষ্ঠ বার তুষারপাত, যার ফলে দিন দিন তাপমাত্রা কমছে। এবং স্থানীয় জনগণের কথা যে এবারের শীত গত কয়েক বছরের তুলনায় অনেক বেশি। অন্যদিকে কার্শিয়ং এবং দার্জিলিং শহরে প্রবল বাতাস এবং বৃষ্টিপাত এবং ঘন কুয়াশায় ঢেকে গিয়েছে।
সমতলে বৃষ্টি অব্যাহত
মাঘের শীতে উপরি পাওনা বৃষ্টি। ফলে ঘর ছেড়ে বেরোতে মন চাইছে না। দার্জিলিং, কালিম্পং, মিরিক তো বটেই শিলিগুড়ি সহ বিভিন্ন এলাকায় দেখা গিয়েছে ইতিউতি জটলায় আগুন তাপানোর ছবি।
নতুন করে পশ্চিমী ঝঞ্ঝা হিমালয়ের লাগোয়া পশ্চিমবঙ্গে প্রবেশ করায় এই তাপমাত্রার পরিবর্তন বলে জানা গিয়েছে। এই ঝঞ্ঝা কয়েকদিন থাকবে বলে জানিয়েছেন বিশেষজ্ঞরা। বিশেষজ্ঞদের মতে আর মাত্র ২ দিন এমন তুষারপাত চললে কয়েক দশকের রেকর্ড ভেঙে দেবে দার্জিলিং পাহাড়। টানা এমন তুষারপাত অনেক বছর হয়নি।
কয়েক দশক আগে শেষবার ২০০৭ সালে শেষবার টানা ১৩ দিন তুষারপাত হয়েছিল। এ বছর ইতিমধ্যেই ১২ দিন টানা তুষারপাত হয়ে চলেছে। আর ১ দিন হলেই এই ১৪ বছরের রেকর্ড ভেঙে দেবে তুষারপাতের ধারাবাহিকতা। ভূমধ্যসাগর থেকে সৃষ্টি হওয়া একটি পশ্চিমী ঝঞ্ঝা, যা বুধবার জম্মু কাশ্মীরে আছড়ে পড়ার পর পূর্ব দিকে এগিয়ে আসতে শুরু করেছে।