আচমকা গাড়ির সামনেই চিতাবাঘ, চিলাপাতায় সাফারিতে কী করলেন দম্পতি ?

জঙ্গল সাফারি গিয়েছিলেন দম্পতি। চিলাপাতা অভয়ারন্যে সাফারির সময় আশা ছিলই যত বেশি বন্যপ্রাণ দেখতে পান, ততই ভালো। তাই বলে এমনভাবে গাড়ির সামনে পড়বে চিতাবাঘ ! তারপর কি হল জানেন?

Advertisement
আচমকা গাড়ির সামনেই চিতাবাঘ, কী করলেন দম্পতি ? আচমকা
হাইলাইটস
  • সাফারির মধ্য়েই আচমকা চিতাবাঘ
  • কিছুক্ষণের জন্য সবাই স্থবির
  • আতঙ্ক-ভালোলাগা একসঙ্গে

চিলাপাতা জঙল সাফারিতে গিয়ে আচমকা চিতাবাঘের মুখোমুখি পর্যটকের একটি দল। জঙ্গল সাফারিতে বের হয়ে বন্যপ্রাণের দর্শন অভিপ্রেত হলেও এভাবে সামনে আসলে আতঙ্ক স্বাভাবিক। চিতাবাঘটিকে সামনে দেখে ভয়ে জড়োসড়ো আলিপুরদুয়ার রেল ডিভিশনের ইঞ্জিনিয়ার বিশ্বজিৎ ঘোষ এবং তাঁর স্ত্রী জাগরী ধর ঘোষের। বেশ খানিকক্ষণ অপলক দৃষ্টিতে ঘোষ দম্পতির দিকে চেয়ে থেকে জঙ্গলে মিলিয়ে গেল শ্বাপদটি।

চিতাবাঘ দেখে স্থবির

কয়েক মুহূর্তের হাড়হিম অভিজ্ঞতা এমনভাবে স্থানুবৎ দাঁড় করিয়ে দিয়েছিল দম্পতিকে, যে হাতে দামি ক্যামেরা থাকা সত্বেও চিতা বাঘের ভয়ে জড়োসড়ো ঘোষ দম্পতির সাহস হয়নি বুনোর ছবি ক্যামেরা বন্দী করতে। তবে ঘোষ দম্পতির সাথে থাকা সাফারির গাড়ির চালক বন্ধন মিঞ্জ বুদ্ধি করে নিজের মোবাইলে চিতাবাঘের সেই ছবি বন্দী করে নেওয়ায় স্মৃতি একেবারে হারিয়ে যায়নি।

ঘোষ দম্পতি

অন্য প্রাণীও দেখা গিয়েছে দেদার

রবিবার সকালেই দক্ষিণবঙ্গের নদীয়া জেলার রানাঘাট  থেকে আসা ১৬ জন পর্যটকের একটি দল এদিন চিলাপাতা জঙ্গল সাফারিতে তিন ধরনের হরিণ, হাতি, বাইসন, বুনো শুয়োর, গন্ডার, ময়ূর হর্নবিল পাখি দেখে আপ্লুত।

জঙ্গলের পরিবেশ আগের চেয়ে ভালো

পরিবেশপ্রেমীদের অভিমত, গত দুই বছরে করোনার জন্য জঙ্গল বন্ধ থাকায় জঙ্গলের পরিবেশ আগের চেয়ে অনেকটা ভালো হয়েছে। ফলে জঙ্গলের প্রাণীরা গভীর অরণ্য ছেড়ে বনদপ্তরের জঙ্গল পাহারার টাওয়ারের কাছাকাছি চলে আসছে। এর ফলে জঙ্গলে বন্যপ্রাণীদের বেশি করে দেখতে পাওয়া যাচ্ছে। জঙ্গলে আগের মতো দূষণ নেই। তাই স্বচ্ছ পরিবেশে খোলামেলা ঘুরে বেড়াচ্ছে বন্যপ্রাণীরা।

চিতা

কোদালবস্তি রেঞ্জে চিতাবাঘ দর্শন

গত শনিবার আলিপুরদুয়ার থেকে চিলাপাতা বেড়াতে গিয়েছিলেন ঘোষ দম্পতি। তাঁরা একটি বেসরকারি রিসর্টে উঠেছিলেন। রবিবার সকালে ঘোষ দম্পতি জঙ্গল সাফারিতে বের হন। সাফারির সময় কোদালবস্তি রেঞ্জের চিলাপাতা পার্ট টু এলাকায় ওই চিতাবাঘটির দর্শন পান।

আতঙ্ক তখনও কাটেনি

বিশ্বজিৎ ঘোষ বলেন আমরা দুজনে খুব ঘাবড়ে গিয়েছিলাম। আমাদের খুব সামনেই দাঁড়িয়ে ছিলো ওই চিতা বাঘটি। তবে ক্যামেরা দিয়ে ছবি তোলার সাহস হয়নি। আমরা খুব ভাগ্যবান জঙ্গলে এভাবে চিতাবাঘের দর্শন পেয়ে। বেসরকারি ওই রিসর্টের মালিক কিঙ্কর রায় বলেন সচরাচর জঙ্গল সাফারিতে এমন ভাবে চিতাবাঘের দেখা পাওয়া যায়না। এটা খুব ভাগ্যের ব্যপার। কিঙ্কর রায় বলেন পর্যটকরা  বাঘের দেখা পাওয়াতে আমরাও খুশি।এমন ভাবে পর্যটকরা বন্যপ্রাণী দেখতে পেলে পর্যটন শিল্পের ক্ষেত্রে সুখবর। 

Advertisement

 

POST A COMMENT
Advertisement