scorecardresearch
 

শিলিগুড়িতে দলের কাউন্সিলরকেই পেটাল TMC নেতা! অভিযোগ দায়ের

শিলিগুড়িতে দলের কাউন্সিলরকেই পেটানোর অভিযোগ তৃণমূল নেতার বিরুদ্ধে। ঘটনাটি শিলিগুড়ি পুরনিগমের ৪৭ নম্বর ওয়ার্ডের। বিষয়টি নিয়ে দলে গোষ্ঠীকোন্দল প্রকাশ্যে। অস্বস্তিতে তৃণমূল নেতৃত্ব।

Advertisement
শিলিগুড়িতে দলের কাউন্সিলরকেই পেটাল TMC নেতা! অভিযোগ দায়ের শিলিগুড়িতে দলের কাউন্সিলরকেই পেটাল TMC নেতা! অভিযোগ দায়ের
হাইলাইটস
  • দলের কাউন্সিলরকেই পেটালো তৃণমূল নেতা

নিজের ওয়ার্ডের নিজেরই দলের কাউন্সিলরকে মারধরের অভিযোগ উঠল ওয়ার্ডেরই সক্রিয় তৃণমূল নেতার বিরুদ্ধে। ইতিমধ্যে ঘটনায় প্রধাননগর থানার পুলিশ আটক করেছে অভিযুক্তকে। অন্যদিকে ঘটনা নিয়ে প্রধাননগর থানায় বিক্ষোভ দেখায় পুরনিগমের ৪৭ নং ওয়ার্ডের বাসিন্দারা। তাদের দাবি অভিযুক্তের বিরুদ্ধে শাস্তিমূলক ব্যবস্থা নিতে হবে। তবে এই ঘটনায় গোষ্ঠী কোন্দল প্রকাশ্যে আসতেই অস্বস্তিতে দল। অভিযুক্তকে তাঁদের দলের কেউ নয় বলে দাবি করেছেন প্রহৃত কাউন্সিলর অমর আনন্দ দাস। তবে অভিযুক্তকে ভোটের সময় তাঁরই হয়ে তৃণমূলের ব্যানারে প্রচার করতে দেখা গিয়েছে।

ঘটনাটি আসলে কী?

জানা গিয়েছে, সোমবার সকালে নিজের ওয়ার্ড অফিসে বসে কাজ করছিলেন ৪৭ নং ওয়ার্ডের কাউন্সিলর অমর আনন্দ দাস। সেই সময় অভিযুক্ত রানা দে সরকার তার অফিসে এসে তার ওপর হামলা করেন। তার বিরুদ্ধে আরও অভিযোগ সেখানে থাকা এক মহিলা কর্মীর ওপর তিনি শারীরিক হেনস্থা করেন। এরপর প্রধাননগর থানায় খবর দিলে ঘটনাস্থলে পৌছায় প্রধান নগর থানার পুলিশ। অভিযুক্তকে আটক করে থানায় নিয়ে আসে। পরবর্তীতে ওই ওয়ার্ডের বাসিন্দারা প্রধান নগর থানায় এসে ঘটনার প্রতিবাদে বিক্ষোভ দেখায়। এলাকাবাসীর অভিযোগ তাকে আটক করা হলেও কেন তাকে লকআপে ঢোকানো হয়নি? সেই নিয়ে তারা থানার সামনে ধর্নায় বসে পড়ে। পরবর্তীতে পুলিশি হস্তক্ষেপে পরিস্থিতি স্বাভাবিক হয়। 

অভিযুক্তের বিরুদ্ধে ক্ষোভ কাউন্সিলরের

অমর আনন্দ দাস বলেন, "রানা দে সরকার বহুদিন থেকে আমার কাজে বাধা দিয়ে এসেছে। এর আগেও আমাকে নানা ভাবে হেনস্থা করে সে। আমাকে প্রাণে মারারও হুমকি দেওয়া হয়। এ বিষয়ে আমি প্রধাননগর থানায় লিখিত অভিযোগ দায়ের করেছি। রানা দলের কর্মী নয়। তবে, এ বিষয়টি আমি দলের  শীর্ষ নেতৃত্বদের জানাব। এভাবে কাজে বাধা দিলে আমার পক্ষে অনেকটাই সমস্যা হবে। আমি আমার নিরাপত্তা নিয়ে শঙ্কিত।" 

Advertisement

বিষয়টি নিয়ে কী বলছে তৃণমূল নেতৃত্ব?

অন্যদিকে দার্জিলিং জেলা তৃণমূল কংগ্রেসের চেয়ারম্যান অলোক চক্রবর্তী। তিনি বলেন, রানা দলের সক্রিয় কর্মী ছিলেন কি ছিলেন না সে বিষয় খতিয়ে দেখা হবে। তিনি বলেন, " বিষয়টি আমার জানা নেই। তবে কেউ যদি কাউন্সিলরকে শারীরিকভাবে নিগ্রহ করে থাকে তাহলে সেই বিষয়টি বরদাস্ত করা হবে না। যদি এ বিষয় নিয়ে দলে কোনও অভিযোগ আসে তাহলে দলগতভাবে বিষয়টি খতিয়ে দেখে ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে। তবে যদি দলের কর্মী না হন, তাহলে দল কীভাবে ব্যবস্থা নেবে? তা নিয়ে প্রশ্ন উঠলে সদুত্তর দিতে পারেননি অলকবাবু।

 

Advertisement