Toy Train Service From Siliguri To Darjeeling Resumes: দার্জিলিংগামী পর্যটকদের জন্য সুখবর। সোমবার থেকেই চালু হচ্ছে শিলিগুড়ি থেকে দার্জিলিং (Siliguri-Darjeeling Toy Train) রুটে টয়ট্রেন। ৩ সেপ্টেম্বর থেকে ধসের কারণে এই রুটে টয়ট্রেন চালানো বন্ধ রাখা হয়েছিল। লাইনে মেরামতির কাজ শুরু হয়েছিল। তিনধারিয়ার কাছে এই ধসে তৈর হয়েছিল অনিশ্চয়তা, অবশেষে পুজোর আগেই ট্রেন চালু হয়ে যাওয়ার ঘোষণায় খুশি সব মহলেই।
৩ সেপ্টেম্বর থেকে বন্ধ ছিল টয়ট্রেন
শিলিগুড়ি থেকে দার্জিলিং যাওয়ার পথে তিনধারিয়া (Tindharia) ও গয়াবাড়ি (Gyabari) স্টেশনের মাঝে প্রথমে ১২ মাইলে ধস নামে অগাস্টের শেষে। এরপর কয়েকদিন বন্ধ থাকার পর ফের সেপ্টেম্বরের শুরুতে লাইন মেরামতি করে টয়ট্রেন চলাচল শুরু করা হয়েছিল। দুদিন চলার পরই ফের ৩ সেপ্টেম্বর আগের ধসের জায়গা থেকে কাছেই ১৭ মাইল এলাকায় ধস নামে ৩ সেপ্টেম্বর। ফলে ফের বন্ধ করে দিতে হয় থেকে শিলিগুড়ি-দার্জিলিং রুটে বন্ধ টয় ট্রেন চলাচল।
কবে থেকে চালু হচ্ছে শিলিগুড়ি-দার্জিলিং ট্রেন
আশঙ্কা দেখা দিয়েছিল, ফের পুজোর আগে টয়ট্রেন (Toy Train) চালানো সম্ভব হবে কি না। অবশেষে দ্রুত গতিতে কাজ সেরে ধস সরিয়ে পুজোর মুখে নতুন ফের চালু করা হচ্ছে বলে জানানো হয়েছে দার্জিলিং হিমালয়ান রেলওয়ে (DHR) কর্তৃপক্ষ। প্রায় ২৩ দিন পর ২৬ সেপ্টেম্বর থেকে আবার চালু হচ্ছে শিলিগুড়ি-দার্জিলিং টয় ট্রেন।
টয়ট্রেনে জুড়ছে এসি কোচ
পুজোর মরসুমে এত দিন টয় ট্রেন বন্ধ থাকায় সিঁদুরে মেঘ দেখছিলেন পর্যটন ব্যবসায়ীরা। এই খবরে তাঁরা আশার আলো দেখতে শুরু করেছেন। পাশাপাশি, পুজোর মুখে এসি কোচও (Toy Train AC Coach) জুড়তে চলেছে টয় ট্রেনে। দার্জিলিং হিমালয়ান রেলওয়ে সূত্রে জানা গিয়েছে, আপাতত একটি এসি কোচ জোড়া হচ্ছে। শিলিগুড়ি থেকে সোম, বুধ এবং শনিবার এসি কোচে যাওয়া যাবে। পাশাপাশি, দার্জিলিং থেকে মঙ্গল, বৃহস্পতি এবং রবিবার এসি কোচে শিলিগুড়ি ফিরতে পারবেন পর্যটকরা।
আর ধস নয় প্রার্থনা রেলের
উত্তর-সীমান্ত রেলওয়ের (North East Frontier Railway) জনসংযোগ আধিকারিক সব্যসাচী দে সংবাদমাধ্যমকে জানিয়েছেন, পুজোর বুকিংয়ের চাহিদা প্রচুর। বুকিংয়ের এবং ট্রেন কবে থেকে চালু হবে জানতে চেয়ে রেলের কাছে এনকোয়ারি আসছে। প্রচুর পর্যটক টিকিট বুক করছেন। তাঁদের সুবিধার কথা মাথায় রেখেই এসি কোচের বন্দোবস্ত করা হয়েছে। সব মিলিয়ে জমজমাট টয়ট্রেনের পুজো বুকিং। এখন একটাই প্রার্থনা নতুন করে ধস না নামে। আর ধস নামলে পুজোর মধ্যে আর চালানো সম্ভব হবে না।