শুক্রবার রাতে টয়ট্রেনের লাইন ধসে গিয়েছিল। আর তার জেরেই আপাতত বন্ধ রয়েছে শিলিগুড়ি-দার্জিলিং ট্রেন চলাচল।শনিবার থেকেই অনির্দিষ্টকালের জন্য শিলিগুড়ি থেকে দার্জিলিং পর্যন্ত টয়ট্রেন পরিষেবা বন্ধ করা হয়েছে। লাইন মেরামত না করা পর্যন্ত ট্রেন চলাচল সম্ভব নয়। কিন্তু পর্যটনের ভরা মরশুমের কথা মাথায় রেখেই যত দ্রুত সম্ভব টয়ট্রেন চালু করার চেষ্টা করা হচ্ছে। সেই উদ্দেশ্যে প্রক্রিয়াও শুরু করা হয়েছে।
কবে থেকে চালু হবে টয়ট্রেন চলাচল?
রেল চাইছে মঙ্গলবার ৬ সেপ্টেম্বর থেকেই টয়ট্রেন চালাতে। না হলে অন্তত এই সপ্তাহের মধ্যেই চালু করতে মরিয়া তাঁরা। যদিও ধসের যা অবস্থা রয়েছে, তাতে এত দ্রুত লাইন মেরামত করে চলাচল শুরু করা যাবে কি না, তা নিয়ে সন্দেহ রয়েছে রেলকর্মীদের মধ্যেই। রেলের তরফে ইতিমধ্যেই আধিকারিকরা জরুরি ভিত্তিতে এলাকা পরিদর্শন করে দ্রুত কাজ শেষ করার নির্দেশ দিয়েছেন। শনিবারই দার্জিলিং হিমালয়ান রেলওয়ের ডিরেক্টর একে মিশ্রা, কাটিহারের এডিআরএম সহ অন্য়ান্য আধিকারিকরা জরুরি বৈঠক করেন কার্শিয়াংয়ে।
শুক্রবার রাতে ধস নামে রংটং ও তিনধারিয়া স্টেশনের মাঝে
শুক্রবার রাতে পাহাড়ের বিস্তীর্ণ এলাকায় প্রবল বৃষ্টি শুরু হয়। তার জেরেই টয় ট্রেনের লাইনের নীচের মাটি আলগা হয়ে যায়। যেখানে আগে ধস নেমে বেশ কিছু মাস টয়ট্রেন বন্ধ ছিল, সেখানেই রংটং এবং তিনধারিয়া স্টেশনের মাঝে ফের ধস নামে। যার ফলে শনিবার শিলিগুড়ি থেকে দার্জিলিং পর্যন্ত টয় ট্রেন যাত্রা বন্ধ করে দিতে হয়।
চালু রয়েছে জয়রাইড
তবে কার্শিয়াং ও দার্জিলিংয়ের মাঝে জয়রাইড অবশ্য চালু রয়েছে। দার্জিলিং হিমালয়ান রেলওয়ের এক কর্তা জানিয়েছেন, টয়ট্রেন বাতিলের ফলে প্রচুর ক্ষতি হচ্ছে। আপাতত লাইন মেরামতি শেষ না হলে রুটের ট্রেনটি চালানো যাবে না। তবে কার্শিয়াং থেকে দার্জিলিং এবং দার্জিলিং থেকে কার্শিয়াং পর্যন্ত জয়রাইডগুলি চালু রয়েছে। পর্যটকদের কিছুটা আনন্দ দেওয়া যাবে বলে জানাচ্ছেন তাঁরা।
আশা-আশঙ্কায় দুলছে টয়ট্রেন চালুর সম্ভাবনা
এর আগেও একই এলাকায় ধস নেমে দীর্ঘ সময় পর্যন্ত শিলিগুড়ি-দার্জিলিং রুটে টয়ট্রেন চলাচল বন্ধ ছিল। এদিকে কমবেশি বৃষ্টি চলছেই। তাই নতুন করে ধস নামার আশঙ্কাও রয়েছে। পাশাপাশি যেখানে টয়ট্রেন লাইন ভেঙেছে, সেখানে একটি বাড়িও বিপজ্জনকভাবে ঝুলে রয়েছে। আবার ধস নামলে মেরামতির কাজে দেরি হতে পারে বলে মনে করা হচ্ছে।