ছাত্রীকে মাদক খাইয়ে বেহুঁশ! তারপর আপত্তিকর ছবি তোলার অভিযোগ। এরপর সেই ছবি দেখিয়ে ব্ল্যাকমেল ও তারপর গণধর্ষণ! এমনই চাঞ্চল্যকর ঘটনা পরম্পরার অভিযোগ উঠেছে এ রাজ্যেই। হুগলির কোন্নগর ঘটনার পর থেকে থমথমে। অভিযোগের ভিত্তিতে প্রাথমিকভাবে ৪ জনকে আটক করে জিজ্ঞাসাবাদ শুরু করেছে পুলিশ। গোটা ঘটনায় রাজ্যের আইন-শৃঙ্খলা নিয়ে আরও একবার প্রশ্ন তুলতে শুরু করেছে বিরোধীরা।
ঠিক কী ঘটেছে?
দ্বাদশ শ্রেণির এক ছাত্রীকে মাদক খাইয়ে বেঁহুশ করে আপত্তিকর ছবি তুলে ভাইরাল করে দেওয়ার হুমকি দিয়ে গণধর্ষণের অভিযোগ উঠেছে। হুগলির কোন্নগরের ঘটনা। এই ঘটনা প্রকাশ্যে আসার পরই অবশ্য় নড়েচড়ে বসেছে পুলিশ ৪ জনকে আটক করেছে উত্তরপাড়া থানার পুলিশ। এদিকে এলাকায় রোষ বাড়ছে ধর্ষকদের প্রতি। পুলিশও দ্রুত অভিযুক্তদের গ্রেফতার করার ব্যপারে তৎপরতা শুরু করেছে। ঘটনার গুরুত্ব বুঝে চন্দননগর পুলিশ কমিশনার সহ অন্যান্যরা এলাকায় পৌঁছন। তদন্তকারী অফিসারদের সঙ্গে কথাও বলেন। পুলিশ সূত্রে জানা গিয়েছে, বুধবার রাতে একটি অভিযোগ দায়ের হয়েছে। তার ভিত্তিতে তদন্ত শুরু হয়েছে। নির্দিষ্ট অভিযোগের ভিত্তিতে মামলা করেছে পুলিশ।
অভিযোগ, গত ১ মার্চ দ্বাদশ শ্রেণির ছাত্রীকে ডেকে মাদক খাইয়ে বেঁহুশ করে আপত্তিকর ছবি তুলে রাখে অভিযুক্তরা। এরপর তাদের সঙ্গে সম্পর্ক স্থাপন না করলে সেই ছবি ইন্টারনেটের মাধ্য়মে সোশ্যাল মিডিয়ায় ভাইরাল করে দেওয়ার হুমকি দেয়। এরপর ওই ছাত্রীকে ব্ল্যাকমেল করে গণধর্ষণ করা হয় বলে অভিযোগ।
এরপর আরও চাঞ্চল্যকর অভিযোগ ওঠে কোন্নগর পুরসভার এক তৃণমূল কাউন্সিলরের বিরুদ্ধে। স্থানীয়দের অভিযোগ, বিষয়টি মিটিয়ে নিতে বলেন কোন্নগর পুরসভার এক তৃণমূল কাউন্সিলর। যদিও ওই কাউন্সিলর কে? তা জানার চেষ্টা করছে পুলিশ। তার সঙ্গেও কথা বলতে পারে।
এর আগে হাঁসখালি থেকে শুরু করে একাধিক ঘটনা নিয়ে জেরবার রাজ্য। সিবিআই পর্যন্ত হানা দিয়েছে রাজ্য পুলিশকে পিছনে ঠেলে সরিয়ে দিয়ে। নিজেদের হাতে তদন্ত করছে তারা। আরও একবার এমন ঘটনা সামনে আসায় রাজ্য সরকারের উপর চাপ বাড়বে।
এর আগে বছর পাঁচ আগে একই কায়দায় দ্বাদশ শ্রেণির ছাত্রীকে মাদক খাইয়ে ধর্ষণের অভিযোগ উঠেছিল পশ্চিম মেদিনীপুরের কেশিয়াড়িতে। মাদক খাইয়ে অচৈতন্য করে তরুণীকে দিঘা নিয়ে গিয়ে প্রতিবেশী এক যুবক সেখানেই ধর্ষণ করেছিল বলে অভিযোগ ওঠে।